×

জাতীয়

বঙ্গবন্ধুর হত্যার কুশীলবদের বিচার করার দাবি আইডিইবির

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ৩১ আগস্ট ২০২০, ০৮:৩৫ পিএম

বঙ্গবন্ধুর হত্যার কুশীলবদের বিচার করা সময়ের দাবি। ইতিহাসের এ বর্বোরচিত হত্যাকান্ড শুধুমাত্র ব্যক্তি বিশেষকে হত্যা নয়, এটা ছিল একটি জাতি রাষ্ট্রকে হত্যার গভীর ষড়যন্ত্র। এ হত্যার নেপথ্যে কুশীলব ছিল মোস্তাক-জিয়া। জেনারেল জিয়া রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করে শুধু বঙ্গবন্ধু’র হত্যার বিচারের দ্বার বন্ধ করে নাই, বরং খুনীদের রাষ্ট্রীয়ভাবে পুরষ্কৃত করেছে। তাই, সম্মুখ সারির কয়েকজন বিপদগামী সেনা সদস্যের মৃত্যু দন্ড কার্যকরের মধ্যে দিয়ে ইতিহাসের দায় পরিশোধ করা সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক আইনমন্ত্রী এডভোকেট আব্দুল মতিন খসরু।

সোমবার (৩১ আগস্ট) বিকালে ঢাকার আইডিইবি ভবনে সংগঠনের সভাপতি এ কে এম এ হামিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী। স্বাগত বক্তব্য রাখেন আইডিইবি’র সাধারণ সম্পাদক মো. শামসুর রহমান। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বঙ্গবন্ধু ডিপ্লোমা প্রকৌশলী পরিষদের সভাপতি মো. খবির হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক এ কে এম আব্দুল মোতালেব।

খসরু বলেন, এ হত্যাকান্ডের ষড়যন্ত্রকারী ও কুশীলবদের চিহ্নিত করার জন্য কমিশন গঠন ও বিচারের মুখোমুখি করার উদ্যোগ নিতে হবে। বাঙালির জাতিসত্বা বিকাশে বঙ্গবন্ধুর অবিস্মরণীয় অবদান উল্লেখ করতে গিয়ে তিনি বলেন, ভীতু বাঙালিকে ধাপে ধাপে বঙ্গবন্ধু বীরের জাতিতে পরিণত করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু’র ৪৫তম শাহাদাৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস এবং মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষ্যে ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ (আইডিইবি) ও বঙ্গবন্ধু ডিপ্লোমা প্রকৌশলী পরিষদের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত “বঙ্গবন্ধু’র রাজনীতিতে প্রযুক্তি ভাবনা ও কাংখিত সোনার বাংলা” শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এডভোকেট খসরু এসব কথা বলেন।

প্রধান অতিথি বলেন, বঙ্গবন্ধু’র রাজনৈতিক দর্শনে প্রযুক্তি ভাবনা ছিল বলে তিনি কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষার প্রসারে নানাবিদ কাজ করে গেছেন। পিতার দেখানো পথে মানবসম্পদ উন্নয়নে জননেত্রী শেখ হাসিনা কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষার প্রসারে কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি বলেন, বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে কারিগরি শিক্ষার কোন বিকল্প থাকতে পারে না। শুধু প্রসার নয়, বাস্তবতার নিরিখে এ শিক্ষা বহুমাত্রিকতাও নিশ্চিত করতে হবে। দেশের সামগ্রিক উন্নয়নে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। যা সমৃদ্ধ বাংলাদেশ নির্মাণে অত্যন্ত প্রশংসনীয়।

বিশেষ অতিথি সুজিত রায় নন্দী বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শের পথ ধরে বাংলাদেশ এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। এ এগিয়ে যাবার পথে অনেক বাধা বিপত্তি থাকলেও নীতি ও আদর্শের উপর ভর করে জননেত্রী শেখ হাসিনা সমগ্র জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে বিশ্বে বাংলাদেশকে মর্যাদাশীল রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। স্বাধীনতা বিরোধীচক্র বাংলাদেশকে সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রে পরিণত করার যে অপরাজনীতি চালু করেছিল, তার মাশুল এখনো জাতি দিচ্ছে। তবে সকলের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় অসাম্প্রদায়িকতার চেতনা মূলে ফিরে যাচ্ছে। এটাই বাংলাদেশের বড় অর্জন। এ অর্জন ধরে রাখতে স্ব স্ব অবস্থান থেকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের জন্য তিনি ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের প্রতি আহ্বান জানান।

স্বাগত বক্তব্যে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো. শামসুর রহমান বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যখন দেশে কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষার ব্যাপক উন্নয়ন ঘটছে, তখন এ শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংস করার জন্য অংশীজনদের মতামত উপেক্ষা করে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সব বয়সীদের জন্য ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষা কোর্স উন্মুক্ত করে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। তিনি এটাকে আত্মঘাতি সিদ্ধান্ত আখ্যায়িত করে দেশের স্বার্থে এ সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে ২০১৯ সালের ভর্তি নীতিমালা অনুযায়ী ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থী ভর্তির কার্যক্রম গ্রহণের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতি আহ্বান জানান।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App