×

সারাদেশ

সিংগাইরে ইভ্যালীর প্রতারণা, ৩৯ লাখ টাকাসহ আটক ৩

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৪ আগস্ট ২০২০, ০৯:৪৫ পিএম

সিংগাইরে ইভ্যালীর প্রতারণা, ৩৯ লাখ টাকাসহ আটক ৩

ছবি: প্রতিনিধি

সিংগাইরে ইভ্যালীর প্রতারণা, ৩৯ লাখ টাকাসহ আটক ৩

ছবি: প্রতিনিধি

টাকা নিয়ে সময় মতো গ্রাহককে চাহিদার পন্যটি না দেয়াসহ নানা অভিযোগে মানিকগঞ্জের সিংগাইরের ইভ্যালীর একটি শাখা থেকে প্রায় ৩৯ লাখ নগদ টাকাসহ ইভ্যালীর স্থানীয় ম্যানেজারসহ তিনজনকে আটক করেছেন সিংগাইর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুনা লায়লা ।

তিনি জানালেন, ইভ্যালী নামের ওই প্রতিষ্ঠান বলধরা এলাকার পারিল বাজারে একটি অফিস বসিয়ে তারা গ্রাহককে বেশী মুনাফার প্রলোভন ও বিভিন্ন পণ্যের আকষর্নীয় অফার দিয়ে পণ্য বিক্রি ও চাহিদাকৃত পণ্য সময় মতো না দিয়ে গ্রাহকরে সঙ্গে বেশ কয়েক মাস ধরে প্রতারণা করে আসছিল। এলাকাবাসীর অভিযোগের ভিত্তিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুনা লায়লা সোমবার (২৪ আগস্ট) দুপুরে পারিল বাজারে অবস্থিত ইভ্যালীর অফিস থেকে নগদ ৩৮ লাখ ৮৯ হাজার ৩ শত টাকাসহ অফিসটি ব্যবস্থাপক বলধরা গ্রামের সুরুয মিয়ার ছেলে বিপ্লব(২৫) কে আটক করে।একই সঙ্গে সহকারী ব্যবস্থাপক পারিল গ্রামের ওয়াজ উদ্দিনের ছেলে ববিদুল ইসলাম (২৫) ও পারিল নওধা গ্রামের ফজলুল হকের ছেলে জামাল (৩৮) কে আটক করা হয়।

আটকরা জানান, তারা ইভ্যালীর নামে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে মোবাইলে কিংবা অনলাইনে নানান ধরনের প্রোডাক্ট অর্ডার নেন। পরে তা গ্রাহকদের পৌঁছে দেন। কিন্তু এর আড়ালে ওই প্রতিষ্ঠানটি অল্প দিনে অধিক মুনাফার প্রলোভন দেখিয়ে প্রতিদিন বলধরা শাখায় এক থেকে দেড় কোটি টাকা বিকাশ ও নগদে গ্রহণ করে থাকতো।

[caption id="attachment_238963" align="aligncenter" width="531"] ছবি: প্রতিনিধি[/caption]

উপজেলা নির্বাহী অফিসার তিনি এই তথ্য নিশ্চিত করে জানান, ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযোগকারীরা তাকে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটি প্রতিদিন বিকাশ ও নগদে প্রায় ১ থেকে দেড় কোটি টাকা গ্রহণ করেন। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটির কোনো ব্যাংক একাউন্ট নেই। সকাল থেকে দুপুর পযন্ত টাকা কালেকশন করে ব্যাগ ভর্তি করে ব্যবস্থাপক নিয়ে যান।

মানিকগঞ্জে সরকারি এক চাকুরীজীবীকে ওই ইভ্যালীর পারিল শাখা থেকে প্রলোভন দেখানো হয়েছিল চার লাখ টাকা এখানে বিনিয়োগ করলে মাত্র পনেরো দিনে তাকে ৬ লাখ টাকা দেওয়া হবে। কিন্তু নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই সরকারি কর্মকর্তা জানালেন প্রতিষ্ঠানটির প্রলোভনের মাত্রা এতাটাই বেশি ছিলো যে তা নিয়ে যে কোনো শিক্ষিত ব্যক্তির সন্দেহ হবে। এজন্য তিনি ইভ্যালীর প্রলোভন থেকে সরে এসছেন।

প্রতিষ্ঠানটির শাখার প্রধান হেনা আক্তার স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের ট্রেড লাইসেন্স দিয়ে এই ভয়াবহ প্রতারনা পরিচালনা করতো। স্থানীয় প্রভাবশালীরা বিষয়টি জানলেও ইভ্যালী তাদের ম্যানেজ করেই এই অপকর্ম করতো বলে অভিযোগ রয়েছে।

সিংগাইর উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুনা লায়লা জানালেন, আটকদের বিরুদ্ধে প্রচলিত আইনে মামলা করার প্রস্তুতি চলছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App