×

বিশেষ সংখ্যা

জন্মদিনের শুভেচ্ছাপত্র

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১২:০৮ এএম

জন্মদিনের শুভেচ্ছাপত্র

শেখ হাসিনা

লেখাটি বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার জন্মদিনে আমার সামান্য শুভেচ্ছাপত্র। তিনি রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রী, চারবারের, না, সে কারণে নয়, লেখাটি সেই শেখ হাসিনাকে নিবেদিত যার আগমন বাংলাদেশের মাটিতে বহু প্রার্থিত এক নবজাগরণ সৃষ্টি করেছে, যেখানে তিনি আরেক মুক্তিযুদ্ধের সেনাপতি হবার গৌরব অর্জন করেছেন। ব্যক্তিগতভাবে জানবার সুযোগ হয়নি তাকে খুব একটা। কিন্তু আমি সেই শেখ হাসিনাকে জানবার চেষ্টা করেছি যার অধিষ্ঠানের মধ্য দিয়ে একটি ভয়ঙ্কর অশুভ ধারার বিরুদ্ধে সংঘবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে উঠেছিল এবং যে ধারা সদ্য স্বাধীনতালব্ধ বাংলাদেশকে চরম দুর্দিনে নিক্ষেপ করেছিল। সেই চরম দুর্দিনে আওয়ামী লীগের সভাপতি হলেন তিনি, সামনে সুকঠিন চ্যালেঞ্জ। একদিকে ঘাতকবেষ্টিত শাসককুলের বিরুদ্ধে নিজেকে রক্ষা করা, অন্যদিকে মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশকে স্বমহিমায় জাগিয়ে তোলা এবং লাখো প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতাকে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা। বলাবাহুল্য, সে কাজগুলোর সম্পাদন সহজ ছিল না। জাতির সৌভাগ্য যে বঙ্গবন্ধুকন্যা সে দায়িত্ব সম্পাদন করার যোগ্যতা দেখিয়েছেন; পিছিয়ে আসেননি, পথভ্রষ্ট হননি; হলে, অধঃপতনের গহ্বর থেকে বাংলাদেশ রাষ্ট্রকে ফিরে পাওয়া সহজ হতো না। ১৯৮১ থেকে ২০২০। যে পথ তিনি পেরিয়েছেন সে পথ কতটা কণ্টকাকীর্ণ ছিল তা বাংলাদেশ বা তার নিজের জীবনসংগ্রাম পড়লেই বোঝা যায়। প্রথম জীবনের বেশিরভাগ সময় দেখেছেন পিতা শেখ মুজিবুর রহমান কারাগারে বন্দি। মা-সহ বন্দি তিনি ১৯৭১-এ, বঙ্গবন্ধু বন্দি পাকিস্তানের কারাগারে। দেশের বাইরে অবস্থানকালে হারিয়েছেন পিতা, মাতা, ভাইসহ পরিবারের প্রায় সকল ঘনিষ্ঠজনকে। এরপর তার দীর্ঘ বিদেশ নির্বাসন আবার ফিরে আসা একবুক কান্না নিয়ে ধানমন্ডির রক্তস্নাত বাড়িতে। কিন্তু শোক করার সময় কই? না, তিনি তো রোদন করতে আসেননি, এসেছেন ইতিহাসের বদ্ধ দুয়ার খুলে তার জন্মভ‚মিকে রাহুমুক্ত করতে, জাতির পিতার স্বপ্নের বাংলাদেশকে পুনরুদ্ধার করতে। সে এক বড় চ্যালেঞ্জ; ইতিহাসের অমোঘ নিয়মে যা তারই হাতে সমর্পিত। অতএব পিতা, মাতা, ভাই ও ভাতৃবধূদের স্মৃতিতে শোক করার সময় নেই তার। বিদেশের মাটিতে ছয় বছরের নির্বাসন শেষে স্বদেশের মাটিতে প্রত্যাবর্তন করলেন তিনি ১৯৮১ সালের ১৭ মে। তার এই স্বদেশে ফিরে আসা রাজনৈতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক জীবনে নতুন যুগের সূচনা করল। বঙ্গবন্ধুবিহীন বাংলাদেশে তারই কন্যাকে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরে সেদিন জড়ো হলো সর্বস্তরের লাখো