কুড়িগ্রামের উলিপুরে এক নারীর সঙ্গে মধ্যরাতে অবৈধ সম্পর্কে লিপ্ত থাকার অভিযোগে আওয়ামী লীগ নেতা মুকুল মণ্ডলকে পিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার (২৩ সেপ্টেম্বর) উপজেলার দলদলিয়া ইউনিয়নের সাহেবের কুঠি মিয়াপাড়া গ্রামে। আটক মুকুল পূর্ব নাওডাঙা গ্রামের আব্দুল ওহাবের ছেলে এবং উলিপুর পৌরসভার ২নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।

স্থানীয়রা সূত্রে জানা গেছে, একই এলাকার ঢাকায় কর্মরত এক রাজমিস্ত্রির স্ত্রী ৩ সন্তানের জননীর সঙ্গে মুকুল মণ্ডলের অবৈধ সম্পর্ক চলছিল। ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে মুকুল দীর্ঘদিন ধরে ওই বাড়িতে যাওয়া আসা করায় এলাকার মানুষের মধ্যে নানা আলোচনা সমালোচনা ছিল।

গেল বুধবার রাতে প্রবল বৃষ্টি উপেক্ষা করে মুকুল ওই নারীর ঘরে ঢুকলে স্থানীয় লোকজনের চোখে পড়ে। পরে তারা সংঘবদ্ধ হয়ে ওই বাড়িতে উপস্থিত হলে মুকুল ঘরের বেড়া ভেঙে পালিয়ে যাওয়ার সময় একটি ডোবায় পড়ে যান। এসময় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী তাকে আটক করে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেন।

খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে আহত মুকুলকে উদ্ধার করে রাতেই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করায়। বৃহস্পতিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল-হাজতে পাঠানো হয়েছে। এদিকে ওই নারীকে গ্রাম থেকে বিতাড়িত করতে স্থানীয় কয়েকজন মাতব্বর বৈঠকের আয়োজন করেছে বলে একটি সূত্র জানিয়েছে।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, মুকুল দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকে দেশি মাছসহ নানা ধরনের জিনিসপত্র উপঢৌকন দিয়ে এলাকায় নানা অপকর্ম চালিয়ে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করে আসছিলেন।

পৌরসভার ২নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি নুর আলম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি-সম্পাদককে জানাবো।

উলিপুর পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম বলেন, বিষয়টি শুনেছি, তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনা উৎঘাটন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

উলিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোয়াজ্জেম হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, কেউ মামলা না দেয়ায় তাকে সন্দেহজনক ধারায় আদালতের মাধ্যমে জেল-হাজতে পাঠানো হয়েছে।