×

সারাদেশ

ইউএনও হত্যার মূল পরিকল্পনা নবীরুলের

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০৭:৪৭ পিএম

ইউএনও হত্যার মূল পরিকল্পনা নবীরুলের

ইউএনওর ওপর হামলাকারী নবীরুল ইসলাম

ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াহিদা খানমের বাসায় চুরির উদ্দেশ্যেই ঘরে ঢুকেছিল দুর্বৃত্তরা। এসময় ওয়াহিদা বাধা দেওয়ায় তার উপর হামলা চালায় বলে জানিয়েছে র‌্যাব। শুক্রবার (৪ সেপ্টেম্বর) র‍্যাব-১৩ এর অধিনায়ক ব্রিফিংয়ে বলেন, মূলত চুরি করার জন্য ইউএনও‘র বাসায় ঢুকেছিলো কিন্তু ইউএনওকে হত্যার মূল পরিকল্পনা ছিলো নবীরুলের। তবে চুরির উদ্দেশ্যেই ইউএনও‘র ওপর হামলা জিজ্ঞাসাবাদে এসব তথ্য জানিয়েছে আসাদুল। র‌্যাব জানায়, ঈদের সময় ইউএনও এর বাসায় রংয়ের কাজ করতে গিয়ে চুরির পরিকল্পনা ছিলো। বাসায় নগদ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার পাওয়া যাবে ভেবেছিলো তারা। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার ইউএনওকে হত্যাচেষ্টা মামলার সন্দেহভাজন প্রধান আসামি আসাদুল ইসলাম, সান্টু ও নবীরুল। এ ঘটনায় জড়িত বলে এরই মধ্যে তারা দায় স্বীকার করেছে। জিজ্ঞাসবাদে জানিয়েছে চুরির জন্য তারা ভেন্টিলেটর দিয়ে ঘরে ঢোকেন। তবে ওয়াহিদা জেগে গিয়ে চুরিতে বাধা দেওয়ায় তার উপর হামলা চালায়। ব্রিফিংয়ে র‌্যাব জানায়, আসামিদের রাজনৈতিক পরিচয় মামলার তদন্তের কাছে বাধা হবে না। হামলার প্রকৃত কারণ জানতে আরো সময় প্রয়োজন। গত বুধবার মধ্যরাতে উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তার সরকারি ভবনে ঢুকে হামলা চালায় দুষ্কৃতিকারীরা। ঘটনার পর পরই তদন্তে নামে র‌্যাব ও পুলিশের যৌথ দল। বৃহস্পতিবার দিনাজপুর ডিবি গোয়েন্দা পুলিশ ইউএনও'র বাসভবনের নৈশ প্রহরী পলাশকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে। এরপর গোপন খবরের ভিত্তিতে ঘোড়াঘাট থেকে জাহাঙ্গীর ও মাসুদ রানা নামে আরও দু'জনকে এবং সন্দেহভাজন প্রধান আসামী আসাদুল হককে দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার হিলি সীমান্ত এলাকা থেকে আটক করা হয়। নৈশ প্রহরী পলাশ ছাড়া বাকি তিনজনকে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে চিহ্নিত করা হয়। এদিকে এই ঘটনার পর বেরিয়ে আসে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নেয়া জাহাঙ্গীর আলম যুবলীগের আহ্বায়ক, আসাদুল হক যুবলীগের সদস্য এবং মাসুদ রানা ঘোড়াঘাট সিংড়া ইউনিয়ন যুবলীগের নেতা। এরমধ্যে দিনাজপুর জেলা যুবলীগ মাসুদ রানাকে বহিস্কার করেছে এবং কেন্দ্র থেকে বাকি দুইজনকে বহিস্কার করা হয়েছে। বুধবার এ ঘটনায় অজ্ঞাতদের আসামি করে ঘোড়াঘাট থানায় মামলা করেন ইউএনও ওয়াহিদা খানমের ভাই। হামলার পর গতকাল ভোরের দিকে ওয়াহিদা খানম এবং তার বাবা ওমর আলী শেখকে উদ্ধার করে প্রথমে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং পরে ওয়াহিদা খানমকে রংপুর কমিউনিটি মেডিকেল ভর্তি করা হয়। তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে গতকাল এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকার নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। রাতেই প্রায় দুই ঘণ্টা অস্ত্রপচারের পর তার জ্ঞান ফেরে। অস্ত্রপচার সফল হলেও এখনও মাথায় প্রচুর রক্তক্ষরণের কারণে ওয়াহিদা খানম এখনও পুরোপুরি শঙ্কামুক্ত নয় জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App