×

সারাদেশ

বাউফলে চোখ উৎপাটনের মূল হোতা ঢাকায় গ্রেপ্তার

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০৫:৪২ পিএম

পুলিশের দুরদর্শিতা ও সক্রিয়তায় বাউফলে অস্ত্র দিয়ে খুঁচিয়ে চোখ উৎপাটনের মূল হোতা সোহেল মাতুব্বর পালিয়ে যাওয়ার সময় শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) রাতেই ঢাকার লালকুটি লঞ্চঘাট থেকে গ্রেপ্তার হয়েছে। পুলিশের এই ভূমিকায় সাধারণ মানুষের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে।

বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান জানান, শুক্রবার (১১ আগস্ট) দুপুরের দিকে মদনপুরা ইউনিয়নের দ্বীপাশা খেয়াঘাট উঁচু সেতুর কাছে মিন্টু মৃধা (৪০) নামের এক মৎস্য ব্যবসায়িকে পূর্ব বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষ সোহেল মাতুব্বর ও তার ভাই মিজানুর রহমান মাতুব্বর তাদের সাঙ্গপাঙ্গ নিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে মুখের চোয়ালের একাংশ ও ডান পা প্রায় বিচ্ছিন্ন করে ফেলে।

এরপর সোহেলের নেতৃত্বে অস্ত্র দিয়ে খুঁচিয়ে মিন্টুর বাম চোখ উৎপাটন করে। ঘটনার খবর পাওয়ার পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা করে। এমন নৃশংস ঘটনার খবর পেয়ে বিকেলে পটুয়াখালী জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. বিল্লাল হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

এ সময় গোপনে জানতে পারেন, চোখ উৎপাটনের মূল হোতা সোহেল মাতুব্বর মটর সাইকেলযোগে বরিশাল গিয়ে সেখান থেকে গ্রীন লাইন লঞ্চে ঢাকা যাচ্ছেন। এ খবরের ভিত্তিতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. বেল্লাল হোসেনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ সরাসরি ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হন। রাত ১০ টার দিকে তারা গ্রীন লাইন লঞ্চের লালকুটি ঘাটে অবস্থান নিলে লঞ্চ থেকে নামার সময় সোহেলকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হন।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সোহেল ও মিজান কয়েকদিন আগে মিন্টুর করা একটি মামলায় সাজা খেটে জেল থেকে ছাড়া পায়।

শনিবার (১২ সেপ্টেম্বর) মিন্টু মৃধার মেয়ে সোনিয়া আক্তার জানায়, জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পরই আমার বাবাকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে আসছিল। এরই ধারাবাহিকতায় এ রকম নৃশংস ঘটনা ঘটিয়েছে। ঘটনার পর শুক্রবার রাতে সোহেলকে প্রধান আসামি করে পাঁচজনসহ অজ্ঞাত ১০ জনের বিরুদ্ধে মিন্টুর স্ত্রী রাজিয়া বেগম বাউফল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।

উল্লেখ্য, মিন্টু মৃধা ও সোহেল মাতুব্বরদের মধ্যে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে একাধিক মামলা রয়েছে। মিন্টু একটি হত্যা মামলাসহ চারটি মামলার আসামি। অপরদিকে সোহেল ও মিজানও একাধিক মামলার আসামি। তাদের ওই মামলা মোকদ্দমার জেরকে কেন্দ্র করেই শুক্রবারের লোমহর্ষক ওই ঘটনা ঘটেছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App