প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের কারণেই স্থগিত করা হয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) এজিএম তথা বার্ষিক সাধারণ সভা। গত শুক্রবার বিসিসিআইয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কোভিড-১৯ কারণে ৩০ সেপ্টেম্বর বোর্ডের বার্ষিক সাধারণ সভা আয়োজন করা সম্ভব হচ্ছে না। ফের কবে সভা হবে সেটাও নিশ্চিত নয়। তারিখ নির্ধারণ হলে তা জানিয়ে দেয়া হবে। এর ফলে লাভ হয়েছে বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলি এবং তার কমিটির। কারণ করোনার কারণে এজিএম বন্ধ হওয়ায় সৌরভ গাঙ্গুলিদের মেয়াদ আরো অনেকটা বেড়ে গেল। এছাড়া করোনার কারণে নির্বাচন পিছিয়ে দিবে ভারতের রাজ্য ক্রিকেট সংস্থাগুলোতেও। ক্রিকেট এসোসিয়েশন অব বেঙ্গল (সিএবি) নির্বাচনও বোর্ডের মতো ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে করে ফেলতে হতো। কিন্তু আপাতত করোনার যা পরিস্থিতি, তাতে নভেম্বরের আগে সেই নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা নেই। বলা হচ্ছে, ১০০ জনের বেশি এখন জমায়েত হওয়া নিষেধ। সিএবির সদস্যই শতাধিক। তাই রেজিস্ট্রারের কাছে আবেদন করা হবে নির্বাচন পেছানোর জন্য। এসব নানা বিষয় গত শুক্রবার বিসিসিআই জানিয়েছে, অনলাইনে বোর্ডের বার্ষিক সাধারণ সভা করা সম্ভব নয়। এ কারণেই এবার আপাতত তা হচ্ছে না। সাধারণ সভা না হওয়ার অর্থ, নির্বাচন নিয়ে কোনো আলোচনাই হবে না। সুতরাং ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড এমনিতে তামিলনাড়– সোসাইটি রেজিস্ট্রেশন অ্যাক্টে নথিভুক্ত। যার নিয়ম অনুযায়ী, প্রতি বছর ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) করে ফেলতে হয় বোর্ডকে। কিন্তু এবার করোনার কারণে তা ৩ মাস পর্যন্ত পেছানোর অনুমতি দেয়া হয়েছে। বোর্ডের কেউ কেউ বলছিলেন, ডিসেম্বরের আগে বিসিসিআইর সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। যার অর্থ, সৌরভ, জয় শাহরা আপাতত থাকছেন। তাছাড়া আদালতেও কুলিং অফের বিষয়টা এখনো বিচারাধীন। এমনকি বোর্ডের ক্ষমতাসীন প্যানেলের মেয়াদ আরো ৫ বছর বাড়ানোর জন্য আবেদনও করা হয়েছে শীর্ষ আদালতে। তবে শুধু সৌরভরা নন, বোর্ডের বার্ষিক সভা পিছিয়ে যাওয়ার ফলে ভারতীয় ক্রিকেটে জাতীয় নির্বাচকদের মেয়াদও ৩ মাস করে বেড়ে গেল। যাদের মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছিল, আপাতত আরো ৩ মাস তারা থাকবেন।