×

সারাদেশ

নদী দখল করে দুইতলা বাড়ি নির্মাণ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০৬:৫৪ পিএম

নদী দখল করে দুইতলা বাড়ি নির্মাণ

ছবি: প্রতিনিধি

নদী দখল করে দুইতলা বাড়ি নির্মাণ

ছবি: প্রতিনিধি

সরকারি জমিতে অবৈধ স্থাপনা প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা অমান্য কালো টাকার প্রভাব খাটিয়ে পুনরায় কাজ চালু বর্ষা মৌসুমে নদীর স্বাভাবিক গতিপ্রবাহ বাধাগ্রস্ত

নরসিংদীর পলাশ উপজেলার পলাশ বাজার গুদারাঘাট সংলগ্ন শীতলক্ষ্যা নদী দখল করে নির্মাণ করা হচ্ছে দ্বিতলা পাকা ভবন। শুধু তাই নয়, নদীর পাশের সরকারি জমি ভরাট করে গড়ে তোলা হয়েছে বহু অবৈধ স্থাপনা। অভিযোগ রয়েছে, পলাশ বাজারের ডিস ব্যবসায়ী সোহরাফসহ একটি প্রভাবশালী মহল এ অপকর্মের সঙ্গে জড়িত। ক্ষমতার অপব্যবহার করে শীতলক্ষ্যা নদী দখল করে রাতারাতি গড়ে তোলা হচ্ছে এসব পাকা ভবন। দখলদাররা প্রভাবশালী হওয়ায় কেউ প্রকাশ্যে প্রতিবাদ করার সাহস পাচ্ছে না।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ইতোমধ্যে নদীর তীর থেকে নদীর ভেতরের দিকে ৩০-৩৫ ফুট জায়গা নিয়ে পাকা দ্বিতলা ভাবনের স্থাপনা তৈরির কাজ দ্রুত চলছে। নদীর মধ্যেই বেজমেন্ট তৈরি করা হয়েছে। নদী দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে। যাতে বুঝা না যায়, এজন্য মাটি ভরাট করে নদীর আরো কিছুটা অংশ দখল করে সিমেন্টের পিলার ও টিন দিয়ে বেঁধে দেয়া হয়েছে পশ্চিমাংশের পাড়।

নদীর মধ্যে কেন স্থাপনা তৈরি করা হয়েছে, জানতে চাইলে নির্মাণ কাজের সঙ্গে জড়িত শ্রমিকেরা কিছুই জানেন না বলে জানান। তারা আরো বলেন, এ ব্যাপারে ভবনের মালিক সোহরাফের সঙ্গে আপনারা কথা বলেন।

[caption id="attachment_241133" align="aligncenter" width="700"] ছবি: প্রতিনিধি[/caption]

স্থানীয়রা বলছেন, গত কয়েক দিন আগে উপজেলা প্রশাসন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে প্রাথমিকভাবে সরকারি লাল নিশানা টাঙিয়ে দেন। নির্মাণকাজ বন্ধ করে স্থাপনা ভেঙে ফেলার নির্দেশও দিয়েছিল। কিন্তু সোহরাফ প্রশাসনের সেই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কালো টাকার প্রভাব খাটিয়ে পুনরায় কাজ শুরু করছে।

তাদের অভিযোগ, সে উপর মহলকে ম্যানেজ করেই এসব করছে। এরই মধ্যে নদীর উপরে এক তলা শেষ করে দ্বিতলার কাজ শুরু করেছে। নদী দখল করে স্থাপনা নির্মাণ অব্যাহত থাকলে আসন্ন বর্ষা মৌসুমে নদীর স্বাভাবিক গতিপ্রবাহ বাধাগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। এ ছাড়া নদী রক্ষা বাঁধ ভেঙে জানমালের ব্যাপক ক্ষতিসাধন হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এ ব্যপারে অভিযুক্ত ডিস ব্যবসায়ী সোহরাফ  জানান, এটা আসলে নদীর উপরে না। নদীর সাইটেই একটা খাস জমিতে করা হয়েছে। এখানে অনেকেই ভবন করেছে। এটা প্রশাসন মাপজোক করেছে। রবিবার আমারে ডেকে নিয়েছিল। প্রশাসন বলেছে, কাজ না করতে ।

এ ব্যাপারে  উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আমিনুল ইসলাম বলেন, অভিযুক্ত সোহরাফকে ধরতে কয়েক বার অভিযান চালানো হয়েছে। সে আগে থেকেই খবর পেয়ে পালিয়ে যাওয়ায় তার বিরুদ্ধে শক্ত কোনো ব্যবস্থা নেয়া যাচ্ছে না। শিগগিরই অবৈধ স্থাপনার তালিকা তৈরি করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হবে। কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা পেলেই উচ্ছেদ অভিযান চালানো হবে।

উপজেলা নির্বাহী  অফিসার রুমানা ইয়াসমিন জানান, নদী দখল করে যারা পাকা ভবন নির্মাণ করছে উচ্ছেদের পাশাপাশি তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App