×

সারাদেশ

মাদ্রাসার কবরস্থানেই আহমদ শফীর দাফন

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০৪:০২ পিএম

মাদ্রাসার কবরস্থানেই আহমদ শফীর দাফন

জানাজায় অংশ নিতে লাখো মানুষের ঢল। ছবি: ভোরের কাগজ।

হেফাজতে ইসলামের আমির শাহ আহমদ শফীর দাফন সম্পন্ন হয়েছে। শনিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুর সোয়া ২টায় হাটহাজারীর আল জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম মাদরাসা মাঠে তার জানাজা শেষে মাদরাসার ভেতর উত্তর মসজিদসংলগ্ন কবরস্থানে আহমদ শফীকে দাফন করা হয়।

আল্লামা শফীর জানাজায় ইমামতি করেন তার বড় ছেলে মাওলানা ইউসুফ। জানাজায় অংশ নেন প্রায় এক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা লাখো মুসল্লিরা।

এর আগে সকাল ৯টায় তার মরদেহবাহী গাড়িটি মাদরাসা প্রাঙ্গণে এসে পৌঁছায়। দীর্ঘ ৩৪ বছর ধরে তিনি এই মাদরাসার মহাপরিচালকের দায়িত্বে ছিলেন।

ছাত্র বিক্ষোভের মুখে গত বৃহস্পতিবার রাতে হাটহাজারী মাদ্রাসার মহাপরিচালকের পদ থেকে স্বেচ্ছায় সরে দাঁড়ান আল্লামা শফী। সেই রাতে মাদ্রাসার মজলিসে শূরার বৈঠকে আল্লামা শফী তার এ সিদ্ধান্তের কথা জানান। তবে তাকে সদরুল মুহতামিম বা উপদেষ্টা হিসেবে রাখা হয়।

পদত্যাগ করার পরই মধ্যরাতে অসুস্থ হয়ে পড়েন আল্লামা শফী। দ্রুত হাটহাজারী মাদ্রাসা থেকে অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে নেয়া হয় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে। পরে হাসপাতালের তৃতীয় তলার আইসিইউর ৮ নম্বর বেডে ভর্তি করা হয় হেফাজতের আমিরকে।

শুক্রবার বিকালে শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় আনা হয়। সন্ধ্যায় গেন্ডারিয়া আসগর আলী হাসপাতালে ভর্তি করা হলে ৬টা ২০ মিনিটে সেখানেই তার মৃত্যু হয়। তার বয়স হয়েছিল ১০৩ বছর।

আহমদ শফীর শিক্ষাজীবন শুরু হয় রাঙ্গুনিয়ার সরফভাটা মাদরাসায়। এরপর পটিয়ার আল জামিয়াতুল আরাবিয়া মাদ্রাসায় (জিরি মাদ্রাসা) লেখাপড়া করেন। ১৯৪০ সালে তিনি হাটহাজারীর দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম মাদ্রাসায় ভর্তি হন। ১৯৫০ সালে তিনি ভারতের দারুল উলুম দেওবন্দ মাদ্রাসায় যান, সেখানে চার বছর লেখাপড়া করেন। ১৯৮৬ সালে হাটহাজারী মাদ্রাসার মহাপরিচালক পদে যোগ দেন আহমদ শফী। এরপর থেকে টানা ৩৪ বছর ধরে তিনি ওই পদে ছিলেন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App