উদ্বেলিত মানুষ; যে মানুষ জাতির পিতার ধমনি বহনকারীকে স্বাগত জানিয়েছে পরিপূর্ণ আবেগ ও ভালোবাসায়; যে মানুষ সেনাপতি শাসন থেকে মুক্তি চেয়েছে, যে মানুষ মনেপ্রাণে জাতীয় মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের পুনঃপ্রতিষ্ঠা চেয়েছে, জাতির পিতার হত্যাকারীদের বিচার চেয়েছে, লাখো শহীদের বাংলাদেশ ফিরে চেয়েছে। স্বাধীনতাবিরোধী চক্রের হাতে প্রায় সপরিবারে নিহত হলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৫ সালে। শুধুমাত্র দেশের বাইরে থাকার কারণে বেঁচে থাকলেন তার দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহেনা। ভয়াবহ সেই হত্যাকাণ্ড স্তম্ভিত করে জাতিকে, হতাশায় নিমজ্জিত করে সীমাহীন। বলাবাহুল্য, বঙ্গবন্ধু হত্যার পর সামরিক আধিপত্যবাদ ও দুঃশাসনের বিরুদ্ধে মাথা তুলে দাঁড়াবার শক্তি সঞ্চয় করে বাংলাদেশ তাঁরই কন্যার নেতৃত্বে। তখন থেকেই বঙ্গবন্ধুর এই জ্যেষ্ঠ কন্যা জাতির লুণ্ঠিত গৌরব পুনরুদ্ধার সংগ্রামে অধিনায়কত্ব দান করে চলেন। তার আগমন এক নতুন আশীর্বাদ আনে; এবং একই সঙ্গে প্রতিপক্ষের জন্য অভিশাপও। ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়িতে গিয়ে রক্তের চিহ্ন দেখতে হয় শেখ হাসিনাকে বুকভাঙা কান্নায়। কিন্তু সময়ের কশাঘাত ফিরিয়ে আনে তাকে নতুন যুদ্ধে; শোক ও রোদনকে পরিণত করতে হয় শক্তিতে। গ্রহণ করতে হয় চ্যালেঞ্জ। ইতিহাস সাক্ষ্য দেবে, জেনারেল জিয়াউর রহমান ও জেনারেল এরশাদের অবৈধ শাসনামলে মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী দলটিকে আঘাতের পর আঘাতে জর্জরিত করা হয়। ভুলিয়ে দেয়ার চেষ্টা করা হয় বঙ্গবন্ধুকে, জাতীয় ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে। সেই দুর্দিনে, অবিন্যস্ত দলকে সংগঠিত করা যেমন গুরুদায়িত্ব, তেমনি অসীম গুরুত্ববাহী অর্পিত কাজ ঘাতকবেষ্টিত শাসককুলের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে বিধ্বস্ত বাংলাদেশকে জাগিয়ে তোলা, লাখো প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতাকে স্বমহিমায় পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা। ইতিহাসের সেই মহাদুর্দিনে বিপন্ন স্বদেশের হাল ধরেছিলেন ইতিহাসের আশীর্বাদ বহনকারী শেখ হাসিনা। এ যেন বঙ্গবন্ধুর রক্তের ফিরে আসা, প্রবল বিক্রমে। স্বাধীনতাবিরোধী দেশি-বিদেশি চক্রের হাতে জাতির জনকের অভাবিত হত্যাকাণ্ডের পর ঘন যে তমসা, সেই তমসা তাড়াতে প্রথম আলোর মশাল জ্বালালেন তিনি। সে মশাল, সংকট-সীমাবদ্ধতার পরও, দিকে দিকে আলোকিত করতে থাকে, শুরু হয় রাহু মুক্তির পালা। রাজনীতিতে তার অধিষ্ঠানের দিনটিকে, সে কারণে, জাতীয় নব জাগৃতির দিন বলতে দ্বিধা নেই আমার। সব আবর্জনা দূর করতে নববর্ষের প্রভাতে যেমন বাঙালি একাকার হয়, নব প্রতিশ্রুতিতে সমৃদ্ধ হয়, তেমনি এক শুভ প্রতিশ্রুতির বাতাস বইতে দেখি তার আগমনে। আমি শেখ হাসিনাকে কেবল প্রধানমন্ত্রী হিসেবেই