×

শিক্ষা

প্রাতিষ্ঠানিক ই-মেইল চায় ইবি শিক্ষার্থীরা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২২ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০৩:৪০ পিএম

এখনও একটি প্রাতিষ্ঠানিক ই-মেইল জোটেনি দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সর্ববৃহৎ বিদ্যাপীঠ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শিক্ষার্থীদের ভাগ্যে। ফলে ই-লার্নিং, শিক্ষাবৃত্তি ও গবেষণায় নানা জটিলতার মুখোমুখি হতে হচ্ছে বলে দাবি শিক্ষার্থীদের।

প্রতিষ্ঠার পর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে এমফিলে মোট ৬৭৬ জন এবং পিএইচডিতে ৪৭৪ জন গবেষক এ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন। সারাবিশ্বের স্বনামধন্য জার্নালগুলোতে গবেষকদের প্রকাশিত গবেষণা প্রবন্ধ পড়া, গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশনা, গবেষণা অনুদান প্রাপ্তি ও শিক্ষাবৃত্তির জন্য আবেদনসহ নানা কাজে প্রয়োজন হয় প্রাতিষ্ঠানিক ই-মেইলের। কিন্তু এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আদৌ ইবি প্রশাসনের কোনো তৎপরতা দেখা যায়নি। ফলে গবেষণায় আগ্রহী শিক্ষার্থীরা পড়ছেন নানা জটিলতায়। অনেকে আগ্রহ হারাচ্ছেন নানামুখী গবেষণায়।

সম্প্রতি ঢাকা, জাহাঙ্গীরনগর ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষার্থীদের প্রাতিষ্ঠানিক ই-মেইল প্রদানের অঙ্গিকার ব্যক্ত করেছে। কিন্তু ইবি প্রথম সারির বিশ্ববিদ্যালয় হয়েও শিক্ষার্থীরা কেন প্রাতিষ্ঠানিক ই-মেইল পাচ্ছে না তা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করছেন শিক্ষার্থীরা।

মহামারির এই দুঃসময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের প্রাতিষ্ঠানিক ই-মেইল না থাকার কারণে আন্তর্জাতিক অনলাইন প্লাটফর্মগুলো থেকে একাডেমিক, ব্যবহারিক এবং ক্যারিয়ার বিষয়ক অনেক দক্ষতা অর্জন থেকে পিছিয়ে পড়ছে। এছাড়াও আনলিমিটেড গুগল ড্রাইভ ব্যবহার, বিভিন্ন লার্নিং এণ্ড ডেভেলপমেন্ট সফটওয়্যারের ফ্রি এক্সেসসহ আরও অনেক সুবিধা গ্রহণে বঞ্চিত হচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। স্নাতক শেষে দেশের বাহিরের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আবেদন করতে গিয়েও বাজে অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হচ্ছে অনেকে।

এ ব্যাপারে ইনফরমেশন এণ্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি বিভাগের শিক্ষার্থী তানিয়া আফরোজ তমা বলেন, "গবেষণার জন্য অনলাইনে বিভিন্ন কোর্স/পেপার পড়তে হয়। প্রফেসরকে ইমেইল করতে হয়। কিন্তু তারা প্রাতিষ্ঠানিক ই-মেইল ছাড়া কোন কিছু শেয়ার করতে চায় না। আমি এ ব্যাপারে কয়েকবার ঝামেলায় পড়েছি। প্রাতিষ্ঠানিক ই-মেইল না থাকায় বিভাগের স্যারদের মেইল ব্যবহার করতে হয়েছে। আমরা চাই ইবি প্রশাসন এ বিষয়ে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করে আমাদের প্রাতিষ্ঠানিক ই-মেইল দেওয়ার ব্যবস্থা করুক।"

বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেলের পরিচালক অধ্যাপক আহসান উল আম্বিয়া জানান, "এ ব্যাপারে আমাদেরও চিন্তাভাবনা আছে। কিছু প্রসিজিউর তথা প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত এবং অথেনটিকেশনের ব্যাপার আছে। আমরা টেকনিক্যাল বিষয়গুলো দেখছি। ক্যাম্পাস খুললে, উপাচার্য নিয়োগ সম্পন্ন হলে আমরা কাজ শুরু করব।

উপ-উপাচার্য অধ্যাপক শাহিনুর রহমান বলেন, "উপাচার্য না থাকায় এব্যাপারে আমি কোন সিদ্ধান্ত দিতে পারি না। উপাচার্য নিয়োগ হোক তারপর সিদ্ধান্ত গৃহিত হবে।"

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App