×

খেলা

সালাউদ্দিনবিরোধীরা একজোট

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১২:০৯ পিএম

আসন্ন নির্বাচন নিয়ে বাফুফে ভবনে গতকাল সালাউদ্দিন বলেন, আমাকে নিয়ে যখন আলাপ হয় এর অর্থ দাঁড়ায় আমি জনপ্রিয়। আসলে আমার নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট নেই। আমি জানি না, আমাকে অফিস বলে।’

বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) নির্বাচনের বাকি আর ১৬ দিন। ৩ অক্টোবর নির্বাচন শেষে জানা যাবে বাফুফে সভাপতি পদে কে বসবেন। এবার নির্বাচনে সভাপতি পদে কাজী সালাউদ্দিনের বিপক্ষে লড়াই করবেন সাবেক ফুটবলার সফিকুল ইসলাম মানিক ও বাদল রায়। তাই নির্বাচনকে ঘিরে প্রতিদ্বন্দ্বিতার হাওয়া বইতে শুরু করেছে। সভাপতি পদে ত্রিমুখী লড়াই জমে উঠেছে।

এমনকি কাজী সালাউদ্দিনবিরোধীরা একজোট হয়েছেন। গতকাল কাজী সালাউদ্দিন-সালাম মুর্শেদীর সম্মিলিত পরিষদের বিপক্ষে একটা সমন্বয় প্যানেল গঠন করেছে শেখ আসলাম, মারুফ ও মহি পরিষদ। তবে সভাপতি পদটা অপূর্ণ রেখেই প্যানেল ঘোষণা করেছে এই সমন্বয় পরিষদ। এছাড়া সিনিয়র সহসভাপতি সালাম মুর্শেদীকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন শেখ আসলাম। তিনি বলেন, এবার নির্বাচনে শেষ পর্যন্ত লড়াই করব। কিছুতেই পিছ পা হব না। কাউন্সিলররা যদি সঠিক সিদ্ধান্ত নেন তাহলে আমাকেই ভোট দেবেন।

আগামী ৩ অক্টোবর বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের নির্বাচনকে ঘিরে উত্তেজনা বেশ তুঙ্গে। প্রার্থীরা যে যার মতো করে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। বাংলাদেশের ফুটবল ইতিহাসের সবচেয়ে বড় নামগুলোর একটি কাজী সালাউদ্দিন। ফুটবলার হিসেবে যতটাই নাম কুড়িয়েছেন সংগঠক হিসেবে ততটাই প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছেন। প্রশ্নবানে জর্জরিত হয়েও চতুর্থবারের মতো বাফুফে নির্বাচনে দাঁড়িয়েছেন। ২০২২ সালে বিশ^কাপ খেলার স্বপ্ন দেখানো সংগঠক কাজী সালাউদ্দিন নিজেকে জনপ্রিয়ই মনে করেন। কারণ হিসেবে দেখান এই সমালোচনাকেই। কিছুদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ নানা জায়গায় কাজী সালাউদ্দিনকে নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে। জাতীয় প্রেস ক্লাবে একটি মানববন্ধনও হয়েছে। এর জবাবে গতকাল বাফুফে ভবনে বসে সালাউদ্দিন বলেছেন, আমাকে নিয়ে যখন আলাপ হয় এর অর্থ দাঁড়ায় আমি জনপ্রিয়। আসলে আমার নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট নেই। আমি জানি না, আমাকে অফিস বলে।’সমালোচনাকারীদের ভুলও ধরেছেন বাফুফের তিনবারের সভাপতি, একটি ইন্টারেস্টিং জিনিস দেখছি। ধরেন এক হাজার ডিসলাইক আসল সেখানে (ফেসবুকে)। নাম আসছে কাজী সালাউদ্দিন আহমেদ। আপনারা সবাই আমার নাম জানেন। এখন এক হাজার লোকতো ভুল করতে পারে না। তার মানে আমি বুঝছি একটা প্ল্যাটফর্ম এই প্রচারণা করার জন্য তৈরি করা হয়েছে। আপনারা জানেন, ফেসবুকে প্ল্যাটফর্ম করা কোনো ব্যাপারই না। এক হাজার লোক তো আমার নাম ভুল করতে পারে না। ২-৪ জন করতে পারে। এ কারণে আমি এটাকে তেমন গুরুত্ব দিচ্ছি না। (আমি বুঝতেছি দিস ইজ প্রফেশনালি ডান।)