দেখিনে। প্রধানমন্ত্রী হন অনেকে, হয়েছেন, হবেনও। তাকে দেখি আমি বাংলাদেশ রাষ্ট্র জনকের বেঁচে যাওয়া দুই কন্যার একজন হিসেবে, যিনি বাংলাদেশকে ছিনতাইকৃত গৌরব ফিরিয়ে দেয়ার মহাসমরে নেতৃত্ব দিয়ে চলেছেন। পঁচাত্তরের রক্তপাতের পর দুই যুগের ভয়ঙ্কর যে স্বদেশ, তারই বিপরীতে বাঙালির রাষ্ট্রকে আজকের বাস্তবতায় ফিরিয়ে আনার যে সাহসী ও প্রজ্ঞাবান নেতৃত্ব তারই সর্বাধিনায়কের নাম শেখ হাসিনা। সামাজিক ও অর্থনৈতিক যুদ্ধের পাশাপাশি একটি বড় রাজনৈতিক যুদ্ধের নেতৃত্ব দিয়ে চলেছেন তিনি। সে যুদ্ধ কতটা প্রয়োজনীয়, কতটা ঝুঁকিপূর্ণ তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তিন যুগেরও বেশি সময়ের ব্যবধানে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের বিচার সম্পন্ন করা ছিল ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার মানদণ্ডে ঐতিহাসিক এক দৃষ্টান্ত, যা জাতিকে দায়মুক্তি দিয়েছে। শেখ হাসিনার সাহসী ও দৃঢ়প্রত্যয়ী নেতৃত্বে ঘৃণ্য ঘাতকেরা কৃত অপরাধের দায়ে দণ্ডিত হয়েছে, যা সাধারণ কোনো কাজ ছিল না কখনো। একাত্তরের মানবতাবিরোধী তস্করদের ঐতিহাসিক বিচার প্রক্রিয়াটি তিনি এগিয়ে নিয়েছেন প্রবল সাহস ও বিচক্ষণতায়, দেশি-বিদেশি প্রতিরোধ উপেক্ষা করে। এই দুটি কাজ, যা অভাবিত ভাবা হতো একসময়, জাতিকে দৃঢ়চিত্ত করেছে; একই সঙ্গে জাতীয় স্বাধীনতার লাখো শহীদ ও লাখো বীর সৈনিকদের আত্মাকে সম্মানীত করেছে। ১৫ আগস্ট ১৯৭৫-এর পর দীর্ঘ দুই যুগ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষে রাষ্ট্র শাসিত হয়েছে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ও ইতিহাসবিরোধীদের হাতে। জেনারেল জিয়া, জেনারেল এরশাদ ও খালেদা জিয়ার সরকারগুলো দেশকে, পরিকল্পিতভাবে, সাম্প্রদায়িক বানিয়েছে নিত্যনতুন পরিকল্পনায়, যাতে বাংলাদেশ অকার্যকর হয়, একাত্তর ছাপিয়ে সাতচল্লিশ ফিরে আসে। সরকার, প্রশাসন ও সেনাবাহিনীতে একাত্তরের চেতনাবিরোধীদের জায়গা দিয়ে এমন এক প্রাচীর তৈরি করা হয়েছিল, যা ভাঙা মোটেও সহজ কাজ ছিল না। কাজেই ঝুঁকি নিতে হয়েছে শেখ হাসিনাকে, অগ্রসর হতে হয়েছে তাকে দৃঢ়চিত্তে প্রতিবন্ধকতা উপেক্ষা করে। সেই বিপদসঙ্কুল পথে সামনে এগোবার যে সাহস, যে দৃঢ়তা বলাবাহুল্য তার সবটাই দেখাতে পেরেছেন তিনি। সকলেই জানি, গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি বিকাশে সরকারবিরোধীদের স্বাধীন ও উন্মুক্ত কার্যক্রম জরুরি। এছাড়া রাষ্ট্র গণতান্ত্রিক, মানবিক কিংবা আধুনিক হয় না। অস্বীকারের জো নেই, এসব ক্ষেত্রে ন্যায্য ও অন্যায্য সমালোচনা আছে সরকারের। কিন্তু বাংলাদেশ রাষ্ট্রের দুর্ভাগ্য এই যে, স্বাধীনতার প্রায় পঞ্চাশ বছর হতে চললেও একাত্তরের পরাজয়ের শোধ নিতে প্রস্তুত রাষ্ট্রের অস্তিত্ব বিরোধীরা। গণতান্ত্রিক অধিকারের আবরণে রাষ্ট্রের জন্ম ইতিহাস ও মৌলিক ভিত্তির প্রতিপক্ষ হিসেবে এরা আজও নিজেদের আবিভর্‚ত করে; নিত্যনতুন