×

মুক্তচিন্তা

পুঁজিবাদের ধ্বংসাত্মক অগ্রগতি

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০৯:২৯ পিএম

করোনার আক্রমণটা যেন তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ। প্রথম দুটি বিশ্বযুদ্ধ ছিল পুঁজিবাদী-সাম্রাজ্যবাদীদের মধ্যে দখলদারিত্বের বিবাদ নিয়ে। এবারের এই যুদ্ধটাতে গোটা পুঁজিবাদী ব্যবস্থাটাই একযোগে ঝাঁপিয়ে পড়েছে মানুষের সভ্যতার ওপর। সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর পুঁজিবাদের উল্লসিত মুখপাত্ররা বলেছিল ইতিহাস তার গন্তব্যে পৌঁছে গেছে, অর্থাৎ বিশ্বময় পুঁজিবাদ একচ্ছত্র হয়েছে, আর কোনো বিপদ নেই। মস্ত বড় বিপদটা যে ওই প্রসারিত হওয়ার একেবারে বুকের ভেতরেই কায়দা করে বসে ছিল, সেটা নানাভাবে বোঝা গেছে।

এই দুনিয়াতে এখন কোটি কোটিপতিদের সংখ্যা একশ-দুশ নয়, ৩ হাজারের কাছাকাছি। তাদের মধ্যে সেরাদের একজন হচ্ছেন বিল গেটস। দাতব্যের জন্যও তিনি বিখ্যাত। করোনা মোকাবিলার ব্যাপারে তিনিও বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার মতোই উদ্বিগ্ন। প্রবন্ধ লিখে পরামর্শ দিয়েছেন। তার লেখা দুটি প্রবন্ধ দেখলাম। তিনি মহাজন, তার বক্তব্য তাই বিশ্বজুড়ে প্রচার পেয়েছে। প্রথম বক্তব্য ছিল, করোনার মুখোমুখি বিশ্বের এখন এক নম্বর কর্তব্য হচ্ছে সবকিছু বন্ধ করে দেয়া, শাটডাউন করা, অন্যরা যাকে বলছে লকডাউন সেটা করা। ভালো কথা, এই লকডাউন জিনিসটা ঠিক লকআপ নয়। পার্থক্য আছে, লকআপ করে কারাকর্তৃপক্ষ, কারাবন্দিদের তাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে খুপরির ভেতর ঢুকিয়ে দেয়। আর লকডাউন হচ্ছে স্বেচ্ছায় বন্দি হওয়া, আত্মরক্ষার জন্য। পরিণাম অবশ্য একই। আটক থাকা। বিল গেটসের দ্বিতীয় পরামর্শ- টেস্ট কর; রোগের সংক্রমণ ঘটেছে কিনা সেটা পরীক্ষা করে দেখ। টেস্ট, আরো টেস্ট। তার তিন নম্বর কথা- টিকা আবিষ্কার চাই। তার উদ্বেগ মর্মস্পর্শী। বিল গেটস সুপ্রসিদ্ধ জ্ঞানী, তিনি সবই জানেন, শুধু এটুকু জানেন না যে আসল ব্যাধিটি হচ্ছে পুঁজিবাদ, যার ওপরে তার ও তাদের ধনবৃদ্ধির পূর্ণ নির্ভরতা। তবে এই মহাসংকটের সময়ে তিনি কেবল পরামর্শই দেননি, চিকিৎসা ও ত্রাণের জন্য দানও করেছেন, যদিও দানের পরিমাণ খুবই সামান্য। তার মোট সম্পদের ১০০ ভাগের এক ভাগও নয়, শূন্য দশমিক ২৮ শতাংশ মাত্র। আমরা নিশ্চিত নই যে কোনটি অধিক মূল্যবান, তার দান নাকি তার উপদেশ। অবশ্য উপদেশও এক প্রকারের দান বটে। তবু তিনি যাহোক হাত উপুড় করেছেন, অন্য ধনীরা সেটাও করেননি। করোনা মোকাবিলায় সেরা ধনীদের মধ্যে দাতার সংখ্যা শতকরা ১১ জনও নয়, তারও কম। এরা শুধু নিতেই জানেন, দিতে শেখেননি। কারোনাক্রান্ত বিশ্বে মন্দা দেখা দিয়েছে, যেটা স্বাভাবিক; এই মহামন্দার মধ্যেও কিন্তু কোটি কোটিপতিদের ধনস্ফীতি বসে থাকেনি; সেটা বরঞ্চ বাড়ছেই। এটাও স্বাভাবিক। কারণ শ্রম আরো সস্তা হচ্ছে, বিপন্ন মানুষ তাদের সম্পদ বলতে যা আছে তা বিক্রি করে দিচ্ছে, দরকষাকষি যে করবে সেই সক্ষমতাটুকু পুরোপুরি হারিয়ে ফেলছে। সব কিছুই চলে যাচ্ছে এবং যাবে ধনীদের হাতে। এমনকি ওষুধ এবং চিকিৎসাও তাদেরই করতলগত। তারাই শাসক। তাদের থামায় এমন কেউ নেই। আর তারা নিজেরা যদি থামতেই শিখত তাহলে তো অত বড় ধনকুবেরই হতো না। তাদের স্ফীতি রুখে কে!

