×

জাতীয়

খেটে খাওয়া কৃষক-মজুরদের অবদান অনস্বীকার্য

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৬ অক্টোবর ২০২০, ০৬:৩৩ পিএম

খেটে খাওয়া কৃষক-মজুরদের অবদান অনস্বীকার্য

জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এমপি বলেছেন, খাদ্য-পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কৃষকবান্ধব নীতি কার্যকর ভূমিকা রেখেছে। এই সফলতার পেছনে খেটে খাওয়া কৃষক-মজুরদের অবদান অনস্বীকার্য।

মঙ্গলবার (৬ অক্টোবর) ফিউচার আর্থ সাউথ এশিয়া রিজিওনাল অফিস-এর উদ্যোগে আয়োজিত দ্বিতীয় গভার্নিং কাউন্সিল মিটিং-এ গভার্নিং কাউন্সিল সদস্য হিসেবে ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণ করে স্পিকার এসব কথা বলেন। এসময় বাংলাদেশে খাদ্য নিরাপত্তার সফলতায় গৃহীত পদক্ষেপসমূহ ফিউচার আর্থ সাউথ এশিয়া প্লাটফর্মে তুলে ধরেন তিনি। খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে ফিউচার আর্থ সাউথ এশিয়া রিজিওনাল অফিস-এর এ ধরণের উদ্যোগ কার্যকর ভূ্মিকা রাখবে বলে উল্লেখ করেন স্পিকার।

ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, সরকার কৃষকদের ভাগ্যোন্নয়ন ও দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে কাজ করে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গ্রামীণ অর্থনীতির চাকাকে আরো সচল করতে এবং এক ইঞ্চি জমিও যেন অনাবাদী না থাকে তা বাস্তবায়নে ‘আমার বাড়ি আমার খামার’ প্রকল্পে নারীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করেছেন। গত দশ বছর ধরে সরকার বিভিন্ন ধরণের পরিকল্পনা গ্রহণের মাধ্যমে কৃষি ও খাদ্যখাতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনতে সক্ষম হয়েছে বলে উল্লেখ করেন স্পিকার।

স্পিকার বলেন, যে সকল কৃষকের নিজ জমি নেই, তাদের জন্য বিশেষ জামানতবিহীন কৃষি লোন-এর ব্যবস্থা করা হয়েছে এবং ১৬ লাখ ৬৬ হাজার ৬ শত ৫৯ জন কৃষককে প্রায় ৩০০০ কোটি টাকা লোন প্রদান করা হয়েছে। কৃষিকাজে ব্যবহৃত বিদ্যুতের উপর ভর্তুকি, কৃষিকাজে স্বল্পমূল্যে বিদ্যুৎ বিতরণের জন্য কৃষকদের মাঝে স্মার্টকার্ড সরবরাহ, কৃষিপণ্য যেমন-বীজ, কীটনাশক ইত্যাদি সুশৃঙ্খলভাবে বিতরণের স্বার্থে ২ কোটি ৮ লাখ ১৩ হাজার ৪৭৭ কৃষিপণ্য সহযোগী কার্ড কৃষকদের মাঝে বিতরণ, সারের উপর ভর্তুকি, ২০০৯-১০ সাল থেকেই কৃষিঋণের অর্থ বিতরণে স্বচ্ছতা আনয়ন ও সহজতর করতে ১০টাকার বিনিময়ে কৃষকদের ব্যাংক একাউন্ট খোলার ব্যবস্থা করাসহ সরকার কৃষিবান্ধব বহুমুখী পরিকল্পনা গ্রহণ করে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে। কৃষকদের সহায়তার জন্য গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর সমন্বয়ে সাধারণ তহবিল গঠনের উদ্দেশ্যে পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক গুরত্বপূর্ন ভূমিকা রাখছে। শৃঙ্খলা ও আরো উন্নত সমন্বয় সাধনের স্বার্থে দেশব্যাপী কৃষকদের মাঝে নেটওয়ার্কিং ব্যবস্থা শক্তিশালী ও ডিজিটালাইজড করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন স্পিকার।

ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বের কারণে বৈশ্বিক মহামারি কোভিড-১৯ এর মধ্যেও বাংলাদেশে খাদ্যাভাব পরিলক্ষিত হয়নি। খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিতকরনে সরকার ২০১৬ থেকে ২০২০ মেয়াদে দ্বিতীয় বিনিয়োগ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করেছে। এ উদ্দ্যেশ্যে খাদ্য নিরাপত্তা আইন ২০১৩ সহ অনেক জনগুরুত্বপূর্ণ আইন সংসদে পাশ হয়েছে, যেগুলো কৃষিখাত উন্নয়ন ও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে ভূমিকা রাখছে।

ডক্টর কে কাস্তুরিরঙ্গন এর সভাপতিত্বে ও স্মৃতি বেসনেট-এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে ভারতের প্রাক্তন সংসদ সদস্য ও অর্থ সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য প্রেম দাস রায়, সংসদ সদস্য ও স্কিল ডেভেলপমেন্ট, উদ্যোগ এবং পানি সম্পদ সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি রাজিব প্রতাপ রুদি, ধরিত্রি বিজ্ঞান, জিওআই, নয়া দিল্লি-র সচিব এম. রাজিভন, ফাউন্ডেসন ফর ইকোলোজিকাল সিকিউরিটির প্রধান নির্বাহী জগদ্বিশ রাও পুপালা, জল ভাগিরথি ফাউন্ডেশননের প্রতিষ্ঠাতা-ট্রাষ্টি এবং চীফ ফাংশনারি পৃথ্বি রাজ সিং, ভুটানের কৃষি ও বন মন্ত্রী লিউনপো ইয়াশেই পেনজর, জাতীয় মৃত্তিকা সেবা কেন্দ্রের পরিচালক কর্ম দেমা দর্জি, ভুটান ট্রাষ্ট ফান্ড ফর এনভায়রনমেন্টাল কনভার্সেশনের প্রাক্তন পরিচালক পেমা চয়েপায়েলসহ বিভিন্ন দেশের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণ করেন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App