×

সারাদেশ

যুবলীগ নেতার ওপর হামলা, গ্রেপ্তার হয়নি কেউ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০১:১৩ পিএম

যুবলীগ নেতার ওপর হামলা, গ্রেপ্তার হয়নি কেউ

হামলা। প্রতীকী ছবি।

কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার কাঁঠাল বাড়িতে আভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে প্রতিপক্ষের দুর্বৃত্তরা উপুর্যপুরী ছুরিকাঘাত করে যুবলীগ নেতা মেহেদী হাসান বাঁধনকে আহত করেছে। মারাত্মক আহত মেহেদী হাসান বর্তমানে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

এদিকে প্রকাশ্যে ছুরিকাঘাত করে মেহেদী হাসান হত্যা চেষ্টায় জড়িতদের ঘটনার তিন দিন পরেও গ্রেপ্তার না করায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে জনমনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। সন্ত্রাসী হামলার এ ঘটনাটি ঘটেছে গত ৩১ আগস্ট রাত ৮ টার দিকে কাঠালবাড়ি ইউনিয়নের নারকেল বাড়ি নামক স্থানের একটি চায়ের দোকানের সামনে।

বিক্ষুব্ধ জনতা তাৎক্ষণিক হামলাকারী নাজমুল ও মিন্টুর বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর চালিয়েছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে। যুবলীগ নেতার মা ৪ জনের নাম উল্লেখ করে সদর থানায় মামলা দায়ের করেছেন।

মামলার লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, আহত মেহেদী স্থানীয় ভোলা মিয়াসহ প্রতিদিনের মতো ওইদিন রাত ৮ টার দিকে নারকেল বাড়ি নামক স্থানে জাহাঙ্গীর হোসেনের চায়ের দোকানে চা খেতে যান। চা খাওয়া শেষে মেহেদী তার মোটরসাইকেল স্টার্ট করার মুহূর্তে আগে থেকে ওঁৎপেতে থাকা প্রতিপক্ষ নাজমুল ও মিন্টু তাদের কতিপয় সহযোগীসহ দেশিয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে মেহেদীর পথরোধ করে দাঁড়ায়।

এ সময় কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই দুর্বৃত্তরা মেহেদী হাসানের ওপর উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করতে থাকে। এতে রক্তাক্ত মেহেদী হাসান মাটিতে লুটিয়ে পড়লে তার মৃত্যু হয়েছে ভেবে দুর্বৃত্তরা বীরদর্পে স্থান ত্যাগ করে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়। পরবর্তীতে পথচারীরা আহত মেহেদী হাসানকে উদ্ধার করে প্রথমে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল পরে তার অবস্থার অবনতি হলে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে।

মেহেদী হাসানের মা কাঁঠালবাড়ী ইউনিয়নের সংরক্ষিত মহিলা সদস্য মর্জিনা বেগম অভিযোগ করে বলেছেন, ভবিষ্যতে তার ছেলে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন ভেবে একটি প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় তার সন্তানকে হত্যার উদ্দেশ্যে প্রতিপক্ষরা ছুরিকাঘাত করেছে। করোনা কালীন সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের ত্রাণ লুটপাটের বিরুদ্ধে মেহেদী হাসান সোচ্চার থাকায় তখন থেকেই প্রতিপক্ষরা প্রতিশোধ পরায়ন হয়ে পড়ে। ওই সময় ত্রাণ দুর্নীতির বিরুদ্ধে মেহেদী হাসানের নেতৃত্বে রংপুর-কুড়িগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করেছিল কাঁঠালবাড়ী ইউনিয়নবাসী।

মেহেদী হাসান জানান, ওই সময় তাকে দেখে নেয়ার হুমকি দিয়েছিল ওই ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রেদওয়ানুল হক দুলাল। এরই ধারাবাহিকতায় এ ঘটনা ঘটেছে বলে মনে করছেন মেহেদী হাসানের মা মর্জিনা।

এ ব্যাপারে কুড়িগ্রাম সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাফুজার রহমান মামলা দায়েরের কথা নিশ্চিত করে বলেন, আসামিরা পালিয়ে থাকায় তাদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App