বাউফলের একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাল সনদ দিয়ে ৩০ বছর ধরে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বসহ সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করে আসছেন বলে চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গেছে। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিশ্চিত করে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে জানা গেছে, বাউফলের নওমালা ইউনিয়নের ১৮৫ নং নয়ারহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. শাহানুর হোসেন ১৯৮৯ সালের ১ জানুয়ারি তৎকালীন নয়ারহাট রেজিষ্টার্ড প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন।

সরকারি বিধি অনুযায়ী, প্রধান শিক্ষক পদে যোগদানের জন্য শিক্ষাগত যোগ্যতা হিসেবে এসএসসি, এইচএসসি ও স্নাতক পর্যায়ের পরীক্ষায় যে কোন একটিতে দ্বিতীয় বিভাগে পাস করতে হবে। কিন্তু মো. শাহানুর হোসেন ওই তিনটি পরীক্ষায়ই তৃতীয় বিভাগে উত্তীর্ণ হয়েছিলেন। কিন্তু তিনি এসএসসির সনদ জাল করে দ্বিতীয় বিভাগ দেখিয়ে ওই বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন।

দীর্ঘদিন পর এ ঘটনা জানা জানি হলে ২০১৯ সালের ২৫ নভেম্বর ইসমাইল হোসেন নামের এক ব্যক্তি প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবরে মো. শাহানুর হোসেনের বিরুদ্ধে সনদ জাল করার লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তদন্তে নামেন।

একাধিকবার তদন্তে মো. শাহানুর হোসেন এসএসসির সনদ জাল করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়। এরপর প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তেরর বরিশাল বিভাহীয় উপপরিচালক মো. শাহানুরের বিরুদ্ধে অভিযোগ আংশিক প্রমাণিত হয়েছে। তার বেতন-ভাতাদি বন্ধ করার জন্য বাউফল উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে চিঠি দেন।

শনিবার বাউফল উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. রিয়াজুল হক জানান, অভিযোগের আগে বিষয়টি আমাদের জানা ছিল না। তদন্তে সনদ জাল করার প্রাথমিক প্রমাণ মিলেছে। চলতি মাস থেকেই ওই শিক্ষকের বেতনভাতা বন্ধ করা হচ্ছে এবং তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।