×

সারাদেশ

সরকারি বরাদ্দ এলেও নামেমাত্র কাজ হয়

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০৬:৪১ পিএম

সরকারি বরাদ্দ এলেও নামেমাত্র কাজ হয়

রাস্তাটি ভেঙে সৃষ্টি হয়েছে খানাখন্দের। ছবি: প্রতিনিধি।

সরকারি বরাদ্দ এলেও নামেমাত্র কাজ হয়

ছবি: প্রতিনিধি

কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলায় অভ্যন্তরীণ যোগাযোগ ব্যবস্থা একেবারেই বেহালদশায় পরিণত হয়েছে। উপজেলায় কাঁচাপাকা প্রায় ৭০টি রাস্তা কয়েক বারের বন্যায় ভেঙে সৃষ্টি হয়েছে অসংখ্য খানা খন্দের। যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের জনসাধারণ পড়েছে চরম দুর্ভোগে। অনেকেই অভিযোগ করে বলেন, কোথাও রাস্তার মাঝখানের পাথরসহ খোয়া উঠে বড় বড় খানা খন্দের সৃষ্টি হয়েছে। প্রতি বছর সরকারি বরাদ্দ টিআর, কাবিখা, কাবিটা, এলজিএসপি, লজিক প্রকল্প, এলজিইডিসহ বিভিন্ন প্রকল্প দেয়া হলেও নাম মাত্র কাজ করে ।

শনিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বন্দবেড় ৭টি রাস্তা,২৮কি.মি, চর শৌলমারী ১৩টি রাস্তা ৪৪কি.মি, দাঁতভাঙা ১১টি রাস্তা ৩০ কি.মি, শৌলমারী ১০টি রাস্তা ৫২ কি.মি, রৌমারী সদর ১৩টি রাস্তা ২৬ কি.মি, যাদুরচর ১৬টি রাস্তা ৪৫ কি.মি, ইউনিয়নের গ্রামীণ গুরত্বপূর্ণ কাঁচাপাকা ছোট ও বড় ৭০টি সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের মধ্যে গুরত্বপূর্ণ ও চলাচলের একেবারেই অযোগ্য হয়ে পড়েছে কাঁচাপাকা মিলে প্রায় ২শত পঁচিশ কি.মি. রাস্তা।

স্থানীয় সিএসডিকে এনজিও’র নিবার্হী পরিচালক আবু হানিফ মাস্টার জানান, উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে কাঁচাপাকা রাস্তা দিয়ে মালামাল পরিবহন ও চলাচল কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। অতি দ্রুত সংস্কার করার দাবি জানাচ্ছি, সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষের কাছে।

সবুজপাড়া গ্রামের রোকনুজ্জামান রিপন জানান, বন্যা আর বৃষ্টিতে রাস্তাগুলো চলাচলের অযাগ্য হয়ে পড়েছে। রাস্তাগুলো অতি তাড়াতাড়ি মেরামত করা হোক।

[caption id="attachment_242944" align="aligncenter" width="700"] ছবি: প্রতিনিধি[/caption]

কলাবাড়ি গ্রামের এমাদাদুল হক জানান, যাদুরচর ইউনিয়নে কাঁচাপাকা মিলে মোট ৪৮ কি.মি. রয়েছে। বেশির ভাগ রাস্তা চলাচলের অযোগ্য হয়ে পরেছে। মেরামতের কোনো খবর নেই।

শৌলমারী গ্রামের মো. মশিউর রহমান বাবু জানান, এই সড়কগুলোর অবস্থা খুবই খারাপ। মানুষ হেঁটে চলাফেরা করতে পারছে না।

রৌমারী মহিলা কলেজের সহকারি অধ্যাপক আব্দুস সামাদ খাঁন জানান, দফায় দফায় বন্যায় রাস্তা ঘাট ভেঙে চলাচলের অনুপযোগী পড়েছে। সংস্কারের সময় নিম্নমানের কাজ হওয়ায় রাস্তার দুই পাশে ধসে পড়ে রাস্তার প্রশস্ত কমে গেছে।

এ ব্যাপারে উপজেলার ৬ টি ইউনিয়ন চেয়াম্যান বলেন, রাস্তাগুলো চলাচলের অযোগ্য হওয়ায় জনসাধারণ ও যানবাহন চলাচলের মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।

রৌমারী উপজেলা বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আজিজুর রহমান বলেন, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ রাস্তা ঘাটের তথ্য জেলায় প্রেরণ করা হয়েছে। প্রকল্প বরাদ্দ আসলে ছোট ছোট গ্রামীণ কাঁচা রাস্তাগুলোর সংস্কার ও মেরামতের কাজ করা হবে।

উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুল জলিল বলেন, উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের অনেক কাঁচাপাকা রাস্তা সংস্কারের অভাবে নষ্ট হয়েছে। রাস্তাগুলো সংস্কার ও মেরামত করা হলে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন হবে।

রৌমারী উপজেলা নিবার্হী অফিসার আল ইমরান বলেন, বন্যা ও অতিবৃষ্টির কারণে উপজেলার বিভিন্ন কাঁচাপাকা রাস্তাগুলোর বিভিন্ন জায়গায় ভেঙে গেছে। অনেক কাঁচাপাকা রাস্তা ভেঙে খানাখন্দর সৃষ্টি হয়ে যানবাহন চলাচল কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানদের নিয়ে আলোচনা সভা করে রাস্তা চলাচলের উপযোগী করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App