আত্মহত্যা: পড়ার আগ্রহ ছিল ইতির, তোয়াক্কা করেনি স্বামী
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০১:০২ পিএম
ইতি
স্বামী ও শাশুড়ির অত্যাচার সইতে না পেরে ঘরের আড়ায় শাড়ি পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছেন ইতি বেগম (১৮) নামের এক বধূ। তিনি টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার হাদিরা দক্ষিণপাড়া গ্রামের ব্যবসায়ী আল আমিন মিয়ার স্ত্রী।
শনিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পড়াশুনা নিয়ে কথা বলতেই আল আমিনের ব্যাপক নির্যাতন করার কথা ইতি ফোনে বাবাকে জানায়। তার বাবার অভিযোগ, নির্যাতন সইতে না পেরে ইতি আত্মহত্যা করেছে । তিনি এ ঘটনার বিচার দাবি করেন।
বাবা দুলাল মিয়া জানান, ইতি ছিল মেধাবী ছাত্রী। ওর স্বপ্ন ছিল কলেজে পড়াশোনা করার। কিন্তু গত এইচএসসি পরীক্ষায় ফরম ফিলাপ করার পরেও ইতিকে পরীক্ষা দিতে দেয়নি আল আমিন। মেয়েটি মাঝেমধ্যেই কলেজে পড়াশোনা করবে বলে বায়না ধরতো। আর এজন্য ইতির উপর প্রায়ই মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করা হতো।
এদিকে আল আমিন জানায়, ইতি ছিল অভিমানী মেয়ে। সামান্য কথাকাটির ঘটনায় সে এমন সর্বনাশা কাণ্ড করেছে। তাকে কোন নির্যাতন করা হয়নি।
স্থানীয় ইউপি সদস্য সবুর হোসেন জানান, ইতি ছিলেন আল আমিনের দ্বিতীয় স্ত্রী। বছর তিন আগে একই গ্রামের মুত্তালিব হোসেনের কন্যা সেলিনাকে বিয়ে করেছিলেন আল আমিন।
সেলিনার বাবা মুত্তালিব হোসেন জানান, কন্যা সন্তান জন্ম দেয়ায় সেলিনাকে প্রায়ই মারধর করতো আল আমিন ও তার পরিবার।নির্যাতন সইতে না পেরে সেলিনা তার অবুঝ শিশু কন্যাসহ বাবার বাড়ি চলে আসেন। পরে ডিভোর্সের মাধ্যমে সেলিনার সংসার ভেঙে যায়।
হাসিনা বেগম নামের এক প্রতিবেশী বলেন, আল আমিন মাত্র পাঁচ মাস আগে যৌতুক নিয়ে একই উপজেলার ঝাওয়াইল গ্রামের দুলাল মিয়ার কন্যা ইতিকে দ্বিতীয় বিয়ে করেন।