×

সারাদেশ

দলিলের সময় সব কাগজপত্র দেখার সময় থাকে না

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৫ আগস্ট ২০২০, ০৪:৫৬ পিএম

দলিলের সময় সব কাগজপত্র দেখার সময় থাকে না

ফাইল ছবি

কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রার আহসান হাবিবের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার গয়েশপুর গ্রামের প্রবাসী খাজা উদ্দিন আইন মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে সাব-রেজিস্ট্রার অর্থের বিনিময়ে খতিয়ানবিহীন ভুয়া মালিক সাজিয়ে দলিল করার লিখিত অভিযোগ করেছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গয়েশপুর গ্রামের তালেব আলী তার ছেলে খাজা উদ্দিনকে ২০১৪ সালে ৬১৫নং খতিয়ানের ৩২৬ বিএস দাগের ১৭ শতকের অন্দরে সাড়ে আট শতক বাড়ি হেবা দলিলের মাধ্যমে দান করেন। যা দাউদকান্দি সাবরেজিস্ট্রি অফিসের দলিল নং-৪৮৪৩।

একই দাগে উল্লেখিত পরিমাণ জায়গা ভুয়া কাগজপত্র দেখিয়ে সাব রেজিস্টারকে মোটা অংকের টাকা লেনদেনের মাধ্যমে ২০১৯ সালে ভুয়া দলিল করেন খ্জাা উদ্দিনের ভাই বিল্লাল হোসেন।

দলিল দাতা বারপাড়া ইউনিয়নের ইছাপুর গ্রামের ধন মিয়ার স্ত্রী জমিলা খাতুনের নাম উল্লেখ করা। দাউদকান্দি সাবরেজিস্ট্রি অফিসের দলিল নং-৪২৭৭।

ভুক্তভোগী খাজা উদ্দিন বলেন, আমার বাবা ২০১৪ সালে দলিলের মাধ্যমে আমাকে দান করে গেছেন। ২০১৯ সালে ভুয়া দলিল করে জোরপূর্বক বিল্লাল হোসেন দখল করে নেন। এমন খবর শুনে আমি ওমান থেকে দেশে আসি। কাগজপত্র তুলে দেখি সব জাল, দুই নম্বর। বিভিন্ন মহলে ঘুরে সমাধান না পেয়ে জুলাই মাসে মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ করেছি। এখনো পর্যন্ত বিষয়টির কোনো সমাধান হয়নি।

সাব রেজিস্ট্রার আহসান হাবীব বলেন, দলিল করার সময় সব কাগজপত্র দেখার সময় থাকে না। ভেন্ডাররা সঠিক কাগজপত্র দেখে দলিল লিখবে। এখানে যদি কোনো ভুল হয়ে থাকে তাহলে ভেন্ডার দায়ী। তারপরও আমি বলেছি, ঠিক করে দেব। অভিযোগ করে শুধু শুধু আমার বদনাম ছড়াচ্ছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কামরুল ইসলাম খান বলেন, আমি কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। একটা দলিলের ব্যাপারে শুনেছি যে, দলিলটি সম্পাদনে যথাযথ কাগজপত্র অনুসরণ করা হয়নি। এ ব্যাপারে সাব রেজিস্ট্রারকে বলেছিলাম, কাগজপত্র দেখে বিষয়টি নিষ্পত্তি করার জন্য। যদি সাব-রেজিস্ট্রার সাহেব কোনো প্রকার সুবিধা নিয়ে কাউকে সেবা দেয়া বা হয়রানি করার অভিযোগ তদন্তে প্রমাণিত হয়, আশা করি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নেবে। আর সাব-রেজিস্ট্রারের ব্যাপারে আমিও লোক মুখে নানা কথা শুনি।

কুমিল্লা জেলা রেজিস্ট্রার আনোয়ারুল হক চৌধুরী অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বিষয়টি তদন্ত চলছে

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App