×

জাতীয়

ফিরতে মরিয়া শ্রমিকরা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৫ অক্টোবর ২০২০, ০৯:২৩ এএম

ফিরতে মরিয়া শ্রমিকরা

পূর্ব ঘোষিত টিকেটের টোকেনের জন্য রবিবার সৌদি এয়ারলাইন্সের সামনে উপচে পড়া ভিড় সৌদি প্রবাসীদের। পরে তারা সোনারগাঁ হোটেলের ফটক ভেঙে এয়ারলাইন্সের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেন -ভোরের কাগজ

সৌদি আরব ফিরতে মরিয়া প্রবাসী শ্রমিকরা রবিবার (৪ অক্টোবর) কেটের জন্য আবারো ব্যাপক বিক্ষোভ করেছেন। দীর্ঘ অপেক্ষার পরও টোকেন না পেয়ে একপর্যায়ে তারা সোনারগাঁও হোটেলের পশ্চিম দিকের ফটক ভেঙে সাউদিয়ার (সৌদি অ্যারাবিয়ান এয়ারলাইন্স) কার্যালয়ে ঢুকে পড়েন। কারওয়ান বাজারের রাস্তাও অবরোধ করেন শ্রমিকরা। পরে পুলিশ কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

ছুটিতে দেশে এসে করোনা পরিস্থিতিতে আটকে পড়া এসব প্রবাসী শ্রমিক রিটার্ন টিকেট ও ভিসার মেয়াদ নিয়ে জটিলতায় পড়েন। পরে সরকারের ক‚টনৈতিক যোগাযোগের ফলে ভিসার মেয়াদ ২৪ দিন বাড়ানোর ঘোষণা দেয় সৌদি সরকার। এছাড়া বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ও সাউদিয়ার ফ্লাইটও বাড়ানো হয়। তবে টিকেট প্রত্যাশীদের তুলনায় এখন পর্যন্ত দুই এয়ারলাইন্সই পর্যাপ্ত টিকেট ইস্যু করতে না পারায় শ্রমিকদের মধ্যে অনিশ্চয়তা কাজ করছে। এ কারণেই টিকেট নিয়ে বিশৃঙ্খলা দেখা দিচ্ছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।

সাউদিয়া কার্যালয়ে টোকেন সংগ্রহ করতে আসা ফরিদপুরের আবদুর রব জানান, যারা দেশে আসার সময় সাউদিয়ার রিটার্ন টিকেট কেটে এসেছেন এবং যাদের ভিসার মেয়াদ আগে শেষ হবে তাদের আগে টোকেন দেয়ার কথা। সে অনুযায়ী হাজার হাজার মানুষ টিকেটের জন্য ভিড় করেন। কিন্তু সাউদিয়া খুব কম সংখ্যক টোকেন দিচ্ছিল। আবার অনেকে নিয়ম না মেনেই টোকেন সংগ্রহের চেষ্টা করছিলেন। তিনি জানান, পুলিশ সোনারগাঁও হোটেলের সীমানার দরজাটি বন্ধ করে কয়েকজন করে ভেতরে প্রবেশ করাচ্ছিল। কিন্তু বেলা পৌনে ৩টার দিকে হুলুস্থুল লেগে যায়। সবাই একসঙ্গে প্রবেশের চেষ্টা করেন। এ সময় অনেকে ধাক্কা দিয়ে লোহার দরজাটি ভেঙে ফেলেন। কেউ কেউ দেয়াল টপকে সাউদিয়ার কার্যালয়ে প্রবেশ করেন। টিকেটের দাবিতে তারা স্লোগান দিতে থাকেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পুলিশ মৃদু লাঠিচার্জ করে শ্রমিকদের আটকানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। বিক্ষোভকারীদের একাংশ সাউদিয়ার সামনে ও আরেক অংশ সার্ক ফোয়ারার সামনে রাস্তায় বসে পড়েন। এ সময় ওই সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। প্রায় ঘণ্টা খানেক পর পুলিশ কর্মকর্তারা শ্রমিকদের আশ্বস্ত করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক পর্যায়ে নিয়ে আসেন।

রবিবার ৪৫০ জনকে টোকেনের জন্য ডাকা হলেও অন্তত ১২ হাজার মানুষ টোকেনের জন্য এসে জড়ো হন। তবে এখন থেকে প্রতিদিন দেড় হাজার প্রবাসী শ্রমিককে টোকেন দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন সাউদিয়ার কান্ট্রি ম্যানেজার জাহিদ হোসেন। তিনি বলেন, পরিস্থিতি বিবেচনা করে দেড় হাজার টোকেন দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা। প্রবাসীরা যে ফরম পূরণ করে জমা দিয়েছেন, তা যাচাই-বাছাই করে যাদের ভিসার মেয়াদ আগে শেষ হবে তাদের আগে টোকেন দেয়া হবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App