বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়ানো হয়েছে। আইন মন্ত্রণালয়ের মতামতের পর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বাড়ানো সময়ে খালেদা জিয়া দেশের বাইরে যেতে পারবেন না। তিনি নিজ বাসায় থেকে চিকিৎসা নেবেন। তবে, দ্বিতীয় মেয়াদে তার মুক্তির ক্ষেত্রে আগে যেসব শর্ত ছিল তা অপরিবর্তিত থাকবে। মঙ্গলবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। স্বারাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, খালেদা জিয়ার পরিবার তার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন করেছিল। কিছুক্ষণ আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেই আবেদনে অনুমোদন দেন। তবে খালেদা জিয়ার আরো ৬ মাস মুক্তির ক্ষেত্রে আগে যেসব শর্ত ছিল সেগুলো অপরিবর্তিত থাকবে। করোনার কারণে গত ছয় মাস খালেদা জিয়ার পরিবার তার কোনো চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে পারেনি। এই বিবেচনায় তার মুক্তির মেয়াদ ছয় মাস বাড়ানো হয়েছে। এর আগে গেল ৩ সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়ানোর সুপারিশ করে আইন মন্ত্রণালয়। আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ওই দিন বলেছিলেন, খালেদা জিয়া এই সময়ে বিদেশে যেতে পারবেন না। দেশে থেকে বাসায় চিকিৎসা নেবেন। এই শর্তে আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে আরও ছয় মাসের জন্য এই মুক্তির মেয়াদ কার্যকর হবে। তারও আগে গেল ২৫ মার্চ সরকারের নির্বাহী আদেশে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেয়া হয়। যার মেয়াদ আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নির্ধারিত ছিল। তার আগে খালেদা জিয়ার পরিবারের পক্ষে মুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন করা হয়।