×

সারাদেশ

ফুলছড়ির প্রতিবন্ধী সাদিককে দেখতে গেলেন ইউএনও

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২২ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০৭:০৪ পিএম

ফুলছড়ির প্রতিবন্ধী সাদিককে দেখতে গেলেন ইউএনও

সাদিককের পাশে গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আবু রায়হান দোলন

গত ২০ সেপ্টেম্বর ভোরের কাগজ লাইভে ‘সাদিকের পা বাঁধা ১০ বছর ধরে’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর সাদিককে দেখতে গিয়েছিলেন গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আবু রায়হান দোলন। সোমবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ফুলছড়ি উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের পূর্ব কাতলামারী গ্রামের বাসিন্দা প্রতিবন্ধী সাদিক হোসেনকে দেখতে গিয়ে চাল, ডাল, তেল, লবণ, চিনি, সেমাইসহ বিভিন্ন খাদ্যসামগ্রী উপহার দেন তিনি। এসময় উপজেলা সমাজসেবা অফিসার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মোহাম্মদ আবু সুফিয়ান, গজারিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শামসুল আলম, ইউপি সদস্য আব্দুর সবুর সরকার উপস্থিত ছিলেন। ইউএনও মো. আবু রায়হান দোলন বলেন, সাদিকের বাবা আইয়ুব হোসেন কাজ করতেন একটি এনজিওতে। ছেলের চিকিৎসা করাতে গিয়ে সহায়-সম্বল শেষ করে সর্বশান্ত। অর্থাভাবে ছেলের চিকিৎসা করাতে না পেরে দুঃশ্চিন্তায় হঠাৎ হার্টঅ্যাটাকে মারা যান। মারা যাওয়ার এক বছর পর সাদিকের মা ছকিনা বেগম মেয়ে মিষ্টি বেগম ও ছেলে সাদিককে ফেলে অন্যত্র বিয়ে করে সংসার করছেন। তারপর থেকে দাদি রহিমা বেওয়ার কাছে আশ্রয় হয় সাদিকের। তিনি বলেন, দীর্ঘ ১০ বছর ধরে সাদিকের পায়ে দঁড়ি অথবা মোটা কাপড় দিয়ে বেঁধে রাখা হয় একটি কুঁড়েঘরে কখনও বা বাড়ির উঠানে। এ অবস্থায় মানবেতর জীবন পার করছে বাবা-মা হারা প্রতিবন্ধী ছেলেটি। বিষয়টি জানার পর সাদিকের বাড়িতে গিয়ে খোঁজখবর নেই। কিছু খাদ্যসামগ্রী প্রদান করা হয়। এছাড়াও সাদিকের চিকিৎসার জন্য উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাকে সার্বিক সহযোগিতা করা হবে। ইউএনও আরও বলেন, সাদিকের পুর্নবাসনের বিষয়ে খোঁজখবর নিয়েছি। চট্রগ্রামে মানসিক প্রতিবন্দী শিশু কেন্দ্রে আপাতত জায়গা নেই, তাই যদি সাদিকের পরিবার চায় তাহলে তাকে গাজীপুরে প্রতিবন্ধী শিশু কেন্দ্রে পুর্নবাসনের ব্যবস্থা করা হবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App