×

জাতীয়

সীমান্তহত্যা শূন্যে নামিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১২:০৫ পিএম

সীমান্তহত্যা শূন্যে নামিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি

বিজিবি-বিএসএফের মহাপরিচালক পর্যায়ে বৈঠক

ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের প্রধান রাকেশ আস্থানা বলেছেন, সীমান্তহত্যা শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে আমরা বাংলাদেশের কাছে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তবে করোনা মহামারির কারণে গেল মার্চ মাস থেকে সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফের যৌথটহল ব্যবস্থা শিথিল থাকার কারণে সীমান্তহত্যা কিছুটা বেড়েছে। শনিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ে সম্মেলন শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। এর আগে গেল বৃহস্পতিবার পিলখানায় বিজিবি সদর দপ্তরে এ সম্মেলন শুরু হয়। এতে বিজিবির মহাপরিচালক সাফিনুল ইসলামের নেতৃত্বে ১৩ সদস্যের প্রতিনিধিদল অংশ নেয়। বিএসএফের তরফ থেকে অংশ নেয় রাকেশ আস্তানার নেতৃত্বে ছয় সদস্যের প্রতিনিধিদল। সীমান্ত হত্যা ও নির্যাতন শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে বিজিবি-বিএসএফের সম্মতি ও যৌথ আলোচনার দলিল স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে শনিবার শেষ হয়েছে এ সম্মেলন। পরে দুই বাহিনী প্রধান যৌথ সংবাদ সম্মেলন করেন। বিএসএফ মহাপরিচালক বলেন, বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে প্রাণঘাতী নয় এমন অস্ত্র ব্যবহারের জন্য বিএসএফের সকল পর্যায়ে নির্দেশনা রয়েছে। পরিস্থিতি সর্বশেষ পর্যায়ে না পৌঁছা পর্যন্ত বিএসএফ জওয়ানরা সরাসরি গুলিবর্ষণ করে না। রাকেশ আস্থানা আরো বলেন, কোভিড-১৯ মহামারীর সময় অর্থাৎ গত মার্চ মাস থেকে সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফের যৌথ টহলব্যবস্থা অনেকটা শিথিল হয়ে যায়। এসময় উভয় পাশের অপরাধীরাই বেশি সক্রিয় থাকায় কিছু হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এই বিষয়টি নিয়ে এবারের বৈঠকেও আমাদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। আমরা হত্যাকাণ্ড শূন্যের কোঠায় কমিয়ে আনতে কাজ করছি। বিএসএফ ডিজি আরো বলেন, বিজিবি-বিএসএফ গোয়েন্দা তথ্য আদান-প্রদানের মাধ্যমে সীমান্তহত্যা কমিয়ে আনা হবে। আমাদের বৈঠক খুবই ফলপ্রসূ হয়েছে। সীমান্ত সংক্রান্ত সব ইস্যুতেই আমরা কথা বলেছি। সীমান্তে অপরাধ কমিয়ে আনতে কী কী ব্যবস্থা নেয়া হবে সে বিষয়ে আমাদের সিদ্ধান্ত হয়েছে। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের প্রতিটি ঘটনার ব্যাপারে বিএসএফের তদন্ত করা হয়। গুলি করার প্রয়োজনীয়তা ছিল কিনা তা খতিয়ে দেখা হয়। বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল সাফিনুল ইসলাম বলেন, সীমান্ত হত্যাকাণ্ড নিয়ে আমাদের মধ্যে বিস্তর আলোচনা হয়েছে। বিএসএফ মহাপরিচালক হত্যাকাণ্ড শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে কাজ করবেন বলে আমাদের আশ্বস্ত করেছেন। সীমান্তে যেন কোনো ধরনের মানবাধিকার লংঘন না হয় সে ব্যাপারে কাজ করবেন। শিগগিরই সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফের পেট্রোলিং শুরু হবে। আলোচনায় মাদক পাচার, মানব পাচার, পশু পাচার প্রতিরোধে আমরা একসঙ্গে কাজ করব। বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলে বিজিবির অতিরিক্ত মহাপরিচালক ও বিজিবি সদরদপ্তরের সংশ্লিষ্ট স্টাফ অফিসার ছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, যৌথ নদী কমিশন এবং ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা প্রতিনিধিত্ব করেন। ভারতীয় প্রতিনিধিদলে বিএসএফ সদরদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং ভারতের স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা ছিলেন। সম্মেলন শেষে বিএসএফ প্রতিনিধিদল ঢাকা ত্যাগ করার কথা রয়েছে। এই সম্মেলনে যোগ দিতে তারা গত ১৬ সেপ্টেম্বর ঢাকায় আসে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App