×

সারাদেশ

ত্রিপুরা তরুণী গণধর্ষণে প্রেমিক গ্রেপ্তার, অধরা ৫

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০১ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০৩:৩৭ পিএম

ত্রিপুরা তরুণী গণধর্ষণে প্রেমিক গ্রেপ্তার, অধরা ৫

নুরুল হুদা

বান্দরবানের লামায় উপজাতি ত্রিপুরা বিধাব তরুণীকে বিয়ের প্রলোভনে ডেকে নিয়ে গণধর্ষণের ঘটনায় নুরুল হুদা (২৭) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার দিনগত রাত এটারটার দিকে উপজেলার আজিজনগর ইউনিয়ন থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার নুরুল হুদা পার্শ্ববর্তী সরই ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের পুইট্টা পাড়ার মৃত ইসহাক’র ছেলে। এই খবর জানিয়েছেন লামা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মিজানুর রহমান। ওসি জানান, পুলিশ অপর আসামিদেরকেও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

এরআগে ৩১ আগস্ট (সোমবার) দুপুরে লামা থানায় এই গণধর্ষণের ঘটনায় ছয়জনকে আসামি করে একটি মামলা করে ধর্ষণের শিকার ওই উপজাতি ত্রিপুরা বিধবা তরুণী। সেখানে সে একজনকে তার প্রেমিক বলে দাবি করে। অপর আসামিদেররে নাম ঠিকানা জানানেই বলে মামলার অভিযোগে উল্লেখ করে সে।

ঘটনার বিবরণে উল্লেখ করা হয়, পূর্ব পরিচয় থেকে ধর্ষক নুরুল হুদার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক এই তরুণীর। ঢাকায় গিয়ে দুজনে বিয়ে করে সংসারী হওয়ার কথা বলে ৩০ আগস্ট (রোববার) সন্ধ্যায় ওই তরুণীকে ডেকে নেয় প্রেমিক নুরুল হুদা। ঢাকায় গিয়ে বিয়ে করার উদ্দেশ্যে প্রেমিকের ডাকে সারা দিয়ে রোববার সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে বেড়িয়ে আসে বিধবা এই তরুণী।

তবে নুরুল হুদা তাকে ঢাকা না নিয়ে-নিয়ে যায় লামার আজিজনগর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের পূর্বচাম্বী এলাকার ক্লিপটন গ্রুপের বাগানে। সেখানে সেখানে নুরুল হুদা ছাড়াও তাঁর আরও পাঁচবন্ধু এই ত্রিপুরা বিধবা তরুণীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরে এই তরুণীর কাছে থাকা ৩০ হাজার টাকাও ছিনিয়ে নেয় নুরুল হুদা।

ধর্ষণের শিকার ওই বিধবা তরুণীর বাড়ি বান্দরবানের মিলনছড়ির বাসিন্দা। সে ঢাকায় একটি বিউটি পার্লারে চাকরি করতো। করোনার এই মহামারির বন্ধকালিন সময়ে বাড়িতে চলে আসে সে। আর এই সময়ে মোবাইলে রং নম্বরের কলের সূত্রধরে দুজনের পরিচয় থেকে প্রেম ও সবশেষে গণধর্ষণ!

লামার আজিজনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জসিম উদ্দিন বলেন, ঘটনাস্থল আজিজনগর হলেও ধর্ষকরা পাশ্ববির্ত সরই ইউনিয়নের বাসিন্দা। আর ধর্ষণের শিকার ত্রিপুরা বিধবা তরুণী বান্দরবান সদর উপজেলার মিলনছড়ি উইনিয়নের বাসিন্দা। ঘটনাটি জানতে পেরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় ভিটটিমকে পুলিশের হেফাজতে দিয়েছি।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App