×

জাতীয়

হত্যা-গুমের ওপরই বিএনপির রাজনীতি প্রতিষ্ঠিত: তথ্যমন্ত্রী

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৭ আগস্ট ২০২০, ০৮:১২ পিএম

হত্যা-গুমের ওপরই বিএনপির রাজনীতি প্রতিষ্ঠিত: তথ্যমন্ত্রী

ছবি: প্রতিনিধি

তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, হত্যা-গুমের ওপরই বিএনপির রাজনীতি প্রতিষ্ঠিত। বৃহস্পতিবার (২৭ আগস্ট) সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে চলচ্চিত্র পরিচালক, প্রযোজক ও প্রদর্শক সমিতির নেতাদের সঙ্গে মত বিনিময় শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন তিনি।

‘আওয়ামী লীগ অবলীলায় হত্যা, খুন, গুম করে যাচ্ছে’- বিএনপি মহাসচিবের এমন মন্তব্যের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপিই তো হত্যার রাজনীতির ওপর প্রতিষ্ঠিত। জিয়াউর রহমান নিজে বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডে যুক্ত। হত্যার মাধ্যমেই তার উত্থান এবং ক্ষমতায় টিকে থাকা। সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর কয়েক হাজার অফিসার এবং জওয়ানকে হত্যা করে ক্ষমতায় টিকে থেকে পরবর্তীতে নিজেও হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছেন। বিএনপি জিয়াউর রহমানের হত্যাকাণ্ডের বিচারটাও করে নাই। জিয়া হত্যার পর তারা আব্দুস সাত্তারের নেতৃত্বে একবার আর খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে দুইবার ক্ষমতায় ছিল, তখনো জিয়া হত্যার বিচার করে নাই।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি আমলে বাংলাদেশে গুম, খুন ছিল নজিরবিহীন। ২০০২ সালে অপারেশন ক্লিনহার্ট চালিয়েছিল। তখন ডজন-ডজন মানুষ হত্যা করেছে। সেই হত্যার বিচার যাতে না হয়, সেজন্য ইমডেমনেটি দিয়েছিল। ঠিক যেভাবে ১৯৭৯ সালে বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের বিচার বন্ধ করতে ইমডেমনেটি অধ্যাদেশকে আইনে পরিণত করেছিল।

‘বিএনপি রাজপথে আন্দোলনে নামতে পারে’- রুহুল কবির রিজভীর এমন মন্তব্যের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, এখন দেশে এবং সারা পৃথিবীতে করোনাভাইরাসের মারাত্মক প্রাদুর্ভাবে মানুষের জীবন পর্যুদস্ত। প্রায় সব দেশেই অর্থনীতি স্থবির। প্রধানমন্ত্রীর সময়োচিত পদক্ষেপে দেশে অর্থনীতির চাকা সচল। গতবছরের চেয়ে এ বছরের জুলাই মাসে রপ্তানী ১৩ শতাংশ বেড়েছে। এই পরিস্থিতিতে দলের সাংগঠনিক কর্মসূচিও আমরা সীমিত করে ফেলেছি।

এখন তারাই রাজপথে নামার কথা বলতে পারে, যারা শুধু নিজের দলের স্বার্থের কথা ভাবে এবং নিজেদের নিয়ে ভাবে, জনগণ নিয়ে ভাবে না। কীভাবে যেকোন উপায়ে সরকারকে ফেলে দিয়ে ক্ষমতায় যাওয়া যাবে। সেজন্য তাদের সমস্ত আন্দোলন হয়েছে তত্ত্বাবধায়ক সরকার, নির্বাচন কমিশন -এই নিয়ে অথবা তারেক জিয়া বা খালেদা জিয়ার মামলা-শাস্তি নিয়েই। তারা যে দেশের জনগণকে নিয়ে ভাবে না- সেটিরই বহিঃপ্রকাশ হচ্ছে রিজভীর বক্তব্য।

চলমান করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পর্যবেক্ষণের পর সিনেমা হল খোলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, সিনেমা হলগুলো খোলার ব্যাপারে চলচ্চিত্র শিল্পের অংশীজনদের সঙ্গে ইতিপূর্বেও আলোচনা হয়েছে। বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে হল খোলাটা কতটুকু যৌক্তিক হবে, সেটি একটি বড় প্রশ্ন। ভারতে এখনো সিনেমা হল খোলে নাই। সেখানে সিনেমার দর্শক অনেক বেশি। আবার এখন সিনেমা হল খুললে সেখানে দর্শক যাবে কি না, সেটিও একটি প্রশ্ন। সুতরাং আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, ১৫ সেপ্টেম্বরের পরে আমরা বসে এ ব্যাপারে একটি সিদ্ধান্ত নেব।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী চলচ্চিত্র শিল্পের গৌরব ফেরাতে বন্ধ হয়ে যাওয়া সিনেমা হল চালু এবং সিনেমা হলগুলোর আধুনিকায়নে স্বল্পসুদ ও দীর্ঘমেয়াদে ব্যাংক ঋণের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়েছেন বলেও জানান তথ্যমন্ত্রী।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App