×

স্বাস্থ্য

ডালডায় মাত্রাতিরিক্ত ট্রান্সফ্যাট, ঝুঁকিতে জনস্বাস্থ্য

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১০:৫৫ পিএম

ডালডায় মাত্রাতিরিক্ত ট্রান্সফ্যাট, ঝুঁকিতে জনস্বাস্থ্য

শীর্ষস্থানীয় পিএইচও ব্র্যান্ডসমূহের নমুনা বিশ্লেষণ করে ফলাফল প্রকাশ উপলক্ষ্যে ৫ সেপ্টেম্বর জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়- ভোরের কাগজ।

পারশিয়ালি হাইড্রোজেনেটেড অয়েল (পিএইচও) নমুনার ৯২ শতাংশে মাত্রাতিরিক্ত ট্রান্সফ্যাট (ট্রান্সফ্যাটি এসিড) পাওয়া গেছে। প্রতি ১০০ গ্রাম পিএইচও (বাংলাদেশে ডালডা বা বনস্পতি হিসেবে পরিচিত) নমুনায় সর্বোচ্চ ২০.৯ গ্রাম পর্যন্ত ট্রান্সফ্যাট এর উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে, যা ডব্লিউএইচও সুপারিশকৃত মাত্রার ১০ গুণেরও বেশি।

ঢাকার শীর্ষস্থানীয় পিএইচও ব্র্যান্ড সমূহের নমুনা বিশ্লেষণ করে এই ফলাফল পাওয়া গেছে। ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হসপিটাল এন্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট (এনএইচএফএইচআরআই) এ গবেষণা করে। বিভিন্ন বেসরকারি ও রেস্টুরেন্টে এসব মাত্রাতিরিক্ত ট্রান্সফ্যাট সম্পন্ন পিএইচও বা ডালডা ব্যবহার করা হয়।

শনিবার (৫ সেপ্টেম্বর রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘এসেসমেন্ট অব ট্রান্সফ্যাট ইন পিএইচও’স ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়। গ্লোবাল হেলথ এডভোকেসি ইনকিউরেটর (জিএইচএআই) এর সহযোগিতায় ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ, কনজুমারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) ও প্রজ্ঞা (প্রগতির জন্য জ্ঞান) সম্মিলিতভাবে এই অনুষ্ঠান আয়োজন করে।

এটিএন বাংলার বার্তা সম্পাদক নাদিরা কিরণের সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনে গবেষণা ফলাফল উপস্থাপন করেন ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ এর ইপিডেমিওলজি এন্ড রিসার্চ বিভাগের অধ্যাপক ডা. সোহেল রেজা চৌধুরী এবং করণীয় সম্পর্কে আলোকপাত করেন প্রজ্ঞার ট্রান্সফ্যাট বিষয়ক প্রকল্পের টিম লিডার মো. হাসান শাহরিয়ার।

গবেষক দলের সদস্য অধ্যাপক ডা. সোহেল রেজা চৌধুরী বলেন, এই গবেষণা প্রমাণ করে বাংলাদেশে অনেক পণ্যেই বিপজ্জনক মাত্রায় ট্রান্সফ্যাট রয়েছে, যা অধিক হারে হৃদরোগ ও হৃদরোগ জনিত মৃত্যুঝুঁকি তৈরি করছে।

অধ্যাপক নাজমা শাহীন বলেন, বাংলাদেশে বিরাজমান হৃদরোগ জনিত স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়ন্ত্রণে অতি দ্রুত পিএইচও’র ট্রান্সফ্যাট এর মাত্রা ২ শতাংশে নামিয়ে আনা জরুরি।

গবেষণা কার্যক্রমে সার্বিক সহযোগিতা প্রদানকারী গ্লোবাল হেলথ এডভোকেসি ইনকিউরেটর (জিএইচএআই) এর মুহাম্মদ রুহুল কুদ্দুস বলেন, বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার সুপারিশ অনুসরণ করে ভারত, থাইল্যান্ড, ব্রাজিলসহ অনেক দেশ খাদ্যদ্রব্যে ট্রান্সফ্যাট নিয়ন্ত্রণে নীতি করেছে। বাংলাদেশও এক্ষেত্রে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

ক্যাব এর প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর আহম্মদ একরামুল্লাহ বলেন, ট্রান্সফ্যাট নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশে কোনো নীতি না থাকায় ভোক্তা স্বাস্থ্য চরম হুমকির মধ্যে রয়েছে।

অ্যাডভোকেসি প্রতিষ্ঠান প্রজ্ঞার নির্বাহী পরিচালক এবিএম জুবায়ের বলেন, ট্রান্সফ্যাটের স্বাস্থ্যক্ষতি ও বিস্তার সম্পর্কে জনসচেতনতা তৈরি এবং ট্রান্সফ্যাট নির্মূলে নীতি প্রণেতাদের উদ্বুদ্ধ করতে গণমাধ্যম সবচেয়ে কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারে।

সংবাদ সম্মেলনে দ্রুততম সময়ের মধ্যে সবধরনের ফ্যাট, তেল ও খাদ্যদ্রব্যে ট্রান্সফ্যাটের সর্বোচ্চ সীমা মোট ফ্যাটের ২ শতাংশ নির্ধারণ এবং তা কার্যকর করার দাবি জানানো হয়।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App