×

সারাদেশ

ফার্মেসি-হোটেলে কীটনাশক ও সিলিন্ডার গ্যাসের কেনাবেচা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০৫:৩৬ পিএম

ফার্মেসি-হোটেলে কীটনাশক ও সিলিন্ডার গ্যাসের কেনাবেচা

ছবি: প্রতিনিধি

পেট্রল ডিজেল কীটনাশক সারসহ বিভিন্ন দোকানে চলছে গ্যাস সিলিন্ডারের রমরমা ব্যবসা। এতে করে নিজেকে শেষ করে দেয়া বিপদগামীরাও খুব সহজেই পাচ্ছে বিষ জাতীয় দ্রব্য। গোটা কমলনগরের প্রতিটি ইউনিয়নে গ্রামীণ সড়কের মোড়ে মোড়ে গড়ে উঠা প্রায় সব দোকানগুলোতে প্রকাশ্যেই এসব বিষ জাতীয় কীটনাশক ও সিলিন্ডার গ্যাস কেনাবেচা করতে দেখা যাচ্ছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উদাসীনতাই এর জন্য দায়ী এমনটাই বলছেন স্থানীয় জনসাধারণ। পাশাপাশি এদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান তারা।

প্রতিবেদন প্রকাশের স্বার্থে উপজেলার হাজির হাট, করুনানগর, লরেন্স, করইতলা,তোরাবগঞ্জ,মুন্সিরহাট মতির হাট,শান্তিরহাট, চৌধুরীবাজার, ফজুমিয়ারহাট, ইসলামগঞ্জ, বাদামতলী, বটতলী, চরবসু বাজার ও গঞ্জের একাধিক দোকানে অনুসন্ধান করে দেখা যায়, ঔষধের ফার্মেসিতেও বিক্রি হচ্ছে পেট্রল ও সিলিন্ডারের গ্যাস। খাবারের হোটেলেও বিক্রয় হচ্ছে বোতলজাত পেট্রোল। মনে হচ্ছে, উপজেলা প্রশাসনের নজরদারির অভাবে নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই চলছে এসব কর্মকাণ্ড।

এ বিষয়ে বিশিষ্ট জনদের অভিমত, লাইসেন্স বিহীন কীটনাশক বিক্রিসহ খাবারের হোটেল রেস্টুরেন্ট ও বাসা বাড়িতে সিলিন্ডার গ্যাস ব্যবহার হলেও মানুষ এখনো পর্যন্ত এর সঠিক ব্যবহার জানেন না। সরকারি নির্দেশনা মতে, সিলিন্ডার গ্যাস বিক্রিতে ট্রেড লাইসেন্স ছাড়াও বিস্ফোরক অধিদপ্তরের লাইসেন্স ও অগ্নিনির্বাপক কর্তৃপক্ষের ছাড়পত্র নেয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। কিন্তু এখানে নিয়মনীতির তোয়াক্কা করছে না কেউ। নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা ও লাইসেন্স ছাড়াই এসব এলাকায় ঝুঁকি নিয়ে চলছে সিলিন্ডার গ্যাস সহ কীটনাশক ব্যবসা।

এ ব্যপারে জেলা, উপজেলার ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের পক্ষ থেকে মাইকিং করে সচেতনতা সৃষ্টিতেও তেমন কোনো কর্মসূচি চোখে পড়েনি এমনটাই অভিযোগ স্থানীয়দের। নাম প্রকাশ না করার শর্তে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের এক ব্যক্তি বলেন, ফায়ার সার্ভিস ও উপজেলা প্রশাসনের সঠিক তদারকির অভাব ও উদাসীন্যতায় জন্যই এসব দোকান গড়ে উঠেছে।

কমলনগর উপজেলা ফায়ার সার্ভিস স্টেশন ইন্সপেক্টর নুর আলম বলেন, খোলা বাজারে সিলিন্ডার গ্যাস বিক্রির ক্ষেত্রে অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থাসহ পরিবেশ ছাড়পত্র ও তৎসংশ্লিষ্ট লাইসেন্স থাকা বাধ্যতামূলক। এছাড়া ইউএনও বরাবর চিঠি লিখে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করার জন্য সুপারিশ করেছি। ইতোমধ্যে উপজেলার প্রতিটি বাজারের বনিক সমিতির সভাপতি-সম্পাদক বরারব চিঠি পাঠানো হয়েছে। বিষয়টির প্রতি গুরুত্ব দিয়ে এর প্রতিকারের আশ্বস্ত করেন তিনি।

কমলনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো:মোবারক হোসেনকে একাধিকবার ফোন করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App