×

জাতীয়

করোনা রিপোর্ট ভিন্ন আসায় বিদেশি নাগরিকের আত্মহত্যা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০৪:৪৮ পিএম

করোনা রিপোর্ট ভিন্ন আসায় বিদেশি নাগরিকের আত্মহত্যা

লাফিয়ে আত্মহত্যা/প্রতীকী ছবি।

রাজধানীর ধানমন্ডি ল্যাব এইড হাসপাতাল থেকে লাফিয়ে পড়ে এক বিদেশি মারা গেছেন। বেলারুশের মৃত ওই নাগরিকের নাম মিখাইল স্টেল মাক (২৯)। কোভিড-১৯ পজেটিভ হয়ে ল্যাবএইড হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। তবে একাধিকবার করোনা পরীক্ষায় ভিন্ন রিপোর্ট আসায় হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েন তিনি। ওই কারনেই তিনি লাফিয়ে নিচে পড়ে আত্মহত্যা করেন বলে প্রাথমিক তদন্তের বরাত দিয়ে জানিয়েছে পুলিশ। তার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য গত রবিবার গভীর রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় নিহতের সহকর্মী ধানমন্ডি থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা করেছে। ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে ধানমন্ডি থানার এসআই মো. রায়হানুল করিম জানান, মিখাইলের বাবার নাম ইভান। রুপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে ফিটার হিসেবে কাজ করতেন তিনি, থাকতেন সেখানেই। গত মাসে তিনি কোভিড-১৯ আক্রান্ত হন। এরপর সহকর্মীরা তাকে ২৮ আগস্ট ধানমন্ডি ল্যাব এইড হাসপাতালে ভর্তি করেন। হাসপাতালটির ৬ষ্ঠ তলার ৬৭০ নাম্বার ক্যাবিনে ভর্তি ছিলেন তিনি। তার করোনা পরীক্ষা করা হয় একাধিকবার। তখন কখনো পজেটিভ, আবার কখনো পরীক্ষার ফলাফল নেগেটিভ আসায় তিনি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন। রবিবার ভোরে ৬ষ্ঠ তলায় বাথরুমে ঢুকে দরজা বন্ধ করে ছোট জানলা দিয়ে তিনি লাফিয়ে নিচে পড়েন। এতে গুরুতর আহত হলে তাকে ল্যাব এইড হাসপাতালেই চিকিৎসা দেয়া হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওইদিনই দুপুর পৌনে ৩টার দিকে তার মৃত্যু হয়। পরে খবর পেয়ে রাতেই মৃতদেহটি শনাক্ত করা হয়। সে সময় দেখা যায় তার মাথায় ব্যান্ডেজ। শরীরের বেশ কয়েক জায়গার হাড্ডি ভেঙ্গে গেছে পরিলক্ষিত হয়। বাথরুমটিতে গিয়েও দেখা যায় ভ্যান্টিলেশনের জন্য যে জায়গাটি রয়েছে সেখান থেকে ঝাপ দেয়া সম্ভব। সব শেষে মরদেহটি ঢামেক হাসপাতালের মর্গে পাঠাতে গভীর রাত হয়ে যায়। এ ঘটনায় মৃতের সহকর্মী ঝুক মারিনা থানায় অপমৃত্যু মামলা করেন। তবে ময়নাতদন্তের পরই মৃত্যুর আসল কারণ বলা সম্ভব হবে। আর মিখাইলের লাশ তার দেশে পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু না হওয়া পর্যন্ত লাশ ঢামেক মর্গে রাখার জন্য আবেদন করা হবে বলেও জানান পুলিশের এসআই রায়হানুল করীম।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App