×

মুক্তচিন্তা

সবুজ বিপ্লবের পথে বাংলাদেশ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৯ আগস্ট ২০২০, ০৯:০০ পিএম

সবুজ বিপ্লবের পথে বাংলাদেশ
‘শতবর্ষের সাক্ষী তুমি, হে মহান। জন্ম তোমার ইতিহাস হবে, দেশ হবে মহীয়ান। তুমি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।’ ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন। বর্তমানে সেদিন জাতীয় শিশু দিবস। বঙ্গবন্ধু যেভাবে শৈশব ও কৈশোরে নানা ধরনের চেতনায় বড় হয়েছেন আমাদের শিশুদের চিন্তায় ও চেতনায় সে রকম পরোপকারী মূল্যবোধে গড়ে উঠুক, এটাই সরকারের লক্ষ্য। ২০২০-২১ সাল মুজিব শতবর্ষ। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষের ক্ষণ গণনা শুরু হয়েছে তাঁর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের দিন ১০ জানুয়ারি থেকে। অনেক দুঃখ-বেদনার মধ্যে আনন্দের বার্তা হলো তাঁর সুযোগ্য কন্যার হাত ধরে উদযাপিত হবে মুজিব শতবর্ষ। বর্তমান সরকারপ্রধান ঘোষণা দিয়েছেন ১৭ মার্চ ২০২০ থেকে ১৭ মার্চ ২০২১ অর্থাৎ জাতির পিতার এক জন্মদিন থেকে আরেক জন্মদিন পর্যন্ত বছরটি উদযাপিত হবে মুজিববর্ষ হিসেবে। জাঁকজমকপূর্ণভাবে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী অনুষ্ঠান পালনে সরকার দুটি কমিটি এবং ৮টি উপকমিটি গঠন করে। সারাবিশ্বের সঙ্গে বাংলাদেশে করোনা মহামারির কারণে কিছু কর্মসূচি স্থগিত এবং কিছু কর্মসূচি সীমিত আকারে পালিত হচ্ছে। এ সাময়িক বিরতি কিছুদিন থাকবে তবে চিরদিন থাকবে না। ২০২১ সাল মহান স্বাধীনতা এবং বিজয়ের ৫০তম গোল্ডেন জুবিলির বছর। স্বাধীনতা, বিজয়, বাংলাদেশ এবং বঙ্গবন্ধু সবই একসূত্রে গাঁথা। গত ১৮ আগস্ট নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ঢাকায় সংসদ ভবন চত্বরে মুজিববর্ষ ২০২০ উপলক্ষে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ আয়োজিত বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ শেষে সাংবাদিকদের বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রকৃতি ও মানুষকে নিয়ে সোনার বাংলা গড়তে চেয়েছিলেন। তিনি সেই ধরনের মানুষ যিনি প্রকৃতির সঙ্গে ছিলেন। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা ও বিভিন্ন প্রাকৃতিক বিপদের কবল থেকে দেশকে সুরক্ষা করতে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি কার্যকর ভূমিকা রাখবে। এই কর্মসূচিকে রাজনৈতিক আন্দোলনে রূপ দিয়েছিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তারই ধারাবাহিকতায় ১৯৮১ সালে দেশরত্ন শেখ হাসিনা দেশে ফিরে এসে ১৯৮৪ সাল থেকে প্রতি বছরই বাংলাদেশ কৃষকলীগের মাধ্যমে এ দেশ সবুজায়নের জন্য বৃক্ষরোপণ করতেন। চলমান এ কর্মসূচি আওয়ামী লীগসহ দেশের জনগণকে তিনি বৃক্ষরোপণে উদ্বুদ্ধ করেছেন। বিশ্বে কোনো রাজনৈতিক দল এভাবে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করে না। মুজিববর্ষের জন্য এবারে সংসদ ভবন এলাকায় ৩৫০ থেকে ৫০০ বিভিন্ন প্রজাতির (ফলদ, বনজ ও ঔষধি) গাছের চারা রোপণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। মানুষ এবং গাছপালা অক্সিজেন ও কার্বন ডাই-অক্সাইড একে অপরের মধ্যে বিনিময় করে। প্রাকৃতিক বিপর্যয় রোধে বনায়ন ও সবুজ প্রাচীরের ভ‚মিকা অতীব জরুরি। মরুময়তা রোধে বনায়নের বিকল্প কিছু নেই। মানুষ প্রকৃতি ও পরিবেশের সন্তান। প্রাকৃতিক ভারসাম্যের জন্য ২৫ ভাগ বনভ‚মি থাকা প্রয়োজন, কিন্তু এ দেশে রয়েছে প্রায় ১৭.৫০ ভাগ। জীবিতকালে গাছ ফল, ফুল, সুবাস, খাদ্য এবং অক্সিজেন এমনকি মরণের পরও সে নানাভাবে মানুষের উপকার করে। শ্রেষ্ঠ বিনিয়োগ বা সাদকায় জারিয়াহ গাছ লাগানোর সময় এ বছর দ্রুত ফুরিয়ে যাচ্ছে। এখন আমরা সারাদেশকে সবুজ চাদরে ঢেকে ফেলার সময় আর হারাতে চাই না। মুজিববর্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ১ কোটি গাছের চারা রোপণ কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দেশে সবুজ বিপ্লব সাধিত হবে। মানবজীবন এবং অরণ্যজীবন সদা সার্থক হোক। সদস্য, দিনাজপুর কলামিস্ট এসোসিয়েশন, দিনাজপুর। [email protected]

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App