মানুষ কিন্তু দিচ্ছে, মেহনতিরা মানুষের কাছে সবচেয়ে মূল্যবান যে বস্তু সেই প্রাণটিই দিয়ে দিচ্ছে। দিতে বাধ্য হচ্ছে। হ্যাঁ, ধনীরাও আক্রান্ত হচ্ছেন বৈকি। ব্রিটেনের যুবরাজ, সেখানকার প্রধানমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর বান্ধবী- এরাও আক্রান্ত হয়েছেন। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী, যিনি সদাসর্বদা গর্জন করেন ফিলিস্তিনিদের গিলে খাবেন বলে, তিনিও আক্রান্ত হয়েছেন, সস্ত্রীক। ব্রাজিলের ডানপন্থি প্রেসিডেন্ট করোনা কিছু না, ইনফ্লুয়েঞ্জা মাত্র, তাই ভয় করার কিছু নেই, বলে তুড়ি বাজিয়েছেন এবং দম্ভভরে বলেছেন তার নিজের জন্য কোনো পরোয়াই নেই কারণ বয়স যদিও ৬৫ তবু তিনি একজন ক্রীড়াবিদ; শেষ পর্যন্ত তিনিও আক্রান্ত হয়েছেন। বন্ধু ডোনাল্ড ট্রাম্পের পরামর্শমতো ম্যালেরিয়া প্রতিষেধক ওষুধের ওপর তিনি ভরসা করেছিলেন, কাজ হয়নি। আর প্রতিরোধের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ না করার ফলে ইতোমধ্যেই তার দেশের লক্ষাধিক মানুষ প্রাণ ত্যাগ করেছে। প্রেসিডেন্টের স্বাস্থ্য নীতি সমর্থন করতে না পেরে তার স্বাস্থ্যমন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন, কিন্তু মুখ খুলতে সাহস পাননি। ব্রাজিলে আমাদের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মতো কণ্ঠরোধক কোনো কিছু চালু আছে কিনা জানি না; না থাকলেও স্বৈরশাসন যে রয়েছে সে নিয়ে কোনো দ্বিমত নেই। করোনায় মৃত ব্রাজিলের মানুষেরাও সাক্ষী দেবে, যদি তাদের ডাক পড়ে, যে তাদের মৃত্যুর জন্য দেশের স্বৈরশাসক প্রেসিডেন্টই দায়ী। জার্মানরা মনের শক্তিতে বিলক্ষণ বলীয়ান বলে পরিচিত, কিন্তু জানা গেছে যে তাদের অর্থমন্ত্রী আত্মহত্যা করেছেন। যা দেখেছেন ও দেখবেন বলে ভয় পেয়েছেন তা সহ্য করতে পারেননি।

সব মৃত্যুই দুঃখজনক ও শোকাবহ। কিন্তু আমরা বিশিষ্টজনদের মৃত্যুর খবরই শুধু জানতে পারি। মেহনতিদের প্রাণত্যাগের খবর কে রাখে? তারা মারা যাচ্ছেন হাজারে হাজারে। যারা বাঁচছেন তারাও অর্থনৈতিকভাবে পঙ্গু হয়ে পড়ছেন। কিন্তু তারা তো পরিসংখ্যানের অকিঞ্চিতকর সংখ্যা মাত্র; সম্পদ বলতে আছে শুধু একটা প্রাণ, আক্রান্ত হয়ে ওটি ত্যাগ করেই কোনোমতে যন্ত্রণামুক্ত হচ্ছে।

