×

পুরনো খবর

উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে সাইবার অপরাধ!

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০২ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১০:১১ পিএম

উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে সাইবার অপরাধ!
বর্তমান সময়ে প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে একদিকে যেমন এগিয়ে যাচ্ছে বিশ্ব, অপরদিকে প্রযুক্তিনির্ভর সহজলভ্যতার কারণে বাড়ছে সাইবার অপরাধ। তথ্যপ্রযুক্তির সবচেয়ে বড় ব্যবহারকারী এখন উঠতি বয়সী তরুণ-তরুণীরা। যাদের সিংহভাগ ছাত্রছাত্রী। সামাজিক যোগাযোগ ফেসবুকসহ বিভিন্ন মাধ্যমে তারা জেনে বা না বুঝে বিভিন্ন পোস্টে মানহানিকর বা বিভ্রান্ত কমেন্ট করে, বিভিন্ন গুজব শেয়ার করে, বা অযাচিত বিভিন্ন গণ্যমান্য ব্যক্তিকে নিয়ে ট্রল করে। তাছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে খুব করে একটি বিষয় লক্ষণীয় যে দিনটি বিভিন্ন সেলিব্রেটিরা সাইবার বুলিংয়ের শিকার হচ্ছেন। তারা তাদের কাজের স্বার্থে বিভিন্ন মতামত, ভিডিও বা ছবি ফেসবুক, ইন্সটাগ্রাম, টুইটার বা ইউটিউবে প্রকাশ করে থাকেন। কিন্তু একশ্রেণির মানুষ সেখানে আপত্তিকর এবং কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করে থাকেন। যা পরবর্তী সময়ে তাদের ব্যক্তিগত জীবনে প্রভাব ফেলে এবং গুজব শেয়ারে জনমহলে তাদের সম্পর্কে নেতিবাচক প্রভাব সৃষ্টি হয়। মোবাইল ফোনের মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহারে আজকাল খুব সহজেই একে অপরকে ব্যক্তিগত বা নিজ স্বার্থে হুমকি বা ভয়ভীতি প্রদর্শন করে থাকে। বিভিন্ন জনপ্রিয় পত্রিকার কমেন্ট বক্সেও অনেকে অশ্লীল এবং ব্যক্তি বা রাষ্ট্রের নামে আপত্তিকর কমেন্ট করেন। ব্যক্তিস্বার্থে অনেকে আজকাল আইডি হ্যাকও করে থাকেন। এছাড়াও তরুণরা তাদের পছন্দের বা অপরিচিত মেয়েদের ফোন বা মেসেজ দিয়ে মানসিক হয়রানিও করে থাকেন। এতে করে একদিকে যেমন ভুক্তভোগী হয়রানির শিকার হচ্ছেন অপরদিকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও পড়ছেন বিপাকে। তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইন, ২০০৬ (সংশোধিত ২০১৩) এর ৫৭ ধারা অনুযায়ী কোনো ব্যক্তি যদি ইচ্ছাকৃতভাবে ওয়েবসাইটে বা অন্য কোনো ইলেকট্রনিক বিন্যাসে কোনো মিথ্যা বা অশ্লীল কিছু প্রকাশ বা সম্প্রচার করে যার দ্বারা মানহানি ঘটে, আইনশৃঙ্খলার অবনতি হয় অথবা রাষ্ট্র বা ব্যক্তির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয় তাহলে এগুলো হবে অপরাধ। এর শাস্তি সর্বোচ্চ ১৪ বছর কারাদণ্ড এবং সর্বনিম্ন ৭ বছর এবং ১ কোটি টাকা পর্যন্ত জরিমানা। এত কঠিন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন থাকা সত্ত্বেও আইনের তোয়াক্কা না করে অনেকে সাইবার অপরাধ করে যাচ্ছে। এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে কঠোর ও দৃঢ় পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত। কেননা কোনো ব্যক্তি বা রাষ্ট্রের একটি মিথ্যা বা গুজব সামাজিক মাধ্যমগুলোতে খুব সহজেই ভাইরাল হয়ে যায় এবং জনসাধারণের মাঝে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। এ বিষয়ে দৃঢ় পদক্ষেপ গ্রহণ ও জনমনে সচেতনতা সৃষ্টি না করলে এ অপরাধ ক্রমাগত বেড়েই যাবে। জনসাধারণের উদ্দেশে বলা দরকার, অনলাইন ব্যবহারে সাবধান বা সচেতন হওয়ার বিকল্প নেই। ইচ্ছাকৃতভাবে বা একটু অসচেতনবশত আপত্তিকর কিছু পোস্ট, কমেন্ট বা শেয়ার করলেই সাইবার অপরাধের দায়ে ফেঁসে যেতে পারেন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে। জেনে বা না বুঝে এ অপরাধ করে ফেললে দিতে হবে কঠিন মাশুল। এ ব্যাপারে আমাদের সবাইকেই সচেতন থাকতে হবে। পারিবারিক অভিভাবকদের সন্তান প্রযুক্তির অপব্যবহার করছে কিনা সেদিকে দৃষ্টি দিতে হবে। সর্বোপরি বিভিন্ন মাধ্যমে সচেতনতাসহ সরকারি বিধিমালা অনেকে ক্ষেত্রে মোবাইল অপব্যবহার নিয়ন্ত্রণে সহায়ক হতে পারে এবং সাইবার ক্রাইম নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হতে পারে। শিক্ষার্থী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। [email protected]

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App