×

খেলা

মেসির বার্সা ছাড়ার ১০ কারণ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০১ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০৯:৪৯ পিএম

মেসির বার্সা ছাড়ার ১০ কারণ

লিওনেল মেসি

মেসি বলছেন, ১০ জুন তার সঙ্গে ক্লাবের চুক্তির মেয়াদ শেষ। এখন তিনি ফ্রি এবং বিনা ট্রান্সফার ফিতেই যেতে পারবেন যে কোনো ক্লাবে। এ নিয়ে কথা বলেছে স্প্যানিশ লা লিগা কর্তৃপক্ষও। তারা দাঁড়িয়েছে বার্সেলোনার পক্ষেই। কিন্তু বিভিন্ন আইনজীবী কিংবা আইনের অধ্যাপকরা বলছেন, আইন কিন্তু মেসির পক্ষেই রয়েছে। কারণটা হচ্ছে করোনা ভাইরাস। করোনার কারণে মৌসুম শেষ হতে বেশ বিলম্ব হয়েছে। তার ওপর করোনার কারণে পৃথিবীর সবকিছুই যখন ওলট-পালট হয়ে গেছে, তখন মেসির ১০ জুনের তারিখেরও কোনো মূল্য থাকল না। মেসির আইনজীবীরা বিশ^াস করছেন, এ কারণেই এই বিরোধে জিতে যাবেন মেসি। মেসি মনে করেন, এখন আর তিনি বার্সেলোনার ফুটবলার নন। তিনি এখন মুক্ত। সুতরাং বার্সার প্রাক মৌসুম প্রস্তুতি শুরুর জন্য মেসিকে ডাকা হলেও তিনি যোগ দেননি। এমনকি এর আগে খেলোয়াড়দের যে করোনা টেস্ট করা হয়েছে, সেখানেও অংশ নেবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন। স্পেনের ক্রীড়া দৈনিক মার্কা মেসির বার্সা ছাড়ার ১০টি কারণ পাঠকদের জন্য তুলে ধরেছে। এর মধ্যে আবার কিছু আছে আইনগত কারণ, কিছু রয়েছে খেলাধুলা সম্পর্কিত কারণ। আইনগত কারণ এক. মেসি বার্সেলোনা ছাড়ার ইচ্ছেটা ক্লাবের কাছে প্রকাশ করেছেন অনেক পরে কিছুটা সময় নিয়ে। কারণটা হচ্ছে, মৌসুম শেষ করার ক্ষেত্রে বিলম্ব হওয়া। মূলত তার ইচ্ছা-অনিচ্ছা প্রকাশ করার শেষ সময় ছিল ১০ জুন। যদিও এখন এই তারিখটা নিয়েই চলছে আইনি খেলা। এই তারিখটা নিয়ে বার্সা তার সঙ্গে যে আচরণ করছে, তাতে কিছুটা ক্ষুব্ধ হয়েছেন মেসি। দুই. সর্বশেষ মেসির সঙ্গে বার্সার যে চুক্তি হয়েছে, সেখানে কিন্তু ৭০০ মিলিয়ন ইউরোর রিলিজ ক্লজ নির্ধারিত ছিল না। তিন. বার্সা প্রেসিডেন্ট হোসে মারিয়া বার্তেম্যু বেশ কয়েকবার কয়েকটি সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, মেসি যখনই চাইবেন, তখনই বার্সা ছেড়ে যেতে পারবেন। খেলাধুলা সম্পর্কিত কারণ চার. বার্সেলোনার সামনে যেসব প্রজেক্ট রয়েছে, সেগুলো খুব বেশি উচ্চাভিলাষী নয় এবং মেসিও বার্সার ভবিষ্যৎ নিয়ে খুব বেশি শঙ্কিত। তিনি নিশ্চিত নন, কী হতে যাচ্ছে ভবিষ্যতে। এমনকি প্রায় সময়ই পুরো দল একা তার ওপর নির্ভর করে দলের জয়-পরাজয়ের ব্যাপারে। যেটা কোনোভাবেই মানতে রাজি নন মেসি। পাঁচ. কোচ আর্নেস্তো ভালভার্দেকে বরখাস্ত করার সময় এবং আচরণ কোনোটাই পছন্দ ছিল না মেসির। মূলত তখন থেকেই মেসি বার্সেলোনায় নিজেকে অনিরাপদ ভাবতে শুরু করেন। ছয়. বার্সেলোনা বোর্ডের সঙ্গেই মূলত মেসির সমস্যার শুরু। গত কয়েক মাসে বার্সেলোনা এমন কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যেগুলোর সঙ্গে মোটেও একমত ছিলেন না মেসি। এমনকি সোশ্যাল মিডিয়া স্ক্যান্ডাল এবং ইআরটিই নিয়ে বার্সার অবস্থানকেও মেসি সমর্থন করেননি। সাত. বার্সার অন্য অনেক কর্মকর্তার সঙ্গেই মেসির সম্পর্কের অবনতি হয়েছিল। যেমন স্পোর্টিং ডিরেক্টর এরিক আবিদাল। যাকে অনেক খেলোয়াড়ই দায়ী করে থাকেন আর্নেস্তো ভালভার্দেকে বরখাস্ত করার জন্য। আট. মেসি মনে করেন, বিভিন্ন বিষয়ে তিনি কোনো মতামত দিলে সেগুলো শোনা হয় না ক্লাবে। বিশেষ করে বার্সার একাডেমিকে কীভাবে আরো ব্যবহারযোগ্য করা যায়, কীভাবে সেখান থেকে প্রতিভা তুলে আনা যায়, কিংবা ক্লাবের বিভিন্ন বিষয়ে কোনো মতামত দিলে সেগুলো আগ্রাহ্য করা হয়। নয়. মেসি মনে করেন, বার্সায় একটি যুগের সমাপ্তি হতে চলেছে। তিনি জেরার্ড পিকের সঙ্গে একমত যে, সিনিয়র খেলোয়াড়দের এখনই জায়গা ছেড়ে সরে দাঁড়ানো প্রয়োজন এবং সে জায়গায় নতুন রক্তের সঞ্চার করা প্রয়োজন। দশ. বার্সেলোনার সোশ্যাল মিডিয়া কেলেঙ্কারিতে টার্গেট করা হয় মেসি এবং তার পরিবারকে। ক্লাবের পক্ষ থেকে এসব ঘটার কারণে তিনি মানসিকভাবেও বেশ আহত হয়েছিলেন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App