বলা হচ্ছে করোনা ভাইরাস প্রকৃতির সৃষ্টি, মানুষের নয়। এক অর্থে দাবিটি মিথ্যা নয়, যদিও পুঁজিবাদী বিশ্বেরই একাংশ বলে বেড়াচ্ছে যে চীনের মনুষ্যবিনাশী জীবাণু তৈরির এক গবেষণাগার থেকেই ফাঁকফোকরে কোনো একটি জীবাণু বেরিয়ে গিয়ে এমন দুর্ঘটনা ঘটিয়েছে। এ নিয়ে আবার তদন্তও হবে বলে শোনা যাচ্ছে। তা হোক। আমরা মেনে নিলাম যে রোগটি এসেছে প্রকৃতি থেকেই। কিন্তু প্রকৃতির কেন হঠাৎ এমন দুর্বুদ্ধি হলো যে সে বেরিয়ে পড়ল মানুষ মারার মিশন নিয়ে? প্রকৃতির তো এটা স্বাভাবিক কাজ নয়। তার জন্য স্বাভাবিক কাজ হচ্ছে নিজে বেঁচে থাকা। তাহলে? আসলে প্রকৃতির এই অস্বাভাবিক কাজের জন্য প্রকৃতি নিজে দায়ী নয়, দায়ী মানুষই। সব মানুষ নয়, পুঁজিবাদী মানুষ, প্রকৃতিকে যারা পণ্যে পরিণত করেছে এবং উত্ত্যক্ত করেছে সর্বক্ষণ। প্রকৃতি তার নিজস্ব প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। জানানোটাই স্বাভাবিক। প্রকৃতিরও তো প্রাণ আছে; প্রাণ বাঁচার দায় আছে। প্রাণের ওপর আঘাত করলে প্রত্যাঘাত তো সে করবেই।

ধরে নিতে পারি যে জীবাণুটা ছড়িয়েছে বাদুড়ের দেহ থেকেই। বাদুড়ের দেহে ওই জীবাণু তৈরি হওয়াটা অপ্রত্যাশিত কিছু নয়; কিন্তু সেটা কেন মানুষের দেহে চলে আসবে? এসেছে এই কারণে যে বাদুড়কে টেনে আনা হয়েছে বাজারে। বন্যপ্রাণীর বাজার বসেছিল চীনের উহান শহরে, যেমন হামেশাই বসে থাকে। সেখান থেকেই সংক্রমণ। তা বাদুড় তো থাকবে বাদুড়ের জায়গাতেই, তাকে বাজারে নিয়ে আসাটা কেন ঘটল? কারণ হচ্ছে পুঁজিবাদী ভোগলিপ্সা। চীনে এক সময়ে বাদুড় খাওয়ার প্রচলন ছিল। চীন তখন দরিদ্র ছিল; দরিদ্র মানুষ অনেক কিছুই খায়, খেতে বাধ্য হয়; বাছবিচার করতে পারে না। কিন্তু এখন তো চীন আর দরিদ্র নেই। তাহলে? তাহলে বাদুড়কে কেন খাঁচায় পুরে বাজারে নিয়ে আসা? কারণ হচ্ছে খাঁচা থেকে বাদুড় যাবে খাবার টেবিলে। বাদুড় এখন আর গরিব মানুষের খাদ্য নয়; খায় ধনীরা। বাদুড়রা তাই ধরা পড়েছে, পশু বিক্রির বাজারে চলে এসেছে, বিক্রি হয়েছে এবং নিজেদের গাত্রে উৎপন্ন জীবাণু মানুষের দেহে ছড়িয়ে দিয়েছে। সবটাই ঘটল একদিকে ভোগবিলাসিতা, অন্যদিকে স্বাস্থ্য ও চিকিৎসাসহ মানুষের নিরাপত্তার দিকে যথোপযুক্ত মনোযোগ না দেয়া- এই দুই কারণে।

এক সময়ে মহামারি প্লেগও মনুষ্যদেহে এসেছিল প্রাণীদেহ থেকেই। প্রচলিত গল্পটা এই রকমের। এক পাদ্রি তার বক্তৃতায় ভক্তদের জোরেশোরে বলেছিলেন যে শয়তান নানারূপ ধারণ করে থাকে। তবে শয়তানের প্রিয় রূপটি হচ্ছে বিড়াল। সেই কথা শুনে বিড়াল হত্যার ধুম পড়ে যায়। পাদ্রি অবশ্য কালো বিড়ালের কথা বলেছিলেন, কিন্তু কালো-ধলো সব বিড়ালেরই নিধন চলে। বিড়াল মারা পড়ায় সুবিধা হয় ইঁদুরদের, তারা নিরাপদে বংশবৃদ্ধি ঘটাতে থাকে। ইঁদুররা নোংরা স্যাঁতসেঁতে জায়গাতে থাকতে পছন্দ করে; সে রকম পরিবেশে থাকতে থাকতে তাদের গায়ে প্লেগের ভাইরাস জমে। এক একটির গায়ে হাজার হাজার ভাইরাস। ইঁদুরের স্বভাব যেখানে-সেখানে মুখ দেয়া। তাদের মুখস্পর্শ থেকে প্লেগের ভাইরাস চলে যায় মানুষের দেহে। এভাবে প্লেগ ছড়িয়ে পড়ে এবং মহামারির আকার ধারণ করে। এবার চীনে করোনা হয়তো বাজারে আনা বাদুড় থেকে চলে গেছে আরেক ছোট প্রাণী প্যাঙ্গোলিনের দেহে এবং সেখান থেকে মানুষের দেহে ঢুকেছে।

