×

সারাদেশ

অবৈধ বালু উত্তোলনের অনুমতি দিলেন ইউএনও

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২০ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০২:০০ পিএম

অবৈধ বালু উত্তোলনের অনুমতি দিলেন ইউএনও

অবৈধ বালু উত্তোলনে লিখিত অনুমতি দিয়েছেন কমলনগর (ইউএনও) মোহাম্মদ মোবারক হোসেন।

অবৈধভাবে ড্রেজার মেশিনে বালু উত্তোলন আইনিভাবে নিষেধাজ্ঞা থাকার পরেও সম্প্রতি ইউসুফ নামের এক ব্যক্তিকে বালু উত্তোলনে লিখিত অনুমতি দিয়েছেন কমলনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ মোবারক হোসেন।

এর আগেও চরকাদিরা ইউপির চরঠিকা আশ্রয়ন প্রকল্পে বালু উত্তোলন করার অনুমতি দিয়ে ব্যাপক সমালোচিত হয়েছিলেন সাবেক নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইমতিয়াজ হোসেন।

জানা যায়, চরকাদিরা ইউপি'র চরঠিকা মৌজার ৪৩৪ নম্বর খতিয়ানভূক্ত ৫৭৭ নম্বর দাগে ২ একর ২৯ ডি: জমির খরিদ সূত্রে মালিক স্থানীয় সামছুল হক গং।

একই গ্রামের পুলিশ কনস্টেবল মো: ইউসুফ উক্ত জমির মালিকানা দাবি করা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে দু'পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। এতে শামছুল হক বাদী হয়ে গত ৮ই মার্চ ২০২০খ্রি: লক্ষ্মীপুর অতি: জেলা প্রশাসক(রাজস্ব)বরাবর একটি মামলা দায়ের করেন। আদালতে মামলা চলমান সত্যেও প্রতিপক্ষ পুলিশের কনস্টেবল ইউসুফ ওই জমিতে পুকুর ভরাট করে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন শুরু করে।

আদালতে বিদ্যমান মামলা, বেআইনিভাবে জমি দখল ও পুকুর ভরাটে নিষিদ্ধ বালু উত্তোলন বন্ধে সহকারী ভূমি কমিশনার(এসিল্যান্ড)কমলনগর বরাবর লিখিত আবেদন করেন মামলার বাদী শামছুল হক গং।

অভিযোগের আলোকে এসিল্যান্ড অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ করে দিলেও পরবর্তী গত ১৪ই সেপ্টেম্বর তারিখে উল্লেখিত ০৫.৪২.৫১৩৩.০০০.০২০.০০৮.২০২০ স্মারকে পুলিশ কনস্টেবল ইউসুফ গংকে লিখিতভাবে বালু উত্তোলন করার অনুমতি প্রদান করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও)।

এ ব্যাপারে স্থানীয় আবুল কাশেম, মো: হারুন, আব্দুর রশীদ ও আব্দুর রব বলেন, ইউসুফ পুলিশে চাকরি করার প্রভাব খাটিয়ে শামছুল হকের মালিকানা সম্পত্তির ওপর নিজেকে কথিত মালিকানা দাবি করে অহেতুক ঝামেলা করছে।

এদিকে শামছুল হক বলেন, অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে প্রশাসনকে অবগত করার পরেও এর কোনো প্রতিকার হয়নি বরং আদালতে নালিশি অভিযোগ থাকা সত্বেও আমার মালিকানার ভূমিতে ইউএনও প্রতিপক্ষকে অবৈধভাবে ড্রেজিং পদ্ধতিতে বালু উত্তোলন করার অনুমতি দিয়েছেন। এতে জমির নিকটবর্তী ৯টি বসতঘরসহ তৎসংলগ্ন ফসলি জমি ধ্বংসের মুখে পড়বে বলে জানান তিনি।

সূত্র জানায়, ২০১০ সনের বালু উত্তোলন নীতিমালায় ইঞ্জিনচালিত মেশিন দ্বারা ড্রেজিং পদ্ধতিতে নদীর তীরবর্তি ও মালিকানা ফসলি ভূমি থেকে বালু উত্তোলন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। অথচ বালু দস্যুরা সরকারি আইন অমান্য করে ড্রেজার মেশিন দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে অহরহ। প্রশাসন তা দেখেও না দেখার ভান করছে।

এদিকে বালু উত্তোলনকারী ইউসুফের সাথে যোগাযোগ করার চেস্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে কমলনগর উপজেলা সহকারী ভূমি কমিশনার (এসিল্যান্ড) পুদম পুষ্প চাকমা বলেন, অভিযোগ পেয়ে বালু উত্তোলন বন্ধ করে দিয়েছিলাম। তবে ইউএনও মহোদয় লিখিত অনুমতি দিয়েছেন শুনেছি। আশাকরি তেমন কোনো সমস্যা হবে না।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ মোবারক হোসেন বলেন, পুকুর করার জন্য বালু উত্তোলনের একটা আইন আছে, ঐ আইনের আলোকে বালু উত্তোলনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App