×

সারাদেশ

শত্রুতায় কাটা পড়লো ফিসারির বাঁধ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০৫:১৫ পিএম

শত্রুতায় কাটা পড়লো ফিসারির বাঁধ

ছবি: প্রতিনিধি

নেত্রকোণার মদনের পল্লীতে দুর্বৃত্তরা রাতের আধাঁরে মাছ চাষ করা ২ একর জমির ফিসারির বাঁধ কেটে প্রায় ৩০ লাখ টাকার মাছ হাওরে ছেড়ে দিয়েছে বলে থানায় এক লিখিত অভিযোগ করেছে ফিসারির মালিক। মালিক মিলন মিয়া বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মঙ্গলবার মদন থানায় এ অভিযোগটি দায়ের করেন। রোববার গভীর রাতে উপজেলার কাইটাইল ইউনিয়ের জাওলা গ্রামের তাউরাইল বিলে ঘটনাটি ঘটে। পরিবার ও এলাকাবাসীর মনে প্রশ্ন এ কেমন শত্রুতা?

জানা যায়, উপজেলার কাইটাইল ইউনিয়নের জাওলা গ্রামের মৃত তোরাব আলীর ছেলে নিম্ন মধ্যবিত্ত মিলনসহ তিন ভাই মিলে তাউরাইল বিলে ওয়ারিশান প্রাপ্ত বাবার একমাত্র ২ একর জমিতে ফিসারি তৈরি করে মাছ চাষ শুরু করে। এ বছর ঋণ ও ধার নিয়ে প্রায় ১০/১২ লাখ টাকা খরচ করে দেশীয় প্রজাতির বিভিন্ন মাছ চাষ করেন তারা। মাছও বেশ বড় হয়। সবার মুখে মুখে ছিল এবারা ৩০ লাখ টাকার ওপরে মাছ বিক্রি হবে। কিন্তু একটি কুচক্রী মহল রাতের আঁধারে ফিসারির ঢালু জায়গা দিয়ে বাঁধ কেটে দিলে ফিসারির পানি শুকিয়ে মাছ হাওরের খোলা পানিতে চলে যায়।

ফিসারির মালিক মিলন মিয়া জানান, বাবার একমাত্র ২ একর জমিতে তিন ভাই মিলে মাছের ফিসারি তৈরি করে এ বছর ১২ লাখ টাকা ঋণ ও ধার নিয়ে বিভিন্ন জাতের দেশীয় মাছ চাষ করেছি। মাছের আকার অনেক বড় হয়েছিল। আমরা আশাবাদী ছিলাম এ বছর প্রায় ৩০ লাখ টাকার মাছ বিক্রি করব। কিন্তু রাতের আধাঁরে কে বা কাহারা আমার ফিসারির বাঁধ কেটে দেয়ায় পানি শুকিয়ে সব মাছ হাওরের পানিতে ভেসে গেছে। এ অবস্থায় আমরা সারা বছর খাব কি? কি দিয়ে ঋণ পরিশোধ করব তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি। এ ব্যাপারে মদন থানায় একটি অভিযোগ করেছি।

সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান সাফায়াত উল্লাহ রয়েলে জানান, জাওলা গ্রামের নিম্ন মধ্যবিত্ত মিলন মিয়াসহ তিন ভাই মিলে তাউরাইল বিলে ফিসারিতে যে মাছ চাষ করেছিল তার আকার অনেক বড় হয়েছিল। মানুষের মুখে মুখে লাভজনক এ ফিসারির গল্প শোনা যেত। কিন্তু বাঁধ কেটে দিলে মাছ বের হয়ে যাওয়ায় তাদের অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। আমি এ নেক্কারজনক ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই।

ওসি আহাম্মদ কবীর হোসেন জানান, জাওলা গ্রামের তাউরাইল বিলের ২ একর ফিসারির বাঁধ কেটে মাছ ছেড়ে দেয়ার ঘটনার অভিযোগে দুজন তদন্তকারী কর্মকর্তা নিয়োগ দেয়া হয়েছে। প্রাথমিক পর্যায়ে এর সত্যতাও মিলেছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App