বাউফলে ধর্ষণের উদ্দেশ্যে মা ও মেয়েসহ একই পরিবারের ৫ জনকে খাবারের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে দেয়া হয়েছে। অসুস্থদের বাউফল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে জসিম উদ্দিন (৪০) নামের এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। বাউফলের চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নের দক্ষিণ চর ওয়াডেল গ্রামে শনিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) রাতে এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, শনিবার সন্ধার পরে জসিম হাওলাদার নামের এক ব্যক্তি স্থানীয় এক জেলের ঘরের ঢুকে রান্না করা খাবারের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে দেয়। এ সময় ঘরে থাকা ওই জেলের চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়ে (১২) দেখে ফেলে। এবং তার ঘরে আসার কারণ জানতে চায়। তখন জসিম বলেন, কী রান্না করেছো তা দেখতে এসেছি। এই বলে তিনি চলে যান। রাত ৮টার দিকে তারা খাবার খাওয়ার কিছু সময় পরই অচেতন হয়ে পড়ে। সকালে ওই জেলের বাবা ও মা তাদেরকে অচেতন অবস্থায় দেখেন। সাড়া না পেয়ে স্থানীয় লোকজনদের ডেকে আনেন।

এ সময় অসুস্থ অবস্থায় ওই জেলের ৪র্থ শ্রেণি পড়ুয়া মেয়ে তাদেরকে জানান, জসিম হাওলাদার ঘরে এসেছিল। তিনি হয়তো খাবারের সঙ্গে কোন কিছু মিশিয়ে দিয়েছেন। এরপর স্থানীয় লোকজন জসিম হাওলাদারকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি রান্না করার খাবারের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে দেয়ার কথা শিকার করেন। ঘটনার সময় ওই জেলে বাড়ি ছিলেন না। মাছ শিকারের জন্য নদীতে ছিলেন। ঘটনা শুনে রবিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকালে তিনি বাড়ি আসেন।

চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ফারুক হোসেন জানান, আটক জসিম হাওলাদার ধর্ষণের উদ্দেশ্যে খাবারের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে দেয়ার কথা তাদের কাছে স্বীকার করেছেন। খবর পেয়ে বাউফল থানার এসআই সাইদুর রহমান হাসানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে জসিমকে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন।

অসুস্থদের মধ্যে রবিবার দুপুরে ওই জেলের স্ত্রী ও বড় মেয়ে ও ছোট ছেলের জ্ঞান ফিরলেও অন্য দুই জনের জ্ঞান ফিরেনি। সংশ্লিষ্ট চিকিৎক জানিয়েছেন, তারা সবাই শারীরিকভাবে অসুস্থ। সুস্থ হতে কয়েক দিন সময় লাগবে।

চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এনামুল হক আলকাস মোল্লা বলেন, আটক জসিম হাওলাদার একজন খারাপ চরিত্রের লোক। এর আগেও তিনি এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছেন। জসিম খাবারের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে দেয়ার কথা স্বীকার করলেও ধর্ষণের উদ্দেশ্য খাবারের সঙ্গে ওষুধ মিশিয়ে দেয়ার কথা অস্বীকার করেছেন।

বাউফল থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, যেহেতু পরিবারের সদস্যরা অসুস্থ। তারা সুস্থ্ হওয়ার পরে বক্তব্য শুনে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।