যুদ্ধ চাপিয়ে পুরনো প্রভুর জয়গান করে! কাজেই যে বাংলাদেশ লাখো শহীদের রক্তে অর্জিত তাকে সুরক্ষা দিতে জাতির জনকের কন্যার সাহসী নেতৃত্ব আশীর্বাদ বৈকি। অনেক অর্জনের পরও, বাংলাদেশ রাষ্ট্র আজো কঠিন সময়ের মুখোমুখি। দুর্ভাগ্য এই যে, সরকার নয়, খোদ রাষ্ট্রের এই বিরোধীরা বিজয়ের স্বপ্ন দেখে আজো! কাজেই আত্মতুষ্টির সুযোগ কই? একাধিক আক্রমণ পরাস্ত করার কৃতিত্ব লাভ করা গেছে বটে, কিন্তু যে দীর্ঘস্থায়ী সমরের প্রস্তুতিতে ওরা মাঠে নেমেছে, তাতে হেরে যাবার সুযোগ কি আছে? অতএব প্রয়োজন আদর্শিক রাজনীতি যোদ্ধার, মেকি বা সুযোগ সন্ধানী রাজনীতির নয়। ভুলে গেলে চলবে না, অসাম্প্রদায়িক জাতিসত্তার প্রতিপক্ষরা প্রাথমিকভাবে পরাস্ত হলেও তারা দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধে লিপ্ত। ইত্যাদি বিবেচনায় রাজনৈতিক যুদ্ধের পাশাপাশি এগিয়ে নিতে হবে সাংস্কৃতির যুদ্ধ, সূচনা করতে হবে এক সাংস্কৃতিক জাগৃতি, রেনেসাঁ; যা মুক্তিযুদ্ধের সত্যিকার আদর্শে আমাদের জাগিয়ে দেবে। মনেপ্রাণে কামনা করি রাজনীতি আদর্শবাদী সে ধারা জাগরিত হোক, বাঙালি মানুষ হোক, জয়বাংলা ও জয় বঙ্গবন্ধু উচ্চারিত হোক অন্তর থেকে। বাংলাদেশ আজ তলাবিহীন ঝুড়ি নয়। দক্ষিণ এশিয়ার বেশির ভাগ দেশের চাইতে গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন সূচকে এগিয়ে বাংলাদেশ। বলাবাহুল্য, বঙ্গবন্ধু কন্যার কাছে জনপ্রত্যাশার সীমা এতটাই যে সবাই যেন ভুলতে বসেন কী ভয়ঙ্কর কূট পরিকল্পনা ও ষড়যন্ত্রে, পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশের জন্মকে ব্যর্থ করার চেষ্টা হয়েছিল পঁচাত্তর-পরবর্তীকালে! কিন্তু শেখ হাসিনা ব্যর্থ হননি। বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে বাংলাদেশকে তিনি নতুন জীবনদান করেছেন। প্রবল প্রতিকূলতার মধ্যেও মুক্তিযুদ্ধের লুণ্ঠিত ধারাকে ফিরিয়ে এনেছেন। এরপরও বলি, রাজনৈতিক জীবনের অনেক কঠিনতম সময় পার করেও বাধার সবগুলো প্রাচীর পেরোতে পেরেছেন তিনি বলা যাবে না। আমি নিজের ক্ষুদ্র গণ্ডিতে বসবাস করি স্ব-স্বাধীনতায়। অতএব খুব কম দেখা শেখ হাসিনার সঙ্গে। যতবার হয়েছে, ততবারই দেখেছি তাকে সাবলীল, বঙ্গবন্ধুর পাওয়া মেজাজ ও অন্তরঙ্গতায় ভরা কবিতা ও সংগীতের খাঁটি বাঙালি হিসেবে। ইতিহাসের অমোঘ সত্য এই যে, ইতিহাসের আশীর্বাদ হয়ে, এক মহাঅন্ধকারে আলো জ্বালাবার প্রহরী হয়েছিলেন তিনি। তার হাতের মশাল, সংকট-সীমাবদ্ধতার পরও, বাংলাদেশকে আলোকিত করেছে, শুরু হয়েছে রাহু মুক্তির পালা। এরপরও বলি, রাজনৈতিক জীবনের কঠিনতম সময় শেষ হয়নি তার। প্রার্থনা করি তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ হয়ে উঠুক সত্য ও সুন্দরের, ন্যায় ও মনুষ্যত্বের; জন্মদিনে তার প্রতি অফুরন্ত শুভকামনা আমার তিনি দীর্ঘজীবী হোন। হারুন হাবীব : মুক্তিযোদ্ধা, লেখক ও মুক্তিযুদ্ধ গবেষক।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App