×

সারাদেশ

জনমনে প্রশ্ন, তহসিলদার সালাম নীরব কেন?

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৮ আগস্ট ২০২০, ০৫:২০ পিএম

জনমনে প্রশ্ন, তহসিলদার সালাম নীরব কেন?

ছবি:স্বপন

জনমনে প্রশ্ন, তহসিলদার সালাম নীরব কেন?

ছবি: প্রতিনিধি

হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ যেন বালুখেকোদের দখলে চলে যাচ্ছে দিনে দিনে। বিশেষ করে উপজেলার ২ নং বদলপুর ইউনিয়নের পাহাড়পুরে সংঘবদ্ধ একটি বালু খেকো চক্রের পৃষ্টপোষকতায় লাখ লাখ ঘন ফুট বালু উত্তোলন হচ্ছে প্রতিনিয়ত। উপজেলা প্রশাসনের নিয়মিত অভিযানে উপজেলার বাকি ইউনিয়নগুলোতে বালু উত্তোলন বন্ধ থাকলেও পাহাড়পুরে প্রতিনিয়তই উত্তোলিত হচ্ছে বালু। যেন দেখার কেউ নেই।

আজমিরীগঞ্জ সদর থেকে পাহাড়পুর যাওয়ার যোগাযোগ ব্যবস্থা খারাপ হওয়ায় প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে এই অবৈধ বালু উত্তোলন হচ্ছে হর হামেশাই ৷স্থানীয়রা জানান, বালু উত্তোলনের ফলে ইতোমধ্যেই পাহাড়পুর বাজার, মামুদপুর, সহ বেশ কয়েকটি গ্রাম নদী ভাঙনের মুখে পড়েছে ।

স্থানীয় ভূমি অফিসের দায়িত্বে থাকা তহসিলদার সালামের নীরব ভূমিকা নিয়েও নানা প্রশ্নের জন্ম দিচ্ছে জনসাধারণের মনে ৷ অভিযোগ রযেছে, মোটা অঙ্কের উৎকোচের বিনিময়ে বালু উত্তোলন দেখেও না দেখার ভান করছেন তহসিলদার সালাম ৷ এছাড়া শুকনো মৌসমে নদীর চরা থেকে শত শত ট্রলি বালু মাটি বিক্রি হলেও নীরব থাকেন তিনি ।

বৃহঃস্পতিবার (২৭ আগস্ট) সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পাহারপুর বাজার সংলগ্ন চরহাটী (বাশমহালের) বড় ড্রেজার মেশিন বসিয়ে ১০ হাজার ঘনফুট ধারণ ক্ষমতা সক্ষম নৌকা লোড করা হচ্ছে। সেই লোড করা নৌকা নদীর অপর পাড় (সুনামগঞ্জ জেলার শাল্লা থানার) প্রতাপপুরে খালি করা হচ্ছে ।

[caption id="attachment_239541" align="aligncenter" width="700"] ছবি:স্বপন[/caption]

এ বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা রাবেল রায়সহ বেশ কজনের সঙ্গে আলাপ করে জানা যায়, ৪/৫ দিন আগে ঠিক একইভাবে নদী থেকে বালু উত্তোলন করার সময় স্থানীয়রা বালু উত্তোলনে বাধা দিলে ঐ চক্র স্থানীয়দের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন ৷বৃহঃস্পতিবার সকাল থেকে আবারো শুরু করে বালু উত্তোলন।

এ বিষয়ে ২ নং বদলপুর ইউনিয়নের তহসীলদার সালাম বলেন, আমি কি করবো বলেন? কখনো বালু উত্তোলনকারীরা বলে, সুনামগঞ্জের ইউএনও বলেছেন বালু তুলতে, কখনো বলেন, আমরা রাষ্ট্রপতির এলাকার লোক, আমি খবর পেয়ে মেশিন বন্ধ করে তাড়িয়ে দিয়েছি ৷কিন্তু এই বক্তব্যের ঠিক আধাঘন্টা পরই স্থানীয় এক বাসিন্দা ভিডিও কলের মাধ্যমে ড্রেজার চালু থাকার বিষয়টি সাংবাদিকদের দেখান ।

এ বিষয়ে আবার তহসীলদার সালামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কথার সুর পাল্টে নেন। তিনি বলেন, সুনামগঞ্জের এক ঠিকাদার বালু তুলেন। যার দায়িত্বে রয়েছেন পার্শবর্তী সুনামগঞ্জ জেলার শাল্লা থানার সাবেক ইউনিয়ন চেয়ারম্যান সুবল দাস ৷ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জানিয়ে আইনি ব্যবস্থা নেননি কেন? এই প্রশ্নে তিনি উত্তর এড়িয়ে যান ।

এ ব্যাপারে শাল্লা সাবেক ইউনিয়ন চেয়ারম্যান সুবল দাসের মুঠোফোনে কল দিলে তিনি কল রিসিভ না করে এক সময় ফোনটির সুইচ অফ করে দেন ।

এ বিষয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) উত্তম কুমার দাস বলেন, বালু উত্তোলনের বিষয়টি আমি শুনেছি ,আমি লোক পাঠিয়েছি, বালু উত্তোলন বন্ধে আমরা যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো ।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App