×

জাতীয়

গেপ্তার হয়া যুবলীগের দুজনই মাদক ব্যবসায়ী: পুলিশ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০৬:২৩ পিএম

দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউওনও) ওয়াহিদা খানম ও তাঁর বাবা ওমর আলীর ওপর হামলার ঘটনায় হাকিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস ওয়াহিদ জানিয়েছেন, গেপ্তার হওয়া যুবলীগের দুজন মাদক সেবনকারী ও ব্যবসায়ী। তাঁদের নামে থানায় কয়েকটি মাদক মামলা রয়েছে। তবে কী কারণে ইউএনওর ওপর তাঁরা হামলা করেছেন, সে বিষয়ে এখুনি কিছু বলা যাচ্ছে না।

এদিকে স্থানীয় এমপি শিবলী সাদিক বলেন, তাদের (আসাদুল ও জাহাঙ্গীর) বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে এলাকায় সন্ত্রাস ও মাদকের বিস্তারের একাধিক মামলা রয়েছে। এ কারণে তাদের দল থেকে বহিষ্কারসহ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আমি আড়াই থেকে তিন মাস আগে যুবলীগকে জানাই। স্থানীয় নেতাদের ও সেন্ট্রাল নেতাদের একাধিকবার জানাই। স্থানীয় পর্যায় থেকেও জেলা কমিটিকে চিঠি দিয়েছে। কিন্তু আজ পর্যন্ত চিঠির কোনও রিপ্লাই আসেনি। এদের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হলো না, দেশবাসীসহ সেটা আমারও প্রশ্ন, আমিও জানতে চাই।

এই জনপ্রতিনিধি বলেন, ‘এরা মাদকাসক্ত। একাধিক মামলার আসামি। জাহাঙ্গীর, আসাদুল, নান্নু এরা একই গ্রুপে চলাচল করে। জমিজমা কেনা সংক্রান্ত, বিশেষ করে ওসমানপুর কেন্দ্রিক বিষয়ে এদের অনেক দৌরাত্ম্য। আমি এসব কাজ পছন্দ করি না। সে কারণে আমার কোনও কার্যক্রমে অংশ নিতে দেই না। এ কারণে এরা আমাকে নিয়ে অশালীন কথাবার্তাও লিখেছে। আমি একাধিকবার তাদের বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য চিঠি দিয়ে কোনও জবাব পাইনি।

হামলার ঘটনায় ইউএনওর ভাই শেখ ফরিদ উদ্দিন বাদী হয়ে ঘোড়াঘাট থানায় গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে অজ্ঞাতনামা চার থেকে পাঁচজনকে আসামি করে মামলা করেছেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার মধ্যরাতে ইউএনওর সরকারি বাসভবনের ভেন্টিলেটর কেটে দুর্বৃত্তরা তাঁর শয়নকক্ষে ঢুকে পড়ে। এর আগে দুর্বৃত্তরা ওই বাসভবনের নিরাপত্তাপ্রহরীকে বেঁধে প্রহরীকক্ষে তালা দিয়ে আটকে রাখে। ইউএনওর বাবা ওমর আলী (৬০) প্রতিদিন সকালে হাঁটতে বের হন। কিন্তু গতকাল সকালে তিনি হাঁটতে বের না হওয়ায় সঙ্গীরা তাঁর খোঁজ নেওয়ার জন্য বাসভবনে যান। অনেক ডাকাডাকি করেও কোনো সাড়া না পেয়ে তাঁরা পুলিশে খবর দেন।

পরে পুলিশ গিয়ে ইউএনও, তাঁর বাবা ও প্রহরীকে উদ্ধার করে। আহত বাবা-মেয়েকে গতকাল সকালে প্রথমে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে ওয়াহিদাকে বিমানবাহিনীর হেলিকপ্টারে ঢাকায় আনা হয়। তিনি এখন ঢাকার আগারগাঁওয়ে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস অ্যান্ড হসপিটালে চিকিৎসাধীন। ওয়াহিদার বাবা রংপুর মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App