এবার আসন্ন নির্বাচনে ১৩৯ জন কাউন্সিলর একজন করে সভাপতি ও সিনিয়র সহসভাপতি, ৪ জন সহসভাপতি এবং ১৫ জন সদস্যকে ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত করবেন। তাই ইতোমধ্যে ২১ পদের বিপরীতে ১৯ সদস্যের একটি প্যানেল গঠন করেছে জেলা ও বিভাগীয় ফুটবল এসোসিয়েশন। ক্লাব ফুটবল এসোসিয়েশনের সঙ্গে সমঝোতায় এক সিনিয়র সহসভাপতি, ৩ সহসভাপতি এবং ১৫ সদস্য পদপ্রার্থীদের চূড়ান্ত করে প্যানেল দেয়া হয়েছে। নতুন আর অভিজ্ঞদের মিশেলে এই প্যানেলের এক সিনিয়র সহসভাপতি পদে আব্দুস সালাম মুর্শেদীর বিপক্ষে চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত শেখ আসলাম। আর ৪ সহসভাপতি পদের বিপক্ষে এই প্যানেল দাঁড় করিয়েছেন ৩ প্রার্থী আব্দুল্লাহ আল ফুয়াদ মহিউদ্দিন আহমেদ মহি ও শেখ মারুফ হাসানকে। এর আগে এমনই একটা প্যানেল প্রায় খসড়াভাবে চূড়ান্ত করে ফেলেছিলেন তরফদার রুহুল আমিন। সেই প্যানেলের বেশির ভাগ প্রার্থীরা সালাউদ্দিনবিরোধী প্যানেলে জায়গা করে নিয়েছেন। কদিন আগে তরফদার নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোয় এই প্যানেলের কার্যক্রম ঠাণ্ডা হয়ে যায়। কিন্তু শেষ মুহূর্তে সালাউদ্দিনবিরোধীরা প্যানেল গঠন করে প্রচার-প্রচারণা শুরু করে দিয়েছেন। গতকাল সিলেট থেকে শুরু হয়েছে তাদের প্রচারণা। সভাপতি পদে বাদল রায়ের বৈধতা থাকলেও প্রত্যাহার ঘোষণা করায় নির্বাচনে দৃশ্যত শফিকুল ইসলাম মানিকই প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে লড়বেন কাজী সালাউদ্দিনের বিপক্ষে।

মানিককে এই সমন্বিত পরিষদে ভেড়াতে না পারায় তাই অপূর্ণ প্যানেল নিয়ে নির্বাচনের লড়াই করতে হচ্ছে পরিষদকে। অপূর্ণ প্যানেলের বিষয় জেলা ও বিভাগীয় ফুটবল এসোসিয়েশনের সদস্য আশিকুর রহমান মিকু বলেন, ক্লাব এসোসিয়েশনের সঙ্গে একেবারে শেষ মুহূর্তে আমাদের একটা সমঝোতা হওয়ার কারণে অন্যান্য পদগুলোতে তড়িঘড়ি করে আমরা প্রার্থী দেই নাই।

যাই হোক, কয়েকদিন ধরেই বাফুফে নির্বাচন কেমন যেন ঠাণ্ডা হাওয়া বইছিল। কিন্তু কাজী সালাউদ্দিনবিরোধীরা এক জোট হয়ে আবার নির্বাচনের আমেজ বাড়িয়ে দিল।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App