×

মুক্তচিন্তা

নদীভাঙন রোধে করণীয়

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০৮:২২ পিএম

নদীভাঙন রোধে করণীয়

ছবি: প্রতিনিধি

বিশাল নদী তীব্র স্রোত আর প্রত্যেক বছর প্রচুর ভাঙলেও এখনো সরকারি কোনো ব্যবস্থাপনার অভাবে ওই এলাকার সামনে কতটা ভয়াবহ বিপর্যয় অপেক্ষা করছে তা অননুমেয়। একদিকে মহামারিতে আয়-রোজগার বন্ধ, অন্যদিকে নদীভাঙনে বসতভিটা হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পথে পথে দিন কাটানো যেন ধরলার আশপাশের মানুষের নিত্য ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

চলতি বছর ধরলা নদীর স্রোতে পূর্বপাড়ের মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। খরস্রোতার ধাক্কায় বেলে দোআঁশ মাটি ধসে জলে মিশে যাচ্ছে অনবরত। এ বছর শুধু কুড়িগ্রাম জেলায় ধরলা কতখানি বসতবাড়িসহ আবাদি জমি নদীগর্ভে বিলীন করেছে তার কোনো সরকারি-বেসরকারি হিসাব নেই। নেই কোনো উপর মহলের তদারকি। উপর মহলের অনাগ্রহের কারণে ভিটেমাটি হারিয়ে পরের জমি, আঙিনায়, রাস্তায় এমনকি ভাসমান জীবনযাপন করছে কয়েক হাজার মানুষ। দিন গুজরানো নিপীড়িত মানুষগুলোর পাশে দাঁড়ানোর মতো সহায় কোনো বল না থাকায় তাদের ভবিষ্যৎ অন্ধকারে নিমজ্জিত হচ্ছে। বিশাল নদী তীব্র স্রোত আর প্রত্যেক বছর প্রচুর ভাঙলেও এখনো সরকারি কোনো ব্যবস্থাপনার অভাবে ওই এলাকার সামনে কতটা ভয়াবহ বিপর্যয় অপেক্ষা করছে তা অননুমেয়। একদিকে মহামারিতে আয়-রোজগার বন্ধ, অন্যদিকে নদীভাঙনে বসতভিটা হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পথে পথে দিন কাটানো যেন ধরলার আশপাশের মানুষের নিত্য ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বলার মতো লোক না পেয়ে বোবার মতো মনোকষ্ট মনেই রেখে দিনগুলো কাটাচ্ছে দারিদ্র্য জনগোষ্ঠী। দ্রুত জনসংখ্যা বৃদ্ধিতে জমির গুরুত্ব যেভাবে বেড়েই চলেছে সেভাবে নদীভাঙন প্রতিরোধে দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে লাখ লাখ জমি নদী আওতায় চলে যাবে, অপরদিকে দারিদ্র্যের হার বৃদ্ধি পাবে, ভাসমান লোকজন বৃদ্ধি পাবে যা দেশের অর্থনৈতিক ক্ষতিসাধন করবে। অতিসত্বর ভাঙনরোধে সমন্বিত পদক্ষেপ নিয়ে বসতভিটাসহ আবাদি মূল্যবান জমিগুলো বাঁচালে দেশের উৎপাদন বৃদ্ধিসহ দেশ ও মানুষের সমৃদ্ধি বয়ে আনবে।

ফুলবাড়ি, কুড়িগ্রাম। [email protected]

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App