×

সারাদেশ

সরকারি পাহাড় কেটে মুরগির খামার, বাধা উপেক্ষা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৪ অক্টোবর ২০২০, ০৫:৪৬ পিএম

সরকারি পাহাড় কেটে মুরগির খামার, বাধা উপেক্ষা

পাহাড়/ ফাইল ছবি

চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার কালীপুর ইউনিয়নের জঙ্গল কোকদন্ডতে খেদামুড়া পাহাড় কেটে মুরগির খামার তৈরি করেছে। ভূমিদস্যুরা বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার ৩৫/৪০ জন শ্রমিক দিয়ে টিন ও পাকা খুঁটি দিয়ে এই স্থাপনা তৈরি করেন। কোকদন্ডী মৌজার পাহাড় ও টিলার জমি বন্দোবস্তি বাতিলের নির্দেশনা দেয়া হয়। স্থাপনা তৈরি নিয়ে পুলিশ প্রশাসন থেকে বাধা দিলেও রাতের অন্ধকারে ভূমিদস্যুরা তাদের কাজ সম্পন্ন করে। ভূমিদস্যুদের তৎপরতার ফলে স্থানীয়রা ভূমি মন্ত্রণালয়, পরিবেশ অধিদপ্তর, পুলিশের মহাপরিদর্শক বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

ভূমি অফিস সূত্রে জানা যায়, বাঁশখালী উপজেলার জঙ্গল কোকদন্ডী খেদামুড়া পাহাড়টি বি.এস ৫৪৫ দাগের ৯.৭০ একর সরকারি পাহাড় ও টিলা রয়েছে। ১৯৯৮-৯৯ সালে কতিপয় প্রভাবশালী ব্যক্তি নিজেরেদকে গরীব অসহায় দেখিয়ে সরকারি ভূমি দখলে নেয়। এই ভূমিদস্যুরা ২০১১ সালে খেদামুড়া পাহাড় কর্তন করে পুকুর ও ধানি জমি ভরাট কার্যক্রমে লাখ লাখ টাকার মাটি বিক্রি করেন। প্রভাবশালী ভূমিদস্যুরা গরীব অসহায় দেখিয়ে ২০ বছর আগে থেকে পাহাড়ে মাটি কাটা শুরু করেন।

সরকারিভাবে নুরুল ইসলাম, রফিক আহমদ আলী নবীর আবেদনকৃত বন্দোবস্ত বাতিলের জন্য নির্দেশনা দেয়। সাবেক মেম্বার সরকারি এই সম্পত্তি ভোগ দখলের জন্য লিজ নেয়ার নামে পাহাড়ের মাটি বিক্রির ব্যবসা করেছেন। পরবর্তী তদন্তে সরকারি পাহাড় প্রমাণিত হওয়ায় বন্দোবস্ত বাতিল হয়।

সরেজমিনে রবিবার (৪ সেপ্টেম্বর) গিয়ে দেখা যায়, কোকদন্ডী খেদামুড়া পাহাড়ে সরকারি জায়গার উপর টিনের চাউনি ও পাকা পিলার দিয়ে মুরগির খামার তৈরি করা হয়েছে।

স্থানীয় কয়েকজন নাম প্রকাশ না করা শর্তে বলেন, কোটি টাকার মালিক ব্যক্তিরা জামাত শিবিরের নেতা কর্মী হলেও আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার করে রাতের অন্ধকারে পাহাড় কেটেছে। আবার সেই পাহাড়ে স্থাপনা তৈরি করা হয়েছে।

কোকদন্ডী ভূমি অফিসের সহকারী তহসিলদার আবদুল মুবিন বলেন, বাঁশখালী সহকারী কমিশনার (ভূমি) থেকে নির্দেশনা পাওয়ার পর স্থাপনা নির্মাণে বাধা দেয়া হয়েছিল। এই জায়গাটি সরকারি কাউকে বন্দোবস্ত দেয়া হয়নি।

বাঁশখালী থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রেজাউল করিম মজুমদার বলেন, রাতের অন্ধকারে পাহাড়ি এলাকায় সরকারি জায়গার উপর স্থাপনা তৈরির খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে নির্মাণ কার্যক্রম না করার জন্য নিষেধ করেছে। তারা দেখি পরে স্থাপনা তৈরি করেছে।

বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোমেনা আক্তার বলেন, কালীপুরের জঙ্গল কোকদন্ডীর খেদামুড়া পাহাড়টি উচ্চ আদালতের নির্দেশনার পর মাটি কর্তনকারী ব্যক্তিরা ভরাট কার্যক্রম চালিয়েছে। ওই সরকারি জায়গায় সাধারণ মানুষের যাতায়াত না করার জন্য নিষেধ রয়েছে। কেউ যদি স্থাপনা তৈরি করে ভেঙে ফেলা হবে। ভূমি অফিস ঘটনাস্থলে জরিপ কার্যক্রম শুরু করেছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App