×

আন্তর্জাতিক

দুবাইয়ের পর এবার ইসরাইলমুখী আরো তিন দেশ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০১ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১২:৩৩ পিএম

দুবাইয়ের পর এবার ইসরাইলমুখী আরো তিন দেশ

সোমবার সংযুক্ত আরব আমিরাতে পৌঁছায় ইসরাইল এবং যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল

যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং ইসরাইলের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনে ১৩ অগাস্ট যে চুক্তি হয়েছে, সে পথেই হাঁটছে এবার সৌদি, ওমান ও সুদান। এর আগে চুক্তি হওয়ার পর প্রথম বারের মতো আমিরাত ও ইসরাইলের মধ্যে বাণিজ্যিক বিমান চলাচল করে। ইসরায়েলি বিমান সংস্থা এল আলএর এলওয়াই-৯৭১ ফ্লাইটটি সৌদি আকাশ সীমার ওপর দিয়ে তিন ঘণ্টায় আবুধাবিতে নামে। যার গয়ে ইংরেজি ও হিব্রু এবং আরবিতে লেখা ছিল ‘শান্তি’।

এদিকে এই চুক্তি নিয়েও চলেছে নানা বিতর্ক। এবং যারাই ইসরাইলের সঙ্গে চুক্তিতে যাবে তাদেরকে মুসলিম বিশ্বে বিশ্বাসঘাতক বলে বিবেচনা করা হচ্ছে। তবে আরব আমিরাত যে দাবি করে আসছে তারা ফিলিস্তিনে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য এই চুক্তি করেছে সেটি নিছক কথার কথা। কারণ ইসরাইল পশ্চিমতীরে অবৈধ দখল আরো জোরদার করেছে। একই সঙ্গে সেখানে গত ১২ আগস্ট থেকে প্রতিদিনই ভয়াবহ হামলা চালানো হচ্ছে।

রোববার মি নেতানিয়াহুর সাথে এক বৈঠকের পর মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা রবার্ট ও'ব্রায়ান বলেন, ইউএইর পথ ধরে আরো মুসলিম দেশ ইসরায়েলের সাথে সম্পর্ক স্থাপন করবে। তিনি কোনো দেশের নাম করেননি, কিন্তু ইসরায়েলি কর্মকর্তারা ইদানীং খোলাখুলিভাবে ওমান, সৌদি আরব, সুদান এবং মরক্কোর নাম করছেন। ফিলিস্তিনরা মনে করছে এমন অবজ্ঞার শিকার তারা আর কখনই হয়নি। তাদের আশঙ্কা, দখলীকৃত জমি ফিরে পেয়ে একটি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের পক্ষে ইসরায়েলের ওপর চাপ সৃষ্টিতে আরব বিশ্বের যে ঐক্যবদ্ধ চেষ্টা এতদিন ছিল ইউএই তা দুর্বল করে দিয়েছে।

ফিলিস্তিনিরা বলছে, অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইহুদি বসতি দিনদিন প্রসারিত হচ্ছে, এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত এই বাস্তব পরিস্থিতির দিকে চোখ বন্ধ রেখে ইসরায়েলের সাথে চুক্তি করেছে। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বিনইয়ামিন নেতানিয়াহু এক টুইটে আজকের ফ্লাইটকে 'শান্তির বদলে শান্তি'র একটি উদাহরণ হিসাবে বর্ণনা করেছেন। দখল করা ফিলিস্তিনি ভূমিকে ব্যবহার করে আরব বিশ্বের সাথে শান্তি স্থাপন সম্ভব বলে তার যে বিশ্বাস এই টুইটের ভেতর দিয়ে নেতানিয়াহু সেটাই পুনর্ব্যক্ত করেছেন।

অধিকৃত পশ্চিম তীরের কিছু অংশ আনুষ্ঠানিকভাবে ইসরায়েলের অংশ করে নেওয়ার যে পরিকল্পনা নেতানিয়াহু করেছিলেন, ইউএইর সাথে চুক্তির বিনিময়ে তিনি সেই সিদ্ধান্ত স্থগিত করতে রাজী হয়েছেন। তবে তার এই প্রতিশ্রুতিতে ফিলিস্তিনিরা একেবারেই ভরসা রাখতে পারছে না। ইউএই‘র আগে আরব বিশ্বের মাত্র দুটি দেশ- মিশর এবং জর্ডান ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দিয়েছে। মিশর ইসরায়েলের সাথে শান্তি চুক্তি করে ১৯৭৮ সালে এবং জর্ডান করেছে ১৯৯৪ সালে। আরব লীগের আরেক সদস্য মৌরতানিয়া ১৯৯৯ সালে ইসরায়েলের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করলেও, ২০১০ সালে সম্পর্ক ছেদ করে দেয়।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App