×

খেলা

অবৈধ অর্থ লেনদেন রোধে গোয়েন্দা নজরদারি

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১০:৩৯ এএম

বাফুফে নির্বাচনে অবৈধ অর্থ লেনদেন ঠেকাতে বেশ তৎপর নির্বাচন কমিশন। টাকা দিয়ে ভোট আদায়ের পথ বন্ধ করতে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের নির্বাচনের ওপর কড়া নজরদারি রাখবে দেশের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোও

এবার বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) নির্বাচন নিয়ে ভাবনার অন্ত নেই ফুটবলপ্রেমীদের। কারণ নির্বাচনে সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার হাওয়া বইতে শুরু করেছে। নিরস নির্বাচনে রং এনেছে একটা অংশ। ইতোমধ্যে কাজী সালাউদ্দিন একটি পূর্ণাঙ্গ প্যানেল দিলেও তার প্রতিপক্ষরা সেটা পারেননি। বাদল রায় সরে দাঁড়ানোর পর সভাপতি পদে সালাউদ্দিনের বিপক্ষে সফিকুল ইসলাম মানিক একাই নির্বাচন করছেন। তবে এবার বাফুফে নির্বাচনে অবৈধ অর্থ লেনদেন ঠেকাতে বেশ তৎপর নির্বাচন কমিশন। টাকা দিয়ে ভোট আদায়ের পথ বন্ধ করতে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের নির্বাচনের ওপর কড়া নজরদারি রাখবে দেশের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো। তাই অবৈধ অর্থ লেনদেন ঠেকাতে গোয়েন্দা সংস্থার কাছে নির্বাচনের চূড়ান্ত প্রার্থী ও ভোটার তালিকা পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এ ধরনের অবৈধ কাজ প্রমাণিত হলে সরাসরি ব্যবস্থা নিবে গোয়েন্দা সংস্থা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে প্রধান নির্বাচন কমিশনার মেজবাহ উদ্দীন। এছাড়া বাফুফের নির্বাচন গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করতে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করেছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ।

বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সর্বোচ্চ আসনে কে বসবে তা জানা যাবে ৩ অক্টোবর। আসন্ন নির্বাচন ঘিরে প্রতিদিন কর্মব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন প্রার্থীরা। ভোটারদের নিয়ে মতবিনিময় সভা করছে প্যানেলগুলো। কিন্তু গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে বাফুফের নির্বাচনে অবৈধ অর্থ লেনদেনের শঙ্কা আছে। নির্বাচনের আগে একটি মহল মাঠে নেমেছে বিভিন্ন অপপ্রচারে। তাই বলে হাত গুটিয়ে বসে নেই নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন ঘিরে অবৈধ অর্থ লেনদেনের শঙ্কা থেকে গোয়েন্দাদের দ্বারস্থ হয়েছে বলে জানান প্রধান নির্বাচন কমিশনার মেজবাহ উদ্দীন। এ বিষয়ে তিনি বলেন, স্পেশিফিকভাবে গোয়েন্দা সংস্থার কাছে ভোটার তালিকা, প্রার্থীদের তালিকা পাঠানো হয়েছে। লেনদেনের শঙ্কা আছে, তারা যেন নজরদারি করে তারাই ব্যবস্থা গ্রহণ করে।

বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান। এর কার্যক্রম জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে বিস্তৃত। তাই ফুটবলের বদনাম হয় এমন কাজ যাতে নির্বাচনে না করা হয় তার আহ্বানও জানান প্রধান নির্বাচন কমিশনার। তিনি বলেন, ফুটবলের যাতে বদনাম না হয়, বাফুফের যাতে বদনাম না হয় সেই স্বার্থেই সবাইকে উদ্যোগী হতে হবে।

এবার ২১ পদের বিপরীতে মোট ৪৭ জন প্রার্থী লড়াই করছে। দুটো প্যানেল প্রকাশ্যে নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছে। একটি কাজী সালাউদ্দিন-মুর্শেদী সম্মিলিত ফুটবল পরিষদ, অন্যটি শেখ আসলাম-মহি সমন্বিত প্যানেল পরিষদ। আর এই ২১ পদ ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত করবেন ১৩৯ জন কাউন্সিলর। তবে এবার নির্বাচনে প্রার্থী বাছাইয়ে সবচেয়ে বড় টিকেটটা থাকছে জেলা ও বিভাগ সংস্থাদের হাতেই। তবে নির্বাচনের অন্তিম মুহূর্তে জেলা ও বিভাগীয় ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনকে নিয়ে আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ ওঠে। সেই শঙ্কা খোদ নির্বাচন কমিশনেরও আছে। তাই দেশের গোয়েন্দা সংস্থাদের ভোটার তালিকাসহ প্রার্থী তালিকা পাঠিয়ে দিয়েছে কমিশন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App