×

বিশেষ সংখ্যা

শেখ হাসিনার জন্মদিনে

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১২:০৫ এএম

শেখ হাসিনার জন্মদিনে

মানবদরদি শেখ হাসিনা

বর্তমান বিশ্বের অন্যতম প্রাজ্ঞ, দূরদৃষ্টিসম্পন্ন মানবদরদি, বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর, সত্য উচ্চারণে অকুতোভয় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শুভ জন্মদিনে প্রাণঢালা অভিনন্দন ও শ্রদ্ধা। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে মানুষের প্রতি ব্যক্তি শেখ হাসিনার মমত্ববোধ ঈর্ষণীয়। তিনি পরিচ্ছন্ন সৎ জীবনযাপনে অভ্যস্ত। অতুলনীয় তার মানবিক গুণাবলি। এ জাতির সৌভাগ্য, আমরা এমন একজন নেতা পেয়েছি। মৃত্যুঝুঁকি নিয়েও তিনি জাতির পিতার স্বপ্ন সোনার বাংলা বাস্তবায়নে দিন-রাত কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। দেশরতœ, জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিষ্ঠা, মনোবল, পরিশ্রমে আজ বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল। বিশ্বনেতারা প্রায়ই তাকে জিজ্ঞাসা করেন কোন জাদুবলে তিনি বাংলাদেশকে উন্নয়নের সব ধারায় এগিয়ে আজ মধ্যম আয়ের উন্নয়নের দেশে পৌঁছে দিয়েছেন? তার জবাব বঙ্গবন্ধুর মতোই, দেশের মানুষকে ভালোবাসি। তাদের ভাগ্য পরিবর্তন করতে চাই। তাই পরিশ্রম করি। আমরা সবাই জানি দেশরতœ শেখ হাসিনা যে গুণাবলির অধিকারী তা ঐতিহ্যগতভাবে অনেকটাই পেয়েছেন পরিবার থেকে। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, মহীয়সী নারী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, বঙ্গবন্ধুর পিতা-মাতা, বঙ্গবন্ধুর ছোট কন্যা শেখ রেহানা এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যের মধ্যেও মানুষের প্রতি ভালোবাসা, মানবিক গুণাবলি, নিঃস্বার্থ দানশীলতার চরিত্র, মমত্ববোধ দারুণভাবে বিদ্যমান। আমরা সবাই জানি খুনি জিয়া, মোশতাক ও অন্য ঘাতকরা দেশি-বিদেশি চক্রান্ত বাস্তবায়নে দীর্ঘদিন তৎপর থেকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যা করে, স্তব্ধ করে দেয় বাংলাদেশের উন্নয়নের ধারা। মুক্তিযুদ্ধ ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের চেতনা ভ‚লুণ্ঠিত করে। বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে দেয় ইতিহাস থেকে। বিকৃত করে ইতিহাস। জিয়া খুনিদের বিচার না করার আইন পাস করে তথাকথিত সংসদে। বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি দিয়ে খুনিদের পুরস্কৃত করে। বাংলাদেশকে ফিরিয়ে নেয় পাকিস্তানি ধারায়। চিন্তা-চেতনায়। খুনি জিয়া মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী রাজাকার-আলবদরদের মন্ত্রিপরিষদসহ বিভিন্ন স্থানে পুনর্বাসন করে। বাংলাদেশের মানুষ স্বপ্ন দেখতে ভুলে যায়। একজন মানুষ, একটি সমাজ, একটি রাষ্ট্র যদি ইতিবাচক স্বপ্ন দেখতে না পারে, তাহলে কিসের উন্নয়ন, কিসের অগ্রগতি। ২১ বছর খুনিরা পাকিস্তানি ভাবধারায় দেশ পরিচালনা করে স্তব্ধ করে দেয় দেশের উন্নয়ন। ভুলিয়ে দেয় মানুষকে ইতিবাচক স্বপ্ন দেখতে। সমাজে রাষ্ট্রে মিথ্যাচার প্রতিষ্ঠিত হয়। সন্ত্রাস ও জঙ্গি তৎপরতায় ইন্ধন দিয়ে রাষ্ট্রকে অস্থির করে তোলে। অর্থ-সম্পদ লুটপাট করে, নিজেদের আখের গুছিয়ে নেয়। ন্যায়বিচার ও আইনের শাসন ভূলুণ্ঠিত হয়। ভোটাধিকার ও নির্বাচনকে প্রহসনে পরিণত করে। বিচারের নামে প্রহসন করে শত শত সেনা সদস্যকে খুনি জিয়া ফাঁসি দিয়ে হত্যা করে। সংক্ষেপে এই তো ছিল ’৭৫-এর ১৫ আগস্টের পর ২১ বছরের বাংলাদেশের চিত্র। যদি বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকতেন, অনেক আগেই বাংলাদেশ উন্নত দেশে পরিণত হতো। তা হয়নি, বাঙালি জাতির দুর্ভাগ্য। