×

সারাদেশ

রৌমারীতে আবারো বন্যা, ফসল নিয়ে দুশ্চিন্তায় কৃষক

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০৬:৫৪ পিএম

রৌমারীতে আবারো বন্যা, ফসল নিয়ে দুশ্চিন্তায় কৃষক

পানিতে তলিয়ে গেছে ধান ক্ষেত।

রৌমারীতে আবারো বন্যা, ফসল নিয়ে দুশ্চিন্তায় কৃষক

ছবি: মাসুদ পারভেজ রুবেল

ভারতের আসাম, মেঘালয় প্রদেশের বন্যার পানি ব্রহ্মপুত্র নদ দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করায় কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলায় চতুর্থবার বন্যা হয়েছে। এছাড়া কয়েক দিনের ভারী বর্ষণে ব্রহ্মপুত্র নদ, জিঞ্জিরাম, ধরনী, সোনাভরি ও হলহলি নদীর পানি বেড়ে গেছে। এতে উপজেলার প্রায় ৫০ হাজার মানুষ পানিবন্দি। অপরদিকে রোপা আমন, মাসকলাই ও শাকসবজিসহ প্রায় ১ হাজার হেক্টর জমির ফসল পানিতে তলিয়ে গেছে।

শুক্রবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রৌমারী উপজেলার ৬ ইউনিয়নের জহনিরকুড়া, আমবাড়ী, বড়াইবাড়ী, চুলিয়ারচর, ওকড়াকান্দা, চান্দারচর, চরইজলামারী, ঝাউবাড়ি, ভুন্দুরচর, বেহুলারচর, মোল্লারচর, কাউনিয়ারচর, খনজনমারা, বাঞ্ছারচর, মিয়ারচর গ্রামের প্রায় ৫০ হাজার মানুষ পানিবন্দি।

বন্যার ক্ষয়ক্ষতি থেকে পুষিয়ে নিতে বিভিন্ন জেলা থেকে চড়া দামে চারা ধান কিনে ক্ষেতে রোপন করে ঘুরে দাঁড়ানোর প্রচেষ্ট ছিল রৌমারীর কৃষকের। সে আশায় গুড়েবালী ঢেলে দিল অসময়ের আশ্বিনের বন্যা। তার আগের বন্যায় বীজতলা নষ্ট হয়ে যায়। এই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে সরকার প্রণোদনা হিসেবে বিনা মূল্যে ধানের চারা, ধান বীজ, মাসকলাই ও শাকসবজির বীজ উপজেলা কৃষি অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে বিতরণ করা হয়েছে।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এবারের রোপা-আমনের লক্ষমাত্রা ছিল ৫ হাজার ৪০ হেক্টর, মাসকলাই ৪০ হেক্টর ও শাকসবজি ৩০ হেক্টর। দ্বিতীয় দফা বন্যায় শহর রক্ষা বাঁধ জলিলের বাড়ী নামকস্থানে ভেঙে যায়। এছাড়া খনজনমারা বেড়িবাঁধের তিনটি, ঝগড়ারচর বেড়িবাঁধের দুইটি, সাহেবের আলগা বেড়িবাঁধের দুইটি স্থানে গত বন্যা ভেঙে যায়। বেড়িবাঁধগুলো মেরামত না করায় সহজে বন্যার পানি প্রবেশ করছে নিম্নাঞ্চল এলাকায়।

[caption id="attachment_242749" align="aligncenter" width="700"] ছবি: মাসুদ পারভেজ রুবেল[/caption]

উপজেলার সদর ইউনিয়নের গুচ্ছগ্রামের কৃষক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমি ৩ বিঘা জমিতে রোপা আমনের চাষ করেছি। সার পানি দেয়ায় ফসলও ভালোই হয়েছে। তবে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের নদীগুলো সংযোগ থাকায় পাহাড়ি ঢলে ও অল্প বৃষ্টিতেই আমাদের জমির ফসল তলিয়ে গেছে।

খনজনমারা গ্রামের মজাহারুল ইসলাম বলেন, খুব কষ্ট করে আমন ধান লাগাইছি। তাও আবার বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। গরু বাছুর নিয়া বিপাকে আছি।

রৌমারী সদর ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম শালু জানান, দফায় দফায় বন্যা আসায় কৃষকের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। পানিবন্দি ও ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকের তালিকা করা হচ্ছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহরিয়ার হোসেন জানান, নতুন করে বন্যা আসায় ৫ শত ৫০ হেক্টর রোপা আমন, মাসকলাই ৪০ হেক্টর ও শাকসবজি ২০ হেক্টর জমির ফসল নিমজ্জিত হয়েছে। তাড়াতাড়ি পানি নেমে গেলে তেমন ক্ষতি হবে না।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল ইমরান বলেন, দফায় দফায় বন্যায় রৌমারীতে রাস্তাঘাট ও কৃষকের ফসলের অনেক ক্ষতি হয়েছে। এসব ক্ষতির তালিকা করে বিভিন্ন দপ্তরে পাঠিয়েছি।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App