×

রাজধানী

সচেতনতাই করোনা প্রতিরোধে মুখ্য ভূমিকা রাখবে

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০৫:৪৬ পিএম

সচেতনতাই করোনা প্রতিরোধে মুখ্য ভূমিকা রাখবে

সভায় শেখ তাপস। ছবি: ভোরের কাগজ।

আতঙ্ক নয়, সচেতনতাই করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে মুখ্য ভূমিকা রাখতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।

আজ বৃহস্পতিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) নগর ভবনে জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন উপলক্ষে অবহিতকরণ, পরিকল্পনা ও সাংবাদিক ওরিয়েন্টেশন সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

ডিএসসিসি মেয়র বলেন, আমাদের শিশুদের মধ্যে এখনো অনেকেরই শারীরিক প্রয়োজনীয়তা অনুসারে প্রয়োজনীয় পুষ্টি নেয়ার হার সন্তোষজনক নয়। এটা শুধু তাদের খাবার ঘাটতির জন্যই নয়, মূল কারণ হলো খাবারে সুষম পুষ্টি নেয়ার ব্যাপারে আমাদের প্রয়োজনীয় সচেতনতার অভাব। সেজন্যই জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইনের গুরুত্ব অনেক বেশি।

ব্যারিস্টার তাপস বলেন, করোনাকালে জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইনের সফল বাস্তবায়ন করতে হলে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে অনেক বেশি সর্তক থাকতে হবে। কেন্দ্রে যেসব শিশু আসবে, তাদের মা কিংবা অভিভাবকের মাধ্যমে এই ক্যাপসুল খাওয়াতে পারলে, সবচেয়ে সুরক্ষা নিশ্চিত সম্ভব হবে। সেজন্য শিশু ও তাদের পিতা-মাতার প্রতি অনেক বেশি সংবেদনশীল ও আন্তরিক আচরণ করতে হবে।

শিশুদের মায়ের বুকের দুধ খাওয়ানোর ওপর গুরুত্ব দিয়ে মেয়র বলেন, ভিটামিন এ খাওয়ানো মানেই মায়ের দুধ খাওয়ানো লাগবে না এ কথা যেন কেউ মনে না করেন। বাচ্চাদের ক্যাপসুল দেয়ার সময় এই বার্তাটাও দেবেন যে, মায়ের দুধ খাওয়াতে হবে। কারণ শিশুদের রোগ প্রতিরোধের ওষুধ হিসেবে কাজ করে মায়ের বুকের দুধ। সেটা যেন অন্তত দুই বছর পর্যন্ত খাওয়ানো হয়, এজন্য তাদেরকে উৎসাহিত করা হবে। তিনি বলেন, বাচ্চাদের ছোট মাছের মাথাও যেন খাওয়ানো হয়। অনেকেই ছোট মাছ, বিশেষ করে মলা-ঢেলার মাথা কেটে ফেলে রান্না করেন। ছোট মাছের মাথায় যে ভিটামিন থাকে, সে বিষয়েও সচেতন থাকতে হবে।

অনুষ্ঠানে ক্যাম্পেইনের আদ্যোপান্ত তুলে ধরেন ডিএসসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. শরীফ আহমেদ। এসময় উপস্থিত ছিলেন,-প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী, জাতীয় পুষ্টি সেবার লাইন ডাইরেক্টর, ঢাকার সিভিল সার্জন, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাগণ, ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালের পরিচালকের প্রতিনিধিসহ স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এসআইএমওগণ ওরিয়েন্টশন সভায় উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, আগামী ৪ অক্টোবর থেকে ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত পক্ষকালব্যাপী এই ক্যাম্পেইন পরিচালনা করা হবে। ২ হাজার ৯৭৪ জন স্বেচ্ছাসেবক ও ১১২ জন সুপারভাইজারের তত্ত্বাবধানে ডিএসসিসি এলাকায় ১ হাজার ৪২৭টি কেন্দ্রে এই কর্মসূচি পালন করা হবে। প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত কেন্দ্রগুলোতে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী ৫২ হাজার ১৭৬ জন শিশুকে একটি করে নীল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী ৩ লাখ ৪ হাজার ৪৬০ শিশুকে একটি করে লাল রঙের ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App