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দীর্ঘ সংগ্রাম ও কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছেন, তার স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার জন্য। অর্থাৎ বাঙালিরা যাতে সুখে-শান্তিতে থাকতে পারে। তার দেশের মানুষ যেন পেট ভরে খেতে পারে। সুখে থাকে। বঙ্গবন্ধুর এ স্বপ্ন বাস্তবায়নে তার সঙ্গে দেশের আপামর জনতা ছিলেন, দল ছিল, নেতাকর্মী ছিলেন। এটা আমরা সবাই জানি। এটি ইতিহাস। কিন্তু নীরবে যিনি সবচেয়ে বেশি কষ্ট ভোগ করেছেন; সাহস ও সংকটে পরামর্শ দিয়ে, প্রয়োজনে দল পরিচালনা করে, অর্থ দিয়ে বঙ্গবন্ধুকে এগিয়ে যেতে সাহায্য করেছেন, তিনি হচ্ছেন মহীয়সী নারী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব। আমরা তার সম্পর্কে খুব কমই জানি। এই না জানাটা আমাদের অজ্ঞতা। আমাদের অপরাধ। আগামী প্রজন্মের জন্যই মহীয়সী নারী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব সম্পর্কে আমাদের আরো জানতে হবে। জানাতে হবে। বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর মুক্তিযুদ্ধ চেতনাবিরোধী শাসকগোষ্ঠী জাতিকে ইতিবাচক স্বপ্ন দেখতে ভুলিয়ে দিয়েছিল। বঙ্গবন্ধুরই সুযোগ্য কন্যা দেশরতœ শেখ হাসিনা ২১ বছর পর রাষ্ট্র ক্ষমতায় এসে জাতিকে নতুন করে স্বপ্ন দেখাতে শিখিয়েছেন। স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথ দেখিয়েছেন। জাতিকে আবার সাহসী করে তুলেছেন। তাই আজ বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে যথেষ্ট গুরুত্ব বহন করে। আজ বাংলাদেশ খাদ্যশস্য উৎপাদনে স্বনির্ভর। মাছ, সবজি থেকে শুরু করে অনেক পণ্য উৎপাদনেই বাংলাদেশ বিশ্বের মধ্যে শীর্ষ পর্যায়ে। এটি সম্ভব হয়েছে দেশরতœ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেশ গড়ার ঐকান্তিক প্রচেষ্টা, সুদৃঢ় মনোবল ও কঠোর পরিশ্রমের ফলে। তিনি প্রায়ই বলেন, বাবার স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্যই হয়তো আমরা দুটি বোন বেঁচে আছি। আমরা জানি, জাতির পিতাকে সপরিবারে হারিয়ে কী নিদারুণ মনোকষ্টের মধ্যেও একের পর এক বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার জন্য তার অসমাপ্ত কাজগুলো সম্পন্ন করে যাচ্ছেন। করোনা যখন বিশ্ব অর্থনীতিকে তছনছ করে দিচ্ছে, তখনো বাংলাদেশের রেমিট্যান্স বেড়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ বেড়েছে। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি কমবে, এটাই স্বাভাবিক। বাংলাদেশ সরকারও যেখানে প্রবৃদ্ধির হার কমিয়েছে, সেখানে দেখা যাচ্ছে এশিয়া উন্নয়ন ব্যাংক এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থা বাংলাদেশ সরকার নির্ধারিত প্রবৃদ্ধির হারের চেয়ে বেশি হবে বলে ধারণা করছে। বাংলাদেশের কেউ কেউ বলেছেন করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকার ব্যর্থ হয়েছে, সরকারই করোনা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রেখেছে। অথচ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বাংলাদেশ সরকারের গৃহীত পদক্ষেপের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছে। বলেছে, সরকার সময়মতো বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়ায় পরিস্থিতি ভালো আছে। এসব সাফল্যের মূল নেতা হচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা। তার জন্মদিনে বিনম্র শ্রদ্ধা। আবুল কালাম আজাদ : ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস)

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App