গ্রেনেড হামলা কোন দূর্ঘটনা নয় পরিকল্পিত রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস

আগের সংবাদ

শেষ হলো খুলনা স্বাস্থ্য বিভাগের অভিযান কার্যক্রম

পরের সংবাদ

দুর্ভোগে ৫০ গ্রামের মানুষ

সেতু আছে, নেই সংযোগ সড়ক

প্রকাশিত: আগস্ট ২২, ২০২০ , ৭:৩৪ অপরাহ্ণ আপডেট: আগস্ট ২২, ২০২০ , ৭:৩৪ অপরাহ্ণ

কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী উপজেলার ইজলামরী গ্রামের জিঞ্জিরাম নদীর উপর ও বড়াইবাড়ী গ্রামের ধরনী নদীর উপর সেতু নির্মাণ করা হলেও নেই সংযোগ সড়ক। এতে জনসাধারণকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। কর্মহীন হয়ে পড়েছে প্রায় শতাধিক অটোরিকসা, অটোভ্যান চালক। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছে সাধারণ মানুষ ও শিক্ষার্থীরা। দুর্ঘটানার শিকার হয়ে পঙ্গুত্ব জীবন যাপন করছেন অনেকেই। এ বিষয়ে বিভিন্ন দপ্তরে জানানো হলেও কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছেন না কর্তৃপক্ষ।

সাবেক সাংসদ রুহুল আমিন এলাকার মানুষের কষ্টের কথা চিন্তা করে জিঞ্জিরাম ও ধরনী নদীর উপর সেতুর বরাদ্দ দেন। আরডিআইআইপি-২ আওতায় ৪ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ইজলামারী ৮৫ মিটার সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ হলেও দুই মাথায় সংযোগ রাস্তায় মাটি ভরাট না করায় দুর্ভোগে সাধারণ মানুষ। অপরদিকে বিলুপ্ত সিট মহল উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ২ কোটি ৭০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে বড়াইবাড়ী ধরনী নদী উপর ৬৬ মিটার সেতু নিমার্ণ কাজ শেষ হলেও একই অবস্থায় রয়েছে। শনিবার (২২ আগস্ট) সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে এসব চিত্র।

এলাকাবাসী অভিযোগ করে বলেন, উপজেলার রৌমারী সদর ইউনিয়নের ইজলামারী, পূর্ব ইজলামারী, নামা বারবান্দা, বারবান্দা, কলাবাড়ি, বড়াইবাড়ি, চুলিয়ারচর, বাওয়ারগ্রাম, ঝাউবাড়িসহ অর্ধশতাধিক গ্রামের মানুষ এ রাস্তা দিয়ে চলাচল করেন। এখানে ২টি বিজিবি ক্যাম্প, ৫টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ২টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ৩টি হাফেজিয়া মাদ্রাসাসহ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। রৌমারী উপজেলা সদর হতে রাস্তাটি ইজলামারী হয়ে ঐতিহাসিক বড়াইবাড়ি গ্রামের রাস্তায় মিলিত হয়। এ রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন প্রায় ২০ হাজার মানুষ যাতায়াত করেন। ইতোপূর্বে জিঞ্জিরাম ও ধরনী নদীর উপর বাশেঁর সাকোঁ দিয়ে মানুষ পারাপার হতো।

অটোবাইক চালক জাইদুল জানান, ঠিকাদারের গাফলতির কারণে সেতুর দুই পাশে মাটি ফেলানো হয়নি। ফলে আমরা গাড়ি নিয়ে বিপাকে পড়েছি।

উপজেলার ইজলামারী গ্রামের আবু সামা বলেন, কিছু দিন আগে সেতুর কাজ শেষ হয়েছে। তবে ব্রীজের দুই মাথায় মাটি ভরাট না করায় যানবাহন তো দুরের কথা সাধারণ মানুষও যাতায়াত করতে পারছে না।

কুড়িগ্রাম- ৪ আসনের সাবেক সাংসদ রুহুল আমিন বলেন, আমি নির্বাচিত হওয়ার পর বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার রৌমারীর উন্নয়নের চিন্তা করে কয়েকটি সেতু, কালভার্ট ও পাকা রাস্তার বরাদ্দ দিয়েছে এবং সবকটির কাজ সম্পন্ন হয়েছে। তবে ঠিকাদারের গাফলতির কারণে ইজলামারী সেতুর দুই পাশে মাটি ভরাট না করেই তারা চলে যায়। যার কারণে আমার এলাকার প্রায় ৫০টি গ্রামের মানুষের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। আমি নিজেই বিভিন্ন দপ্তরে বিষয়টি জানিয়েছি। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি। ঠিক একই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বড়াইবাড়ি ধরনী নদীর উপর সেতুর।

রৌমারী উপজেলা প্রকৌশলী মেজবাহউল হক বলেন, উপজেলাটি নদ-নদী দ্বারা বেষ্টিত হওয়ায় উপজেলা সদরের সঙ্গে ইউনিয়নগুলোর যোগাযোগ ব্যবস্থা ছিলো বিচ্ছিন্ন, অতিগুরুত্বপূর্ণ স্থানে সেতু নিমার্ণ করা হয়েছে। তবে সেতুর দুই পাশে মাটি নেই এমন প্রশ্নে উত্তরে তিনি বলেন, খোঁজ খবর নিয়ে সমস্যা সমাধান করা হবে।

এসআর

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়