কোভিড-১৯ নাম দেয়া এই রোগটি একেবারেই আনকোরা। বলা হচ্ছে যে এর কোনো ইতিহাস নেই। সেটা ঠিক। কিন্তু এর উৎপত্তি যে ব্যবস্থা থেকে তার তো লম্বা ইতিহাস রয়েছে। বাদুড়ের গায়ে জীবাণু জন্মে থাকলে তার ওপর পুঁজিবাদী মানুষের অত্যাচারের কারণেই ঘটেছে। একশ বছর আগে, সেই ১৯১৮ সালে, প্রথম বিশ্বযুদ্ধের শেষকালে স্প্যানিশ ফ্লু নামে ভয়ঙ্কর এক রোগ দেখা দিয়েছিল। ধারণা করা হয় যে তার আক্রমণে ৫ কোটি লোক মারা গেছে। যুদ্ধের ভেতর মানুষের গা-ঘেঁষাঘেঁষি যাতায়াত, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে গাদাগাদি করে থাকা, পুষ্টির অভাব, অমানুষিক পরিশ্রম, এসব অস্বাভাবিকতার দরুন রোগটা দেখা দেয় এবং অতি দ্রæত ছড়িয়ে পড়ে। যুদ্ধের সময়ে মৃত্যু, ধ্বংসলীলা ও উন্মত্ততার ভেতর রোগে মৃত্যুর খবরটি কিছুটা চাপাই পড়ে থাকে। একশ বছর পর এবার এলো আরেক ফ্লু। এখন যুদ্ধ নেই, পৃথিবীময় কথিত শান্তি বিরাজ করছে; জ্ঞানে, বিজ্ঞানে, চিকিৎসায়, প্রযুক্তিতে মানুষ কত কত এগিয়ে গেছে, অবিশ্বাস্য সব উন্নতি; তখন আবার কেন এই উদ্ভবটি ঘটল? ঘটল কিন্তু ওই একই কারণে। যুদ্ধের কারণেই। করোনার আক্রমণটা যেন তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ। প্রথম দুটি বিশ্বযুদ্ধ ছিল পুঁজিবাদী-সাম্রাজ্যবাদীদের মধ্যে দখলদারিত্বের বিবাদ নিয়ে। এবারের এই যুদ্ধটাতে গোটা পুঁজিবাদী ব্যবস্থাটাই একযোগে ঝাঁপিয়ে পড়েছে মানুষের সভ্যতার ওপর। সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর পুঁজিবাদের উল্লসিত মুখপাত্ররা বলেছিল ইতিহাস তার গন্তব্যে পৌঁছে গেছে, অর্থাৎ বিশ্বময় পুঁজিবাদ একচ্ছত্র হয়েছে, আর কোনো বিপদ নেই। মস্ত বড় বিপদটা যে ওই প্রসারিত হওয়ার একেবারে বুকের ভেতরেই কায়দা করে বসে ছিল, সেটা নানাভাবে বোঝা গেছে। মানুষ মারার অস্ত্র উদ্ভাবন ও বিক্রির প্রতিযোগিতা, মাদক ও পর্নোগ্রাফির ব্যবসা, স্থানীয় আকারে যুদ্ধ লাগিয়ে রাখা, ধরিত্রীর উষ্ণতা বৃদ্ধি, সংখ্যালঘু নিপীড়ন, নারী নির্যাতন, ভিন্নমত নিষ্পেষণ- এসব উৎপাতের মধ্য দিয়ে পুঁজিবাদের অগ্রগতির যে ধ্বংসাত্মক চরিত্র সেটা ধরা পড়ছিল। অতিআশ্চর্য সব উন্নতির অন্তরালে মানুষের সব অর্জনকে নষ্ট করে দেয়ার প্রস্তুতি চলছিল। দুটি বিশেষ দিক ধরে ধ্বংস-প্রস্তুতির ওই অগ্রগতি। এর একটি ভোগবিলাস, অপরটি নিরাপত্তাহীনতা। ভোগবিলাসের তো কোনো সীমা-পরিসীমাই দেখা যায়নি, এখনো দেখা যাচ্ছে না। তবে এই বিলাসিতা কতিপয়ের মাত্র, এর উল্টো পিঠে লেখা রয়েছে অধিকাংশ মানুষের বঞ্চনা। অধিকাংশকে বঞ্চিত করেই কতিপয়ের এই ফুলে-ফেঁপে ওঠা। বঞ্চিতদেরও কিন্তু আবার দীক্ষিত করা হয়েছে ভোগবিলাসের নিষ্ঠুর মন্ত্রেই। যেজন্য অর্থনৈতিক বঞ্চনার সঙ্গে সঙ্গে ভোগবিলাসের বঞ্চনার বোধও বঞ্চিতদের পীড়িত করছে।

সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী : ইমেরিটাস অধ্যাপক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App