×

সারাদেশ

কেশবপুরে সাড়া ফেলেছে গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২০ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০১:৩৩ পিএম

কেশবপুরে সাড়া ফেলেছে গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষ

যুবক ইমরান হোসেনের অসময়ে (গ্রীষ্মকালিন) তরমুজ চাষাবাদ

যশোরের কেশবপুর উপজেলার ঝিকরা গ্রামের শিক্ষিত যুবক ইমরান হোসেনের অসময়ে (গ্রীষ্মকালিন) তরমুজ চাষাবাদ সাড়া জাগিয়েছে। তিনি উপজেলা কৃষি বিভাগের দিকনির্দেশনায় পরীক্ষামূলকভাবে ২৬ শতক জমিতে ব্লাকবেরি জাতের তরমুজ আবাদ করে বাম্পার ফলন পাওয়ায় এলাকার অনেক যুবক এ আবাদে ঝুঁকেছেন। ফলে এ উপজেলায় গ্রীষ্মকালিন তরমুজ চাষের বাণিজ্যিক সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।

জানা গেছে, কেশবপুর উপজেলার ঝিকরা গ্রামের সামাদ মোড়লের ছেলে ইমরান হোসেন বিবিএ শেষ বর্ষের ছাত্র। দেশব্যাপী করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে তার কলেজ ৭ মাস বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় বাড়িতে অলস সময় ব্যয় না করে ইমরান হোসেন কিছু একটা করার সিদ্ধান্ত নেয়। এ সময় সে ইউটিউবে গ্রীষ্মকালীন তরমুজের আবাদ দেখে উদ্বুদ্ধ হন। তার আগ্রহ দেখে উপজেলা কৃষি বিভাগ এগিয়ে আসে। কৃষি বিভাগ বৃহত্তর কুষ্টিয়া ও যশোর অঞ্চল কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় তার ২৬ শতক জমির মধ্যে ১৫ শতক জমিতে প্লট প্রদর্শনীর মাধ্যমে ব্লাকবেরি জাতের তরমুজ আবাদের পরিকল্পনা নেয়। এ সময় ইমরান হোসেনও তার অবশিষ্ট ১১ শতক জমিতে তরমুজ আবাদের সিদ্ধান্ত নিয়ে ক্ষেত পরিচর্যা শুরু করেন। গ্রীষ্মের শুরুতেই তিনি ক্ষেতে তরমুজের বীজ বপন করেন। ফসলের নিয়মিত পরিচর্যা করায় ৩ মাসের মধ্যে গাছে ফল আসা শুরু হয়। বর্তমানে তিনি তরমুজের ভালো ফলন আশা করছেন।

এ ব্যাপার ইমরান হোসেন জানান, তার ক্ষেতে তরমুজের ফল আসা পর্যন্ত খরচ হয়েছে ৩০ হাজার টাকা। বর্ষা মৌসুমে মাটির ওপর তরমুজ রাখলে নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় তিনি সমস্ত ক্ষেতে টং আকারে নেটের জাল বিছিয়ে দিয়েছেন। পোকার আক্রমণ থেকে ফসল রক্ষায় ক্ষেতে ফেরোমন ফাঁদ ব্যবহার করা হয়েছে। তার ক্ষেত থেকে ১ হাজার পিস তরমুজ উৎপাদন হবে বলে তিনি আশাবাদী। অসময়ে তরমুজ উঠছে বলে এর বাজার দরও বেশি। বর্তমান বাজারে প্রতিমন তরমুজ ১৫০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। সমস্ত খরচ বাদে তার লাভ হবে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা। এলাকায় অসময়ে আধুনিক প্রযুক্তির তরমুজ ক্ষেত সাড়া ফেলায় বিভিন্ন এলাকা থেকে লোক আসছেন দেখতে।

এদিকে অসময়ে আবাদকৃত তরমুজ ক্ষেত গত ১৬ সেপ্টেম্বর পরিদর্শন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুসরাত জাহান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মহাদেব চন্দ্র সানা, কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মুনির হোসেন, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা পুলক কুমার শিকদার, শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা বিমল কুমার কুন্ডু, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা রিজিবুল ইসলাম। এ সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ আবাদ উপজেলাব্যাপী ছড়িয়ে দিতে কৃষি কর্মকর্তাকে নির্দেশনা প্রদান করেন।

এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মহাদেব চন্দ্র সানা বলেন, এ দেশের আবহাওয়ায় গ্রীষ্মকালিন তরমুজ খুবই উপযোগী ও খেতে সুস্বাদু। অসময়ে উৎপাদিত ফসলের দাম বেশী হওয়ায় কৃষক লাভবান হয়। এ কারণে সব সময় নতুন জাতের ফসল আবাদে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App