×

সারাদেশ

রেকর্ড বৃষ্টিতে কুড়িগ্রামে ফের বন্যা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০৯:৫২ পিএম

রেকর্ড বৃষ্টিতে কুড়িগ্রামে ফের বন্যা

বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে ঘরবাড়ি। ছবি: প্রতিনিধি

রেকর্ড বৃষ্টিতে কুড়িগ্রামে ফের বন্যা

ছবি: প্রতিনিধি

কুড়িগ্রামে এ যাবতকালের রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টিপাত ও উজানের ঢলে আবারো নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। নিম্নাঞ্চলগুলোর বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়ে রোপা আমন ধান ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছে। ধরলার নদীর পানি রবিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সেতু পয়েন্টে বিপদসীমার ৩৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এদিকে সকাল ছয়টা থেকে নয়টা পর্যন্ত মাত্র তিন ঘন্টার অস্বাভাবিক বৃষ্টিপাতে পুরো জেলা শহরে জলাবদ্ধাতার সৃষ্টি হলে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে।

শহরের প্রধান প্রধান সড়কসহ সমস্ত অলিগলিতে হাঁটুপানি দেখা গেছে, অনেকের বাড়িঘরে পানি ঢোকায় ফ্রিজ টিভিসহ মূল্যবান জিনিসপত্র নষ্ট হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। কুড়িগ্রামে তিন ঘণ্টায় ১ শত ৭৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। যা এযাবতকালের সর্বোচ্চ বলে স্থানীয় আবহাওয়া দপ্তর জানায়।

অন্যদিকে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ১৩ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এসব নদ-নদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রম না করলেও পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় নিম্নাঞ্চলের নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়ে পড়ছে। নদ-নদী অববাহিকাসহ চরাঞ্চলের নতুন নতুন এলাকা জলমগ্ন হওয়ায় চরম দুর্ভোগের মুখে পড়েছে মানুষজন। এসব এলাকার আমনসহ বিভিন্ন ফসল নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছে।

[caption id="attachment_244304" align="aligncenter" width="700"] ছবি: প্রতিনিধি[/caption]

নদীতে স্রোতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র ও ধরলা নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। জেলার সদর, উলিপুর, চিলমারী, রাজারহাট, ফুলবাড়ী, রৌমারী ও রাজিবপুর উপজেলার অন্তত: ৩০টি পয়েন্টের ভাঙনে অনেক মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছে। হারিয়ে ফেলছে মাথা গোঁজার ঠাঁই, অনেকে খোলা আকাশের নিচে নিদারুণ কষ্টে রয়েছে।

সদর উপজেলার পাঁচগাছী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. দেলোয়ার হোসেন জানান, পরপর ৩ দফা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকরা নতুন করে ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য চড়া দামে আমন চারা কিনে এনে লাগিয়েছিলেন। তার পুরোটাই এখন পানির তলে।

সদরের ভোগডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান জানান, আমার ইউনিয়নের ধরলা নদীর অববাহিকার ঘর-বাড়ি নতুন করে প্লাবিত হওয়ায় নদী ভাঙনে কমপক্ষে ৭০টি পরিবার নিঃস্ব হয়ে পড়েছে। ঘর-বাড়ি হারানো এসব পরিবারকে শুধু সরকারি চাল সহায়তা দেয়া হয়েছে।

কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম জানান, জেলার বন্যা কবলিত এলাকাগুলোতে ২ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার, ৮৫ মেট্রিক টন চাল, ১ লাখ টাকার শিশু খাদ্য ও ৪ লাখ টাকা গবাদি পশুর খাদ্যের জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। নতুন করে ২ হাজার প্যাকেট শুকনা খাবার, ১০ লাখ টাকা ও ২ শত মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App