×

সারাদেশ

প্রশাসনের উদাসীনতায় তিন বছরেও মেরামত হয়নি রাস্তা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৯ আগস্ট ২০২০, ০৩:২৯ পিএম

প্রশাসনের উদাসীনতায় তিন বছরেও মেরামত হয়নি রাস্তা

এমন দুর্ভোগের মধ্য দিয়ে বাজারে ফসল নিয়ে যেতে হয় কৃষকদের। ছবি: প্রতিনিধি

প্রশাসনের উদাসীনতায় তিন বছরেও মেরামত হয়নি রাস্তা

ছবি: প্রতিনিধি

কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী উপজেলায় ঠিকাদারের গাফলতি ও স্থানীয় প্রশাসনের উদাসীনতার কারণে ৩ কিলোমিটার রাস্তা ৩ বছরেও মেরামত হয়নি। এতে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হচ্ছে। পাশাপাশি বিজিবি’র টহলসহ ৬টি গ্রামের মানুষের যাতায়াতের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

উপজেলা প্রকৌশলী অফিস সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালের শেষ দিকে উপজেলার চর নতুনবন্দর স্থলবন্দর তুরা রাস্তা হতে সীমান্ত এলাকা দিয়ে খাটিয়ামারী কাদেরের বাড়ি পর্যন্ত প্রায় ৩ কিলোমিটার রাস্তার মাটি ভরাট ও সিসি ঢালাইয়ের জন্য ২ কোটি ৩৯ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। যা টেন্ডারের মাধ্যমে কুড়িগ্রামের মেসার্স ছাকিব ট্রেডার্স কাজটি পায়। মেসার্স ছাকিব ট্রেডার্স’র মালিক প্রথম শ্রেণীর ঠিকাদার প্রো. মো. আহসানুল লিটন ওই রাস্তার পাশে জিঞ্জিরাম নদীর কিনারে প্রায় ১শত গজ দৈর্ঘ্য গাইড ওয়ালও নির্মাণ করেন। পরবর্তীতে তিনি রাস্তার কাজ না করেই পালিয়ে যান।

২০১৯ সালে ওই রাস্তাটি মেরামতের জন্য কুড়িগ্রামের মোক্তার হোসেন নামের অপর এক ঠিকাদারকে দায়িত্ব দেয়া হয় বলে জানা যায়। তিনিও সামান্য মাটির কাজ শুরু করেই বরাদ্দকৃত বিল উত্তোলনের জন্য মরিয়া হয়ে উঠেন। ওই সময় বিষয়টি এলাকাবাসী উপজেলা নির্বাহী অফিসার দ্বীপঙ্কর রায়কে জানান। তারপর তিনি বিল উত্তোলন বন্ধ করে দেন। পরে এ ঠিকাদার কাজ না করে চলে যান। রাস্তাটি বর্তমানে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে।

সামান্য বৃষ্টি হলেই কাঁদার সৃষ্টি হয়। যানবাহন তো দূরের কথা পায়ে হেঁটেও যাতায়াত করা যায় না। সীমান্ত এলাকার ওই রাস্তাটি মেরামত না করায় টহল দিতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন বাংলা বাজার ও মোল্লার চর বিজিবি ক্যাম্পের সদস্যরা। এছাড়া যাতায়াতে ভোগান্তিতে পড়েছেন চান্দার চর, নওদাপাড়া, ব্যাপারীপাড়া, বোল্লাপাড়া ও খাটিয়ামারীসহ ৬টি গ্রামের প্রায় ৫ হাজার মানুষ। শনিবার (২৯ আগস্ট) সরেজমিনে গিয়ে এসব চিত্র ও তথ্য পাওয়া যায়।

[caption id="attachment_239683" align="aligncenter" width="700"] ছবি: প্রতিনিধি[/caption]

উপজেলার সদর ইউনিয়নের চান্দার চর গ্রামের গোলাম রব্বানী জানান, দীর্ঘদিন থেকে রাস্তাটির বেহাল দশার কারণে যাতায়াতে খুব কষ্ট হচ্ছে। যানবাহন চলাচলের অযোগ্য হওয়ায় কৃষকের কষ্টার্জিত ফসল হাঁটে নিয়ে যেতে পারছে না। তাই উপজেলা প্রশাসনকে সুনজর দেয়ার জন্য অনুরোধ করছি।

নওদাপাড়া গ্রামের আব্দুস ছবুর ফক্কু মিয়া বলেন, রাস্তাটি মেরামতের জন্য একাধিক ঠিকাদারকে দায়িত্ব দিলেও কাজটি হচ্ছে না। আমরা খুব কষ্টে যাতায়াত করছি।

খাটিয়ামারী গ্রামের আব্দুল হাকিম বলেন, রাস্তাটা মেরামতের জন্য সরকার বরাদ্দ দিয়েছেন। কিন্তু স্থানীয় প্রশাসনের উদাসীনতার কারণে কাজটি হচ্ছে না। আমরা আশা করি, রাস্তার কাজটি যেন তাড়াতাড়ি করা হয়।

এ বিষয়ে ঠিকাদার মো.আহসানুল লিটনের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, কাজটি আমি নিজে না করে ভুল করেছি। আমার সমস্যার কারণে মোক্তার হোসেন নামের আরেক ঠিকাদারকে রাস্তার কাজটি দিয়েছি। কিন্ত তিনিও টালবাহনা করছেন।

রৌমারী সদর ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম শালু বলেন, ঠিকাদারকে বারবার বলা হচ্ছে রাস্তাটির কাজ করার জন্য।

উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুল জলিল বলেন, আমি কয়েক দিন হলো যোগদান করেছি। এ বিষয়ে কিছু জানি না। তবে জেনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App