×

আন্তর্জাতিক

রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তনের পরিবেশ তৈরির দাবি যুক্তরাষ্ট্রের

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৬ আগস্ট ২০২০, ০৮:৫৫ পিএম

রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তনের পরিবেশ তৈরির দাবি যুক্তরাষ্ট্রের

যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্ট

লাখ লাখ রোহিঙ্গা নারী, পুরুষ ও শিশুদের ওপর মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর নৃশংস হামলার তিন বছর পূতির্তে ভুক্তভোগীদের জন্য ন্যায়বিচার ও দোষীদের জবাবদিহিতার আওতায় আনার দাবি পুনর্ব্যক্ত করছে যুক্তরাষ্ট্র। গত ২৫ আগস্ট যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র মরগান অর্টাগাসের এক বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়।

বিবৃতিতে রাখাইন রাজ্যে সংঘর্ষ বাড়ার প্রেক্ষাপটে, সহিংসতার অবসান, সংলাপ, স্থানীয় জনগণের সুরক্ষায় নবায়িত/অব্যাহত প্রচেষ্টা এবং মিয়ানমারে মানবিক সহায়তার বাধামুক্ত প্রবেশের দাবি জানানো হয়।

বিবৃতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে বলা হয়, মিয়ানমারে এখনো স্থানীয় বাসিন্দাদের হত্যা ও হাজার হাজার মানুষের বাস্তুচ্যুতির ঘটনা ঘটায় যুক্তরাষ্ট্র উদ্বেগমুক্ত হতে পারছে না। কেননা, এই ধরনের পরিস্থিতি শরণার্থী ও আভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত মানুষদের স্বেচ্ছায় প্রত্যাবর্তনের সম্ভাবনা কমায় এবং শান্তির সম্ভাবনা নষ্ট করে।

মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বলা হয়, মিয়ানমার যেন শরণার্থী ও আভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত মানুষদের নিরাপদে, স্বেচ্ছায়, মর্যাদাপূর্ণ ও টেকসই প্রত্যাবর্তনের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করে। সেইসঙ্গে রাখাইন রাজ্য বিষয়ে কফি আনানের নেতৃত্বে পরিচালিত এডভাইজরি কমিশনের দেয়া সুপারিশসমূহ বাস্তবায়নে জোরালো প্রচেষ্টা গ্রহণ করে। যুক্তরাষ্ট্র মিয়ানমার ও বাংলাদেশে সঙ্কটের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত সবার মানবিক দুর্ভোগ লাঘবে ২০১৭ সাল থেকে এ পর্যন্ত ৯৫১ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি অনুদান দিয়েছে বলে উল্লেখ করে।

বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্র ৮ লাখ ৬০ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থীকে আশ্রয় দেয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অব্যাহত উদারতার আন্তরিক প্রশংসা করে। সেই সঙ্গে রোহিঙ্গাদের জন্য অব্যাহত মানবিক সহায়তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি এই সংকট সমাধানে বিশ্বের অন্যান্য দেশের প্রতি প্রচেষ্টা জোরদার করার আহ্বানও জানায়।

যুক্তরাষ্ট্র ভুক্তভোগীদের ন্যায়বিচার পাওয়া নিশ্চিত করতে ও নৃশংসতার জন দায়ীদের জবাবদিহিতার আওতায় আনতে জোরালো পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে বলে দাবি করে। গৃহীত পদক্ষেপের মধ্যে রয়েছে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ এবং গুরুতর মানবাধিকার লংঘনের সঙ্গে জড়িত শীর্ষ সামরিক নেতৃবৃন্দ ও সামরিক বাহিনীর ইউনিটগুলোর ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ, জাতিসংঘের তদন্ত প্রক্রিয়াকে সমর্থন করা এবং মিয়ানমারকে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের (আইসিজে) কার্যক্রমে পুরোপুরিভাবে অংশ নিতে এবং আদালতের রায় মেনে নিতে উৎসাহিত করা। যুক্তরাষ্ট্র এই নৃশংসতার জন্য দায়ীদের শাস্তির বিষয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অব্যাহত দৃঢ় অঙ্গীকারের প্রশংসা করে। তবে আরো অনেক কিছু করার বাকি আছে বলে স্বীকার করে।

বিবৃতিতে মিয়ানমারে কর্তৃত্ববাদী শাসনের উত্তরাধিকার কাটিয়ে উঠতে এবং গণতন্ত্রের প্রসার ও শান্তি অর্জনের জন্য সেখানকার জনগণের প্রচেষ্টার সঙ্গে অংশীদারিত্ব অব্যাহত রাখার অঙ্গীকার ব্যক্ত করে যুক্তরাষ্ট্র।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App