×

সারাদেশ

পারাপারে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়, ভোগান্তিতে যাত্রীরা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০৫:৩৯ পিএম

পারাপারে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়, ভোগান্তিতে যাত্রীরা

নৌকা ঘাট

পারাপারে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়, ভোগান্তিতে যাত্রীরা

মই বেয়ে নৌকায় উঠেন এক যাত্রী।

ব্রহ্মপুত্রের পূর্বতীরে একাত্তরের মুক্তাঞ্চল খ্যাত রৌমারী ও রাজিবপুর উপজেলা থেকে চিলমারী নৌ-রুটে অস্বাভাবিক হারে ভাড়া বৃদ্ধি ও যাত্রী হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। অপর দিকে নৌকার মাঝিদের রুক্ষ ব্যবহারে অতিষ্ট হয়ে পড়েছে যাত্রীরা। এ ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দেন এলাকাবাসী। শনিবার (৫ সেপ্টেম্বর) সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে এসব চিত্র।

সাধারণ মানুষের অভিযোগ, প্রতিনিয়ত জেলায় দাপ্তরিক কাজসহ কোর্ট-কাচারি, ব্যবসা-বাণিজ্য ও মুমূর্ষ রোগীদের চিকিৎসার জন্য এই দুই উপজেলা বাসীকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ব্রহ্মপুত্র নদ পার হয়ে সার্বক্ষণিক আসা-যাওয়া করতে হয়।

গত দুই বছর থেকে তেল ও মবিলের দাম বৃদ্ধি না পেলেও দফায় দফায় বেড়েছে নৌকা ভাড়া। কোনো কারণ ছাড়াই যাত্রী প্রতি ৩০ টাকা ও মোটরসাইকেল ৭০ টাকা বেশি ভাড়া নেয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে। তাছাড়াও নৌকা ঘাটে যাত্রীদের সুবিধার্থে নেই টয়লেট ও টিউবওয়েল।

কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারী নৌকাঘাট, রৌমারীর ফলুয়ারচর, বলদমারা, কর্তিমারী ও রাজিবপুরসহ বিভিন্ন নৌকা ঘাট কুড়িগ্রাম জেলা পরিষদ থেকে ১ বছরের জন্য ইজারা নেন ফিরোজ নামের এক ব্যক্তি। তিনি রৌমারীর ফলুয়ারচর ও বলদমারা নৌকাঘাট দুটি ভাড়া আদায়ের জন্য বিভিন্ন খাতে ৪১ লক্ষ টাকা খরচ করে মার্চ মাসে রৌমারীর নাসির উদ্দিন খাঁন নামের এক ব্যক্তির কাছে দায়িত্ব দেন।

তার আগে, করোনার অজুহাত দেখিয়ে যাত্রীদের কাছ থেকে জনপ্রতি ২ শত থেকে ৩শত টাকা পর্যন্ত আদায় করা হতো। নৌকা ঘাটের মালিক সমিতির একক সিদ্ধান্তে আগের ৭০ টাকার পরিবর্তে ১ শত টাকা জনপ্রতি যাত্রীদের কাছ থেকে নৌকা ভাড়া আদায় করা হচ্ছে।

[caption id="attachment_240819" align="aligncenter" width="700"] নৌকা ঘাট[/caption]

জেলার উলিপুর থেকে নৌকা যোগে রৌমারীতে আসা আবুল হোসেন নামের এক যাত্রী বলেন, নৌকা ভাড়া তো ৭০ টাকা, কিন্তু আমাদের কাছ থেকে ১ শত টাকা করে নেয়। নৌকা ভাড়া কমানোর জন্য স্থানীয় প্রশাসনের কাছে দাবি জানাই।

চিলমারী থেকে রৌমারীতে ঘুরতে আসা আজগর আলী জানান, সরকার তো সর্বক্ষেত্রে ভাড়া কমিয়ে আগের ভাড়া নেয়ার নির্দেশ দিয়েছে। তবে নৌকার মাঝিরা এ নির্দেশ অমান্য করে ভাড়া বেশি নিচ্ছে।

নৌকার মাঝি ফারুক মিয়া জানায়, করোনার কারণে যাত্রী অনেক কমে গেছে। পাশাপাশি নৌকার মালিক সমিতির সিদ্ধান্ত মতে ভাড়া একটু বেশি নিতেছি।

রৌমারীর নৌকা ঘাট পরিচালক রফিকুল ইসলাম বলেন, যাত্রী কমে যাওয়া ও উপরের সিদ্ধান্তে আগের ভাড়ার চেয়ে ৩০ টাকা বেশি নেয়া হচ্ছে।

রৌমারীর নৌকা ঘাটের সাব-ইজারাদার নাসির উদ্দিন খাঁন বলেন, নৌকা ঘাটের মালিক সমিতির পক্ষ থেকে ভাড়া বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এজন্য আমরা ভাড়া বেশি নিই। তবে আমরা শুধু ভাড়া আদায়কারী হিসেবে কাজ করি। ভাড়া কমানো আমার কোনো ক্ষমতা নেই।

চিলমারী, রৌমারী ও রাজিবপুর নৌকাঘাট ইজারাদার ফিরোজ মিয়ার সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোনো তথ্য না দিয়ে পাশ কাটিয়ে যান।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল ইমরান বলেন, অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ পেয়েছি। খোঁজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App