মাঝে মধ্যেই শহরে কুকুর নিধনের খবর শোনা যায়। পাড়ায় দল বেঁধে কিছুদিন আগেও কুকুরদের দেখা গেলেও এখন তা খুঁজে পাওয়া যায় না। অথচ মানুষের প্রাচীন বন্ধুদের অন্যতম এই কুকুর। কুকুরদের প্রতি এই অসংবেদনশীল আচরণে প্রাণি প্রেমীদের মন কাঁদে, এ আচরণ রোধ করতে তারা সচেতনতামূলক কাজও করে থাকেন সময়ে সময়ে। শিল্প-সাহিত্যের মানুষরা বরাবর মানবিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত হন। তেমন তাদের দেখা যায় প্রাণিদের জন্যেও রাস্তায় রাস্তায় ঘুরতে, মানবতার হাত বাড়াতে। তেমনই একজন জয়া আহসান। তিনি অভিনয় নৈপুণ্যতা দেখিয়ে ইতোমধ্যে দর্শক হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছেন।
এছাড়াও প্রাণিপ্রেমী তথা কুকুরপ্রেমী হিসেবে তিনি জয় করেছেন মানবিক মানুষের মন। সাম্প্রতিক সময়ে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দিলে জনশূন্য হয়ে পড়ে ঢাকা শহর। এ অবস্থায় শহরের কুকুরগুলো খাবারের অভাবে পড়ে। তখনই খাবার নিয়ে বেড়িয়ে পড়েন জয়া। শহরের অলিতে গলিতে থাকা কুকুরগুলোকে খাবার খাওয়ান এ অভিনেত্রী। কথায় আছে মা-ই বুঝে সন্তানের দুঃখ। জয়া আহসানের নিজের ক্লিও নামে একটি কুকুর রয়েছে। ফলত অন্যান্য কুকুরদের প্রতি তার মায়া সঙ্গত কারণেই দ্বিগুণ হবে।
সম্প্রতি পিপল ফর অ্যানিম্যাল ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন-র উদ্যোগে আগামী ২৮ ও ২৯ আগস্ট সড়ক ১০-এ, সাত মসজিদ রোডে দেয়ালচিত্রে পথকুকুরদের ছবি আঁকবেন শিল্পী ও পরিবেশবিদরা। ছবিতে ফুটিয়ে তোলা হবে প্রকৃতিতে মানুষ ছাড়াও অন্য প্রাণির ভূমিকা, তাদের সংগ্রাম, বেঁচে থাকা ইত্যাদি। এ উদ্যোগের সঙ্গে একাত্বতা প্রকাশ করেছেন জয়া আহসান।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এই উদ্যোগের সঙ্গে আমি নিজে আন্তরিক একাত্মতা জানিয়েছি। এমনকি স্ব শরীরে একাত্মতা প্রকাশ করার জন্য ২৯ আগস্ট শনিবার বিকেল ৪টায় আমি সেখানে যাব। প্রাণীপ্রেমী শিল্পীসমাজের আরো গুণী মানুষেরাও সেখানে আসবেন। এছাড়াও জয়া অন্যান্যদের এ আয়োজনের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার আহবান জানিয়ে বলেন, আপনারাও আসুন। একটি প্রাণবিক ঢাকা গড়ার লক্ষে এই আয়োজনে ঢাকার সকল সচেতন নাগরিক, পরিবেশবাদী এবং প্রাণিঅধিকার কর্মীদের যুক্ত হওয়া প্রয়োজন। প্রাণীদের জন্য আমরা সবাই মিলে একটি মমতার পরিসর গড়ে তুলি।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।