×

জাতীয়

জমা হল ২৭১ সদস্যের ঘোষণা কেন ১৪৯

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২১ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০৬:৫৭ পিএম

ছাত্রদলের বড় একটি অংশের প্রত্যাশা ছিল সামনে যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের যে কমিটিই হোক সেখানে তাদের মূল্যায়ন হবে। কিন্তু স্বেচ্ছাসেবক দলের ঘোষিত কমিটিতে তাদের অনেকেরই স্থান হয়নি। স্বেচ্ছাসেবক দলের সুপারফাইভের এক নেতার প্রশ্ন কমিটি জমা দিলাম ২৭১ সদস্যের, সেখানে ঘোষণা হল ১৪৯ সদস্যের। কেন? সব মিলিয়ে স্বেচ্ছাসেবক দলে ক্ষোভ বাড়ছেই।

জানতে চাইলে সেচ্ছাসেবক দলের শীর্ষ পর্যায়ের এক নেতা জানান, আংশিক পূর্নাঙ্গ কমিটিতে ছাত্রদলের সাবেক নেতারা একেবাওে নেই তা নয়। তবে প্রত্যাশার তুলনায় কম সংখ্যক নেতাকে পদ দেয়া হয়েছে-তা অস্বীকার করা যাবে না। আমরা ২৭১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের কাছে জমা দিয়েছিলাম। সেখানে ছাত্রদলের সাবেক অনেক নেতাদের নাম ছিল। স্বেচ্ছাসেবক দলের অনেক ত্যাগী নেতার নাম ছিল। কিন্তু ঘোষনা করা হয়েছে ১৪৯ সদস্যের আংশিক কমিটি। তাই অনেকে বাদ পড়েছেন। আশা করছি পরবর্তী পূর্নাঙ্গ কমিটিতে অনেককেই দেখা যাবে। সেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটিতে পদ না পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাবেক ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতারা।

তবে, ক্ষুব্ধ নেতারা কেউ নিজের নাম প্রকাশ করতে চাননি। এ নিয়ে রাজধানীর একটি হোটেলে গত রবিবার বৈঠকও করেছেন তারা। সেখানে যুব ও সেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটিতে তাদেরকে না রাখা কোন ‘ষড়যন্ত্র’ কিনা তা খতিয়ে দেখতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন। পরবর্তীতে বৈঠক করে তারা করনীয় নির্ধারণ করবেন বলে জানা গেছে।

শনিবার সেচ্ছাসেবক দলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষনার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যেমেও ছাত্রদলের সাবেক নেতাদের ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গেছে। তারা জানান, যুব ও সেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটিতে ত্যাগী ও পরীক্ষিত ছাত্রদলের সাবেক নেতাদের পদ দেয়া হবে-এমন আশ্বাস দেয়া হয়েছিল। অথচ বাস্তবে তা দেখা যায়নি। সর্বশেষ সেচ্ছাসেবক দলে যাদেরকে পদ দেয়া হয়েছে ব্যবসায়ী, নিস্ক্রীয় ও বিদেশে থাকা লোকজনও রয়েছেন। অথচ ছাত্রদলের সাবেক নেতাদের মূল্যায়ন করা হয়নি, যা দুঃখজনক।

ছাত্রদলের সাবেক এক সহসভাপতি বলেন, ৯ বছর ধরে কোনো সংগঠনে জায়গা হয়নি। ওয়ান ইলেভেনে আমরা রাজপথে ছিলাম, অতীতের সব আন্দোলনে ছিলাম। মামলায় জর্জরিত। অথচ আমাদের মূল্যায়ন করা হল না। তিনি আরও বলেন, সবেক নেতাদের বেশিরভাগই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করেছেন। অথচ আমরা এখন রাস্তায় রাস্তায় ঘুরছি। পরিবারের কাছে কোন সদোত্তর দিতে পারি না। কোন সংগঠনে পদ থাকলে অন্তত একটা পরিচয় থাকে তাও নেই।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App